কথায় আছে, নাম শুনে যায় চেনা। আমরা সবকিছুর নাম দিতে পছন্দ করি। সেটা হোক অতিপারমাণবিক কণা বা মহাকাশের বিশাল কৃষ্ণগহ্বর। কারণ একটাই—নাম দিলে চেনা যায় সহজে। মনে থাকে। একই কারণে মা-বাবা সন্তানের নাম রাখেন। সেই নামে তাকে সবাই চেনে এবং ডাকে। একবার চিন্তা করুন তো, মানুষের নাম না থাকলে কী ভয়ংকর ব্যাপার হতো! কাউকে আলাদা করতে রীতিমতো নিখুঁতভাবে বর্ণনা দিতে হতো চেহারার। তারচেয়েও বড় কথা, প্রয়োজনের সময় কাউকে চট করে ডাকতে পারতেন না। অর্থাৎ নাম আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন হলো, প্রাণীদের জন্যও কি কথাটা খাটে? মানে, প্রাণীরা কি স্বপ্রজাতির অন্যদের নাম দেয়? একে অন্যকে সেই নামে চেনে, ডাকে?
ঝতেই পারছেন, প্রাণীদের নাম আমাদের মতো নয়। বিশেষ এ নাম আমাদের কাছে শীষ বা অর্থহীন শব্দের মতো শোনায়।
গবেষণা বলছে, হ্যাঁ। অন্য প্রাণীরা একে অন্যকে আলাদা করার জন্য বিশেষ নাম দেয়। সে অনুযায়ী প্রতিক্রিয়াও দেখায় ওই নামের প্রাণীটি। যেমন সবুজ রঙের টিয়া তাদের বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ধরনের ডাক নির্ধারণ করে। এই ডাকই আসলে সেই নাম। ছোটবেলায় বাসায় এ ডাকের সঙ্গে ছানাদের অভ্যাস্ত করে তোলে তারা। পরে ছানাটি সেই ডাকে সাড়া দেয়। একই ঘটনা দেখা যায় ডলফিনের ক্ষেত্রেও। ডলফিন শিশুরা মায়ের কাছ থেকে স্বতন্ত্র একধরনের শীষ দেওয়া শেখে। এই শীষের মাধ্যমে অন্য ডলফিনরা তাকে চিনতে পারে। প্রয়োজনে ডাকতে পারে।
বুঝতেই পারছেন, প্রাণীদের নাম আমাদের মতো নয়। বিশেষ এ নাম আমাদের কাছে শীষ বা অর্থহীন শব্দের মতো শোনায়। মজার ব্যাপার হলো, একটু ভাবলে বুঝবেন, বিষয়টা খানিকটা অপরিচিত ভাষায়—মানুষের ভাষায়—নাম বা ডাক শোনার মতোই অনেকটা। তবে প্রাণীদের কাছে এই ডাক বেশ গুরুত্বপূর্ণ।