রহস্য

২০৫৮ সাল। বিখ্যাত বিজ্ঞানী ড. মনিরুল ইসলাম তার জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা অর্জন করেছেন। এর আগেও তিনি চারটি মৌলিক বলকে একটি সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের আবিষ্কারটি তার ছোটবেলার স্বপ্ন, তিনি টাইম মেশিন আবিষ্কার করে ফেলেছেন।

এখন এক্সপেরিমেন্টের পালা। টাইম মেশিনে উঠে ঠিকঠাকমতো চালু হওয়ার নির্দেশনা দিতে যাবেন, তার আগেই সেটা চলতে শুরু করল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ড. মনির পৌঁছে গেলেন ২৭৫৮ সালে। ঘাবড়ে গেলেন তিনি। ভয়ও জেঁকে ধরল। কারণটা যান্ত্রিক ত্রুটি। অনেক চেষ্টাচরিত করলেন আবার বর্তমানে ফিরে আসার। কিন্তু টাইম মেশিন আর কাজই করছে না! এখন উপায়?

শেষমেশ হতাশ হয়ে টাইম মেশিন থেকে বের হলেন। দেখলেন আশপাশে মানুষ খুবই কম। যন্ত্র আর রোবটই বেশি। যেসব রক্ত মাংসের মানুষ আছে, তারা ড. মনিরের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকাচ্ছে। তার পোশাক, সাজসজ্জা চমকে দিয়েছে ওদের। প্রাচীনকালের পোশাক-আশাক দেখে চমকে যাওয়ারই কথা।

ড. মনির নিজে গিয়ে ওদের সঙ্গে পরিচিত হলেন। ওদের বাদশাহর সঙ্গে দেখা করলেন, খুলে বললেন তার সমস্যার কথা। বাদশাহ তাঁকে চিনতে পারলেন। ইতিহাসবিখ্যাত বিজ্ঞানীকে না চেনার কথাও নয়। বাদশাহ তাঁকে পরম আদরে অভ্যর্থনা জানালেন। তার জায়গা হলো রাজদরবারে। ল্যাবরেটরি-লাইব্রেরি দেওয়া হলো তার জন্য। গবেষণার বিস্তর সুযোগ। যদি আবার টাইম মেশিনের ত্রুটি সারিয়ে ফেলা যায়—সেই আশায় নতুন করে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেন।

একদিন লাইব্রেরি ঘাঁটতে ঘাঁটতে একটা বই পেয়ে গেলেন ড. মনিরুল ইসলাম। বইটার নাম বায়োগ্রাফি অব ড. মনিরুল ইসলাম। আগ্রহভরে বইটা পড়তে লাগলেন ড. মনির। শেষ পাতায় এসে স্তম্ভিত হলেন। শেষের দিকের লেখাগুলোকে বাংলা অনুবাদ করলে এ রকম দাঁড়ায়:

মনিরুল ইসলাম একদিন তার ল্যাবরেটরিতে গবেষণা করছিলেন। তারপর তিনি উধাও হয়ে গেলেন। তৎকালীন গোয়েন্দা দল অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে উদ্ধার করতে পারেনি। তার অন্তর্ধান রহস্যের ক্লু মেলেনি আজও।

নবম শ্রেণি, মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, মিরপুর, ঢাকা