আসছে হকিংয়ের জীবনী

স্টিফেন হকিংয়ের জীবনী বহু দেশ থেকে বহু ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সবগুলো গ্রন্থই ছিল অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত। তবে ২০২৪ সালে স্টিফেন হকিংয়ের জীবনীগ্রন্থ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হতে পারে। বইটি লিখবেন গ্রাহাম ফারমেলো আর প্রকাশ করবে জন ম্যারি প্রেস।

তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ হিসেবে বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত স্টিফেন হকিং। মহাকাশ নিয়ে করেছেন বিস্তর গবেষণা। তিনি শুধু একজন তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানীই ছিলেন না, ছিলেন একজন বিজ্ঞান লেখকও। মহাজগতের কঠিন বিষয়গুলোকে যথাসাধ্য সহজ ভাষায় উপস্থাপন করেছেন সাধারণ মানুষের কাছে। বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলো যত সহজ করে লিখেছেন, তাঁর জীবন তত সহজ ছিল না। কয়েক দশক ধরে মটর নিউরন রোগে ভুগছিলেন। জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করেও কাজ করেছেন বিজ্ঞানের জন্য। ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ ৭৬ বছর বয়সে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন এই বিজ্ঞানী। তাই বহু বিচিত্র ঘটনায় ঠাসা স্টিফেন হকিংয়ের জন্ম, বেড়ে ওঠা ও বিজ্ঞানী হয়ে ওঠা সম্পর্কে সারা বিশ্বের মানুষের প্রবল কৌতূহল।

বইটির লেখক গ্রাহাম ফারমেলো একজন জীবনীকার ও বিজ্ঞান লেখক। ফারমেলো এর আগে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ পল ডিরাকের আত্মজীবনী দ্য স্ট্রেঞ্জেস্ট ম্যান: দ্য হিডেন লাইফ অব পল ডিরাক, কোয়ান্টাম জিনিয়াস লিখে ২০০৯ সালে কোস্টা পুরস্কার জিতেছেন। হকিংয়ের পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী ও তাঁর পরিচিত লোকদের সঙ্গে কথা বলে বইটি লিখতে শুরু করেছেন গ্রাহাম ফারমেলো। ফারমেলো বলেন, ‘স্টিফেন হকিংয়ের জীবনী লেখা সৌভাগ্য ও আনন্দের ব্যাপার। হকিং শুধু বিখ্যাত বিজ্ঞানীই নন, অসাধারণ মানুষও ছিলেন। তাঁর কৃতিত্ব ও চরিত্রের বিষয়ে নতুনভাবে আলোকপাত করার অপেক্ষায় আছি।’

হকিংয়ের তিন সন্তান লুসি, টিম ও রবার্ট হকিং বলেছেন, বাবার জীবন ও কাজের বিবরণী ফারমেলোকে জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। গ্রাহাম ফারমেলো পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক। তিনি আমাদের বাবার জীবনী লিখবেন এটা আমাদের কাছে আনন্দের তো বটেই, গর্বেরও।

জন ম্যারি প্রেসের ব্যবস্থাপক পরিচালক নিক ডেভিস বলেন, বইটি লেখার জন্য গ্রাহাম ফারমেলো ছাড়া অন্য কারও নাম ভাবতে পারছি না। আমরা খুবই আনন্দিত যে হকিং পরিবার ও হকিংয়ের সহকর্মীরা বইটি লিখতে আমাদের সাহায্য করছেন। বইটি ২০২৪ সালে প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।