অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর তৈরির দাবি স্কুল শিক্ষার্থীর

অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর তৈরির দাবি করেছে এক স্কুল শিক্ষার্থী। তাহের মাহমুদ তারিফ নামে ওই শিক্ষার্থী পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। তার দাবি প্রমাণিত হলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন ঘাটতি মেটাতে সহজেই তৈরি করা যাবে জীবনদায়ী অক্সিজেন।

বেশ কিছুদিন আগে বাবাকে হারিয়েছে এই যন্ত্রের উদ্ভাবক তাহের মাহমুদ। অক্সিজেনের অভাবে বাবাকে কষ্ট পেতে দেখেছে সে। সেই কষ্ট তাকে নাড়া দেয়। বাবার মৃত্যুর পর অক্সিজেন সমস্যার সমাধান করার কথা ভাবে তাহের মাহমুদ। এজন্য সে শরণাপন্ন হয় ইউটিউবের বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিওর। তারপর ভিডিও দেখে বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন উৎপাদক যন্ত্র অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। এই যন্ত্রের সাহায্যে বাতাস থেকে সরাসরি অক্সিজেন আলাদা করে সংরক্ষণ করা সম্ভব। তবে কতটা সফলভাবে অক্সিজেন পৃথক করতে সক্ষম হয়েছে, সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য উচ্চতর ল্যাবটেস্ট জরুরি বলে মনে করছে সে।

তাহের মাহমুদ জানায়, তার এই প্রজেক্ট তৈরিতে খরচ হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা। এই টাকার জোগান মেটানো তাঁর নিজের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহায়তা করেছে, প্রতিষ্ঠানের ল্যাব ব্যবহারের করেই যন্ত্রটি তৈরি করেছে সে। পেয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সহায়তা। ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পি. এম. ইমরুল কায়েস বলেন, ‘তাহের মাহমুদের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর তৈরির কথা জানার পর আমরা তাঁকে বলি তার আইডিয়া আর প্রস্তুত প্রক্রিয়া আমাদের জানাতে। সে যখন সব খুলে বলে, আমরা সন্তুষ্ট হই, তাঁকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’

যন্ত্র প্রস্তুত, এখন অপেক্ষা ল্যাব টেস্টের। বুয়েট থেকে যদি যন্ত্রটা পরীক্ষা করা যায়, তাহলে এই যন্ত্রের সম্ভাবনার ব্যাপারটা সবচেয়ে ভালোভাবে যাচাই করা যাবে। সে প্রক্রিয়াই চলছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা। অন্যদিকে তাহের মাহমুদের দাবি, তার এই যন্ত্র বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা গেলে অক্সিজেন তৈরির প্রক্রিয়াটা অনেক সহজভাবে করা সম্ভব হবে। কমে যাবে অক্সিজেনের উৎপাদন ব্যয়। ফলে সহজেই করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেনের জোগান দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে সে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।