আজ সূর্য উঠেছে কখন

ফাইল ছবি

হয়তো ভাবছেন, এটা কোনো প্রশ্ন হলো? সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের খবর তো রেডিও–টিভি প্রতিদিন জানিয়ে দেয়। পত্রিকায়ও ছাপা হয়। কিন্তু খবরটা ওরা জানল কীভাবে? এটা জানার জন্য আবহাওয়াবিদদের কোনো উঁচু পাহাড়চূড়ায় উঠতে হয় না। কাগজে কলমে হিসাব-নিকাশ করেই জানা যায়। তবে হিসাবটা একটু জটিল। এখানে অনেক শর্ত আছে।

একটা তো হলো, আমি পৃথিবীর কোন এলাকায় আছি, তার অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ কত, এগুলো লাগবেই। কিন্তু এর পাশাপাশি আরেকটি হিসাব মনে রাখতে হবে। প্রকাশিত সময়সূচির সঙ্গে বাস্তব ঘটনার সামান্য গরমিল থাকে।

কারণ, সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের যে সুনির্দিষ্ট সময় আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, সেটা হলো দিগন্তরেখায় সূর্যের উদয়-অস্তের সময়। দিগন্তরেখা বলতে বোঝানো হয় সমুদ্রতল বরাবর দিগন্ত। আমি যদি একটু উঁচু পাহাড়ে থাকি, তাহলে সেখান থেকে দেখব, সূর্য উঠছে একটু আগে, অস্ত যাচ্ছে একটু পরে। সেটা খেয়াল রাখতে হবে।

জটিল আরও একটা ব্যাপার আছে। সূর্য থেকে আলো আমাদের পৃথিবীতে পৌঁছাতে প্রায় আট মিনিট সময় লাগে। সুতরাং যখন আমরা সূর্য উঠতে দেখি, তার প্রায় আট মিনিট আগেই কিন্তু সূর্য আক্ষরিক অর্থে দিগন্তরেখার ওপরে উঠে গেছে, আমরা দেখছি আট মিনিট পর।

সূর্যাস্তের সময়েও এই আট মিনিটের ব্যাপারটা হিসাবে রাখতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে আসার সময় প্রতিসরণের কারণে কিছুটা বাঁকা হয়ে ঘুরে আমাদের চোখে আসে। আবার সূর্যাস্তের বেলায়ও এই প্রতিসরণের কারণে কিছু বেশি সময় আমরা সূর্য দেখি।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল না থাকলে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যের আলো সরাসরি চলে আসত, সময় একটু কম লাগত। প্রকৃতপক্ষে বায়ুমণ্ডলের কারণে আমরা পাঁচ থেকে দশ মিনিট বেশি সূর্যালোক পাই।