বোরনের কথা

মধ্যযুগে তিব্বতে একধরনের সাদা চূর্ণ পাওয়া যেত। এটি আসলে আমাদের দেশে সোহাগা নামে পরিচিত। গ্লাস বা চীনামাটির থালাবাসন তৈরিতে সোহাগা ব্যবহূত হয়। এই বস্তুটি সিল্ক রুট দিয়ে আরব দেশগুলোতে এবং সেখান থেকে ইউরোপে নেওয়া হতো। আরবি ভাষায় সোহাগাকে বলা হতো বুরাক। এই শব্দটিই ইউরোপে বিকৃত হয়ে বোরাক্স (borax) নাম ধারণ করে। বোরাক্স আসলে একটি যৌগ, রসায়নবিদদের কাছে যা টেট্রাবোরেট নামে পরিচিত।

ব্রিটিশ রসায়নবিদ স্যার হামফ্রে ডেভি বোরাক্স থেকে বোরন আলাদা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে ফরাসি বিজ্ঞানী জোফেস লুই গে-লুসাক আর লুই জ্যাক থেনার্ডও একই চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। অবশেষে ১৮৯২ সালে মার্কিন বিজ্ঞানী এজাকিয়েল ওয়েনট্রাব প্রথম বোরাক্স থেকে বিশুদ্ধ বোরন আলাদা করতে সক্ষম হন। বোরাক্স থেকেই মৌলটির নাম বোরন রেখেছিলেন গে-লুসাক আর জ্যাক থেনার্ডও।