বিশাল এই মহাবিশ্বে কি আমরা একা? উত্তরটা হয়তো লুকিয়ে আছে কোনো এক দূরের গ্রহে, যেখানে হয়তো কেউ তাকিয়ে আছে আমাদের দিকেই! জীবন থাকতে পারে এমন ১০টি গ্রহ নিয়েই এই আয়োজন।
পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টুরাই চারপাশে ঘোরে এই গ্রহটা। পৃথিবী থেকে মাত্র ৪.২৪ আলোকবর্ষ দূরে এর অবস্থান। আকারে প্রায় পৃথিবীর মতো। এর অবস্থান নক্ষত্রটির বাসযোগ্য অঞ্চলে—মানে, এর তাপমাত্রা এমন যে সেখানে তরল পানি থাকতে পারে।
ট্রাপিস্ট-১ নামে ছোট্ট একটি নক্ষত্রকে ঘিরে ঘুরছে সাতটি গ্রহ। এদের মধ্যে ট্রাপিস্ট-১ ই পৃথিবীর সঙ্গে সবচেয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ। গ্রহটা পৃথিবীর মতো পাথুরে। এই গ্রহে একদিন মানে আমাদের পৃথিবীর ৬ দিন!
এই গ্রহটা ট্রাপিস্ট-১ ই-এর চেয়ে একটু ভারী। এর বায়ুমণ্ডল ঘন। পৃথিবী থেকে ৫.৬ গুণ ভারী। এর নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরতে ২৪.৭ দিন লাগে। ২০১৭ সালে আবিষ্কৃত হয় এ গ্রহ।
পৃথিবীর কাজিন বলা হয় এই গ্রহকে। এর আকার পৃথিবীর চেয়ে ৩৩ শতাংশ বড়। কিন্তু নক্ষত্র একদম আমাদের সূর্যের মতো। ১১২ দিনে নিজ নক্ষত্রকে একবার ঘুরে আসে গ্রহটি। ২০১৫ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়।
গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বড়। এই গ্রহের মূল নক্ষত্রটি একটা লাল বামন। আমাদের সূর্যের চেয়ে অবশ্য এটি ছোট আর ঠান্ডা। কিন্তু জীবন টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট। এর অবস্থান পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ আলোকবর্ষ দূরে।
পৃথিবী থেকে মাত্র ২২ আলোকবর্ষ দূরের এই গ্রহটি নক্ষত্র তিনটা। আকারে পৃথিবীর চেয়ে অন্তত চার গুণ বড়। এটিও বাসযোগ্য অবস্থানে আছে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।
এই গ্রহে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো পানির অস্তিত্বের ইঙ্গিত পেয়েছিলেন। গ্রহটা পৃথিবীর চেয়ে অনেক বড় বলে সুপার আর্থ নামে পরিচিত। এই গ্রহের বায়ুতে রয়েছে হাইড্রোজেন ও পানির বাষ্প। ৩২.৯ দিনে এটি নিজ নক্ষত্রের চারপাশে একবার ঘুরে আসে।
কেপলার ৬২ নক্ষত্রের এই গ্রহটা খুবই সম্ভাবনাময়। পৃথিবীর চেয়ে ৩৫ গুণ ভারী এই গ্রহ। ২০১৩ সালে আবিষ্কৃত এই গ্রহের বছর পূর্ণ হয় ২৬৭.৩ দিনে।
মাত্র ১১ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই গ্রহটি একটি শান্ত নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে। নক্ষত্রটা খুব বেশি বিকিরণ ছড়ায় না। তাই এর কাছের গ্রহে বায়ুমণ্ডল ঠিকঠাক থাকলে সেখানে জীবন গড়ে ওঠার সুযোগ বেশ ভালো। ২০১৭ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়েছে।
২০১৯ সালে আবিষ্কৃত এই গ্রহটি প্রায় পৃথিবীর আকারের এবং এমন একটা কক্ষপথে ঘোরে, যেখানে জীবন থাকার জন্য যথেষ্ট আলো আর তাপ পাওয়ার কথা। এটি একটা ছোট্ট নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে বলে একে বলা হয় ‘কুল আর্থ’। গ্রহটির বছর হয় মাত্র ৪.৯ দিনে।