পৃথিবীর সাথে লুকোচুরি খেলে চাঁদটা সারাটি রাত্র
জোয়ার-ভাটার লীলাখেলা দেখে শুক্রের জ্বলে গাত্র!
চাঁদের স্বভাব খুব ভালো নয়, পৃথিবীর টানে ঘুরছে
শুক্র গ্রহটা চাঁদটাকে দেখে মনের দুঃখে পুড়ছে।
শুক্র, পৃথিবী মারামারি করে ঘুচিয়েছে সম্পর্ক
চাঁদের আসল মালিকানা কার? এখনো চলছে তর্ক—
শুক্র বলছে চাঁদ চুরি করা পৃথিবী বিশাল ভণ্ড
শুধু এ কারণে তাঁর হওয়া চাই যাবজ্জীবন দণ্ড।
পৃথিবী বলছে চাঁদ পৃথিবীর ছুটে যাওয়া এক টুকরো
তার মালিকানা দাবি করে কিনা কোথাকার কোন শুক্র!
তাই পৃথিবীর জোরালো আওয়াজ—শুক্রের দাবি মিথ্যে
পারলে ও যাক কোর্ট-কাচারিতে, পারবে না জানি জিততে।
কোর্ট-কাচারিতে হয়নি কিছুই, হয়নি কিছুই সাক্ষ্যে
মামলাটা কিনা ডিসমিস হলো দুটি বা তিনটি বাক্যে!
চাঁদ হারানোর দুঃখে শুক্র মাঝে মাঝে কাঁদে ডুকরে
মালিকানা নিয়ে পুরোনো বিরোধ পৃথিবী ও শুক্রে।
চাঁদের দাবিতে শুক্র অটল, অবিচল তার নিষ্ঠা
চাঁদটাকে নিয়ে কবিতা বানায় প্রতিদিন বিশ পৃষ্ঠা।
কার অভিশাপ কোথায় যে লাগে! কার যে কোথায় কষ্ট!
চাঁদ-পৃথিবীর সুখী সংসার হচ্ছে কি শেষে নষ্ট?
চাঁদ-পৃথিবীর প্রেম কি টিকবে? বিজ্ঞেরা ভেবে মরছে
প্রতিটা বছর ইঞ্চি দেড়েক চাঁদটা যে দূরে সরছে!
পৃথিবীর ভুরু কুঁচকে আসছে, চিন্তাতে উদ্বিগ্ন
ঘটনাটা দেখে শুক্রের মুখে মুচকি হাসির চিহ্ন।