জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের ব্রোঞ্জ জয়

আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে

বরাবরের মতো এ বছরও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারির রংপুরে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান উৎসব। তারপর ৬ মার্চ পর্যন্ত একে একে সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও ঢাকা (উত্তর) অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় জীববিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে হানা দেয় বৈশ্বিক অতিমারি কোভিড-১৯। স্থগিত হয়ে যায় জীববিজ্ঞান উৎসবের বাকি কর্মকাণ্ড। আশার কথা, জুন মাসের শেষাংশে আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা আসে। সে অনুযায়ী সারা বিশ্বের সব প্রতিযোগী দেশের মতো বাংলাদেশও জেগে ওঠে।

অনলাইনে আয়োজিত হয় জীববিজ্ঞান উৎসব। অনলাইনে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায় এবং ভার্চ্যুয়াল বায়োক্যাম্পের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হন বাংলাদেশের চার প্রতিযোগী—তাসনিম বিনতে জুলফিকার, রাফসান রহমান , রাদ শারার ও আবরার জামিল।

আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জজয়ী রাদ শারার
ছবি: বিবিও

গত ১১ ও ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় আইবিও চ্যালেঞ্জ নামে। ৯৫টি দেশের ৩৮০ জন প্রতিযোগী আইবিও চ্যালেঞ্জে অংশ নেন। তাঁদের মধ্য থেকে বাংলাদেশের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে ব্রোঞ্জ জয় করেন রাফসান রহমান ও রাদ শারার।

আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জজয়ী রাফসান রহমান
ছবি : বিবিও

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০১৬ সাল থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে প্রতিযোগিতা করে আসছে। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে একিট এবং ২০১৯ সালে তিনটি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছিল। এবারের পদকজয়ী রাফসান গত বছরও বাংলাদেশের পক্ষে একটি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছিলেন।