কৃষিতে জীবপ্রযুক্তির প্রচার ও প্রসারে জোট গঠন  

কৃষিতে জীবপ্রযুক্তির কার্যকরী ব্যবহার ও এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনা বাড়াতে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করল ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ। ২৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার রাজধানীর এক হোটেলে এই সভা আয়োজিত হয়। বাংলাদেশের বর্তমান জীব নিরাপত্তা কাঠামোকে কার্যকরী করার জন্য একটি জোট তৈরি করাই ছিল এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, বিজ্ঞানী, পরিবেশবিদ এবং আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সহযোগী পরিচালক আনোয়ার ফারুক এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বিজ্ঞানী মোঃ আব্দুল কাদের। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মক্ষমতা বিশেষজ্ঞ পুলের সদস্য ড. হামিদুর রহমান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক মো. সলিমুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডল, এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী পরিচালক এফ এইচ আনসারী, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএল ফজলে রহিম খান এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান ওয়াইস কবির।

বক্তৃতা দিচ্ছেন প্রধান অতিথি রুহুল আমিন তালুকদার

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের আরও উচ্চ ফলনশীল এবং টেকসই ফসলের জাত উদ্ভাবন করতে হবে। এজন্য আমাদের জিন এডিটিং এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো উদ্ভাবনী প্রযুক্তির গ্রহণ ও ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

বিশেষ অতিথি আনোয়ার ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বায়োটেক শস্য বিটি বেগুন, বিটি তুলা, ব্লাইট প্রতিরোধী আলু এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস কৃষক ও ভোক্তাদের উপকার করবে। এই ফসল খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তেমনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষা করে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’

ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন বলেন, ‘বিশ্বে কৃষিতে জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার গত কয়েক দশকে কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমাতে সাহায্য করেছে। সারা বিশ্বে খাদ্যের পুষ্টি গুণ, গুণগত মান ও যোগানও বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ পোকা-প্রতিরোধী বিটি বেগুন একমাত্র জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ফসল। বাংলাদেশ সরকারসহ কৃষকেরা বিটি বেগুন গ্রহণ করেছে এবং এর সাফাল্যও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।’

অংশগ্রহণকারীরা উপযুক্ত নীতিমালা বাস্তবায়নের সাথে কৃষি প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিদ্যমান রেগুলেটরি  ব্যবস্থার উন্নতির উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা একটি জোট গঠন করতে সম্মত হন, যা জীবনিরাপত্তা ও জীবপ্রযুক্তির নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করবে।