নিকোটিনিক অ্যাসিড থেকে নিয়াসিন

১৮৭৩ সালে নিকোটিন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে নিয়াসিন সম্পর্কে প্রথম ধারণা দিয়েছিলেন অস্ট্রিয়ান রসায়নবিদ হুগো ওয়েডেল। ১৯২৫ সালে তামাকের মধ্যে থাকা রাসায়নিক পদার্থ নিকোটিন অণু ভেঙে সেটার মধ্যে একধরনের অ্যাসিড পেয়েছিলেন রসায়নবিদেরা। স্বাভাবিকভাবেই এর নাম দেওয়া হয়েছিল নিকোটিনিক অ্যাসিড (nicotinic Acid)।

তবে এই নামটি নিয়েই চিকিত্সকেরা বেশ দুশ্চিন্তায় পড়লেন। নিকোটিনিক অ্যাসিড শুনতে অনেকটা নিকোটিনের মতোই লাগে। তাই তাঁদের আশঙ্কা, লোকজন হয়তো ভাবতে পারে, তামাক পাতাতেও ভিটামিন আছে। এর ফলে ধূমপান করাও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো (যদিও ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ বলে প্রমাণিত) বলে ভাবতে পারে। আসলে নামের মধ্যে মিল থাকলেও নিকোটিনিক অ্যাসিড আর নিকোটিন পুরোপুরি ভিন্ন দুটি উপাদান। নাম নিয়ে এই বিভ্রান্তি দূর করতে চিকিত্সকেরা অন্য পথ বেছে নিলেন। তাঁরা নিকোটিনিকের (nicotinic) প্রথম দুটি অক্ষর (ni) আর অ্যাসিডের (acid) প্রথম দুটি অক্ষর (ac) এবং ভিটামিনের (vitamin) শেষ দুটি অক্ষর (in) একত্র করলেন। তাতে নিকোটিনিক অ্যাসিডের নতুন নাম হলো নিয়াসিন (Niacin)। আরও পরে এই ভিটামিনটির নাম দেওয়া হয়েছিল we3 (B3)| কারণ, ভিটামিন বি গ্রুপের মধ্যে তৃতীয়তম আবিষ্কার ছিল এটি।