আশ্চর্য যন্ত্র

রাতে মা–বাবার সঙ্গে রাগারাগি করে মনটা খারাপ হয়েছিল, তাই বারান্দায় বসে ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম আমাদের বাগানের ভেতর থেকে এই রাতেও প্রচুর আলো আসছে! প্রথমে ভেবেছিলাম বাগানের লাইটগুলো বোধ হয় জ্বালানো ছিল। কিন্তু দেখলাম সুইচ বন্ধ করাই আছে! এই অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড দেখে বেশ ভয়েই ছিলাম। কিন্তু এভাবে আর কতক্ষণ থাকব, এই ভেবে সাহস করে বাগানের দিকে রওনা হলাম। কিন্তু বাগানে যেতেই হতবাক হয়ে গেলাম। বিরাট আকারের একটা স্পেসশিপ দাঁড়িয়ে আছে, যা আমি দেখতেই পাইনি! আর তার সামনে অদ্ভুত কিছু প্রাণী কী যেন খুঁজছে, যদিও এরা আমাদের এই পৃথিবীর প্রাণী ছিল না!

তারা তাদের এই স্পেসশিপ নিয়ে আমাদের এই পৃথিবীর ওপর দিয়েই যাচ্ছিল। তখন তারা তাদের একটা যন্ত্র আমাদের পৃথিবীতে ফেলে গিয়েছিল। আর সেই যন্ত্রটা আমাদের এই বাগানেই পড়েছে। আর সবচেয়ে অদ্ভুত ঘটনা হলো, তারা আমাকে বলল তাদের গ্রহের তাপমাত্রা প্রচুর হারে বেড়ে যাচ্ছে। আর তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্যই তারা এমন একটা যন্ত্র আবিষ্কার করেছে, যার মাধ্যমে তারা কার্বন ডাই–অক্সাইডকে অক্সিজেনে রূপান্তর করতে পারে!

আমি তো এ কথা শুনে রীতিমতো হাসতে শুরু করলাম। কিন্তু এই হাসি আর বেশিক্ষণ রইল না। কিছুক্ষণ পরই তারা সেই যন্ত্রটা খুঁজে পেল। এরপর আমার কাছে যন্ত্রটা নিয়ে এসে অন করে দিল। তখনই এই যন্ত্রের এক পাশ দিয়ে হওয়া ঢুকছিল আর অন্য পাশ দিয়ে বেশ ঠান্ডা হাওয়া বের হচ্ছিল। এরপর তারা আমাকে বলল, এর এক পাশ দিয়ে বাতাস ঢুকছিল আর তার থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড থকে কার্বন আর অক্সিজেন আলাদা করে কার্বন এই যন্ত্রের মধ্যেই স্টোর হয় আর অক্সিজেন আর অন্য সব গ্যাস আলাদা করে বের করে দেয়!

এসব বোঝার পরে আমি নির্বাক হয়ে ওদের কাণ্ডকারখানা দেখছিলাম। এরপর তারা আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেল সেই ইয়া বড় স্পেসশিপ নিয়ে। আমি ভাবলাম, আমাদের পৃথিবীতেও যদি এ রকম কোনো যন্ত্র থাকত তাহলে কত ভালোই না হতো। 

লেখক: শিক্ষার্থী, বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, টাঙ্গাইল