আপডেট
মানুষের তৈরি সর্বোচ্চ গতি অর্জন করলো পার্কার সোলার প্রোব
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তৈরি পার্কার সোলার প্রোব গতির দিক থেকে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর আগে মানুষের তৈরি কোনো বস্তুর গতি এতো বেশি হয়নি। শুক্রের মহাকর্ষকে কাজে লাগিয়ে সূর্যের জলন্ত পৃষ্ঠের কাছ দিয়ে ছুটে গেছে নভোযানটি।
সম্প্রতি মানুষের তৈরি সবচেয়ে বেশি গতির বস্তুতে পরিণত হয়েছে পার্কার সোলার প্রোব। চলতি বছর ২১ আগস্ট শুক্র গ্রহের পাশ দিয়ে উড়ে যায়। এসময় শুক্রের মহাকর্ষ কাজে লাগিয়ে গতি বাড়িয়ে নেয় নভোযানটি। শুক্র গ্রহের পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার (ফ্লাইবাই) সময় ঘন্টায় ৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৬ কিলোমিটার গতিবেগ অর্জন করে পার্কার সোলার প্রোব। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নভোযানটি সৌরপৃষ্ঠের মাত্র সাড়ে ৭২.৬ লাখ কিলোমিটারের কাছে পৌঁছায়। পার্কার সোলার প্রোব এবার দিয়ে ১৭ বার সূর্যের কাছে থেকে ঘুরে এলো। ৪-১৯ অক্টোবরের মধ্যে এবারের সংগৃহীত ডাটা পৃথিবীতে এসে পৌঁছানোর কথা আছে।
এর আগে, ২০২১ সালে নভোযানটি সূর্যের পাশ দিয়ে উড়ে গিয়েছিল ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬৩ কিলোমিটার বেগে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০২৪ সালে নভেম্বরে শেষবারের মতো শুক্রের গ্রহের পাশ দিয়ে উড়বে (ফ্লাইবাই) পার্কার। ফলে, এর বর্তমান সর্বোচ্চ গতির রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে। সেসময় নভোযানটি সৌরপৃষ্ঠের ৬১.৬ লাখ কিলোমিটারের মধ্যে চলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে আগস্ট মাসে পার্কার সোলার প্রোব পৃথিবী ছেড়ে সূর্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। সূর্যের বাইরের অঞ্চল অর্থাৎ করোনা অঞ্চল সম্পর্কে বিশদভাবে জানার জন্য নাসা এ অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানটির মেয়াদকাল ৭ বছর। বিগত পাঁচ বছর ধরে পার্কার সোলার প্রোব সূর্যকে কেন্দ্র করে বেশ কবার ঘুরেছে। পাঠিয়েছে নানা তথ্য। সূর্যের করোনার মধ্যে দিয়ে কীভাবে তাপ চলাচল করে, সৌরপৃষ্ঠের প্লাজমা এবং চৌম্বকক্ষেত্রগুলো কীভাবে পরিবর্তিত হয় এবং সৌরবায়ুর ওপর এসব কিছুর প্রভাব কেমন—তা জানা যাবে পার্কারের পাঠানো তথ্য থেকে।
সূত্র: নাসা, লাইভসায়েন্স