পিঁপড়াবিদ্যা

পিঁপড়া আছে কালো রঙের, পিঁপড়া আছে লাল তো

শরীরটা তার খসখসে খুব দেখো ছুঁয়ে আলতো!

পিঁপড়া খুবই মিষ্টিপাগল, ঝাল খেতে সে চায় না

চিনির বয়াম পায় যদি আর অন্য কিছুই খায় না!

তাও তো ওদের রক্তে কোনো সুগারটুগার নাই রে

পিঁপড়া থাকে নানান রকম রোগবালাইয়ের বাইরে!

যেমন ধরো নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস হয় কি?

ফুসফুসই না থাকলে আবার এসব রোগের ভয় কী?

রক্ত ওদের লাল না বলে যায় না বোঝা কাটলে

ক্লান্ত সে হয় তোমার মতো দুই পা মোটে হাঁটলে?

পিঁপড়ারা হয় পরিশ্রমী, জোগাড় করে খাদ্য

শীতের আগাম প্রস্তুতি নেয় পিঁপড়া যথাসাধ্য!

নিজ ওজনের পঞ্চাশ গুণ পিঁপড়া পারে টানতে

সত্যি বলো এ তথ্যটা তোমরা কি কেউ জানতে?

নেই মোবাইল, অ্যানটেনাতেই পাঠায় ওরা তথ্য

সেই নেটওয়ার্ক উন্নত খুব এই কথাটাও সত্য!

ফরমিক অ্যাসিড থাকে বলেই পিঁপড়া দিলে কামড়ে

মানুষ ভুলে যায় যে তখন আপন বাপের নাম রে!

পিঁপড়া তবে খুব সামাজিক, অসামাজিক কার্যে

লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছা কোনো যায়নি দেখা তার যে!

নেই তো তাদের ড্রাগের নেশা, পান করে না মদ্য

পিঁপড়া মানে শৃঙ্খলা আর থাকবে দলবদ্ধ!

পিঁপড়া বানায় উপনিবেশ, তৈরি করে রাজ্য

থাকেন রানি—তার কথাকে করবে না কে গ্রাহ্য?

মানুষ খোঁজে স্বার্থ, লাগে একের পিছে অন্যে

পিঁপড়া দেখো সমর্পিত পরস্পরের জন্যে!

পিঁপড়াকে যে তুচ্ছ ভেবে অমর্যাদা করলে

দেয় সে মরণকামড়, জানো, পায়ের নিচে পড়লে?

পিঁপড়া থেকে শেখার আছে অনেক কিছু, তাই না?

তাই বলে কি ভাবছ আমি পিঁপড়া হতে চাই? না আ আ আ!