সুন্দরবনের সুন্দরী হাঁসের কাহিনি

এ দেশে কত রকম, কত ধরনের পাখি। রং-বেরঙের এসব পাখি নিয়ে লিখেছেন পাখিবিশারদ ও প্রকৃতিবিদ শরীফ খান…

সুন্দরবনে থাকে বলেই দক্ষিণ সুন্দরবনে এমন নাম। গোলবনে বেশি থাকে বলে বলা হয় গোইলো হাঁস, শুদ্ধ ভাষায় গোলবনের হাঁস

‘মরানি’ খালটার দুপাশ জুড়েই নিবিড় গোলবন। ফাঁকে ফাঁকে কেয়া ও হেঁতালের দুর্ভেদ্য ঝোপ। দুপাড়ের গোলপাতা হাত বাড়িয়ে খালের ওপরে যেন চাঁদোয়া তৈরি করেছে। মরানির সরু খালটা যেন সুড়ঙ্গের মতো ঢুকে গেছে বনের ভেতরে। ভরদুপুরেও রোদ পড়ে না পানিতে। সুন্দরবনের জেলে বাওয়ালি মৌয়ালেরা এ ধরনের খালে নৌকা ঢোকানোর আগে বনবিবির নাম স্মরণ করে, দক্ষিণারায়ের নামও জপে। বনবিবি হচ্ছেন সুন্দরবনের রানী। দক্ষিণারায় বাঘের দেবতা। আর সুন্দরবনের পাহারাদার ও মহারাজা হচ্ছে বাঘ—দ্য রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এই ধরনের সরু বা মরানি খালের পাড়ে ওঁৎ পেতে থাকে বাঘ। বাগে পেলেই হুঙ্কার ছেড়ে লাফিয়ে পড়ে নৌকায়, মানুষ তুলে নিয়ে চলে যায় গভীর বনে।

সুন্দরবনে নদী-খালের অভাব নেই। কিন্তু সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে এই সব মরানির খাল। ভাটার সময় এই সব খালে পানির একটা সরু ধারা থাকে মাত্র। না হলে থাকে তিরতিরে জল। ছোট নৌকাও চলতে চায় না তখন। জোয়ারের সময় নৌকায় দাঁড়িয়ে দুই পাশের বনে চোখ রাখা চলে, বাঘ ওঁৎ পেতে আছে কি না, তাও পরখ করার সুযোগ থাকে। কিন্তু ভাটার সময় পানি নেমে যাওয়ায় তা সম্ভব হয় না। বাঘ যদি লাফ দেয়, ঘাড়ে পড়ার আগে টের পাওয়া যায় না। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব খালে নৌকা নিয়ে ঢোকে পানি বাওয়ালি ও মৌয়ালেরা। গোলপাতা, লাকড়ি কাটে, গরমকালে কাটে মৌচাক। সুন্দরবনই জেলে বাওয়ালি ও মৌয়ালদের বেঁচে থাকার একমাত্র ঠিকানা।

সুন্দরবনে ঢোকে আরও কিছু মানুষ যারা শুধু সাহসীই নয়, দুঃসাহসীও। ওরা হরিণচোর, হরিণ শিকারি। সুন্দরবনের কোনো একটা বিশেষ এলাকা বা তার চেয়েও বেশি এলাকা ওদের মুখস্থ থাকে। ওই এলাকার নদী-খালও থাকে ওদের মুখস্থ। কোথায় গেলে ছিটকে ফাঁদ ও জালের ফাঁদে আটকানো যাবে হরিণ। হরিণেরা কখন কোথায় বেশি থাকে, তাও জানে ওরা। ওদের অনেকের থাকে পোষা বানর। বানরকে নিয়ে গাছে ওঠে, কেওয়ার ফল-পাতা সুন্দরবনের দুনিয়াখ্যাত ফোঁটা হরিণের খুবই প্রিয় খাদ্য। বানর ডাকে, কেওড়ার পাতা ছিঁড়ে ফেলে তলায়, হরিণরা এসে খায়। সুন্দরবনের হরিণ ও বানরের সখ্যের কথাও দুনিয়াখ্যাত। পোষা বানরকে কাজে লাগিয়ে চোরা শিকারিরা হরিণের পালকে কাছে টেনে আনে। বানরের ডাক নকলও করতে জানে ওসব চোরা শিকারিরা।

চোরাশিকারি কাশেম আলী দাঁড়ান খালি হাতে। টিসিও সাহেবের বাঁ হাতে লোড করা বন্দুক। সবাই সতর্ক। চৌদ্দ বছরের ছেলেটি ভয় বোঝেনি, জীবনে প্রথম সে সুন্দরবন দেখছে। মুগ্ধতায় আবিষ্ট সে। বাঘ যে কী জিনিস তা সে জানে না, জানলে বাঘ দেখতে আসত না।

লেখার শুরুতে যে মরানির খালটার কথা বলা হয়েছে, ওই খালটার ভেতরে নৌকা ঢোকার আগে শরণখোলার টিসিও (থানা কো-অপারেটিভ অফিসার) তার ১৪ বছর বয়সী ছেলেটার হাত চেপে ধরলেন ডান হাতে। টেনে বসালেন একবারে কোলের কাছে। ছোট নৌকাটির দুপাশে দুজন মাঝি, মাঝখানে দাঁড়ানো আরেক জন শিকারি।

চোরাশিকারি কাশেম আলী দাঁড়ান খালি হাতে। টিসিও সাহেবের বাঁ হাতে লোড করা বন্দুক। সবাই সতর্ক। চৌদ্দ বছরের ছেলেটি ভয় বোঝেনি, জীবনে প্রথম সে সুন্দরবন দেখছে। মুগ্ধতায় আবিষ্ট সে। বাঘ যে কী জিনিস তা সে জানে না, জানলে বাঘ দেখতে আসত না। সে দাঁড়াতে চাইছে। বাবা ইশারায় নিষেধ করছেন। নৌকার কেউই কথাবার্তা বলছে না। দুনিয়া থেকে এক টানেল ধরে নৌকা যেন এগিয়ে চলেছে গোপন গূঢ় কোনো রহস্যলোকে। বিস্মিত বালক হা-করে গিলছে সুন্দরবনের সৌন্দর্য। পোষা বানরটি ঝিমোচ্ছে। ওকে আনা হয়েছে হরিণের পালকে কাছে আনার জন্য কাজে লাগাতে। শিক্ষিত বানর। বাঘ যদি ওঁৎ পেতে থাকে মানুষের আগেই ও টের পাবে। দেখে ফেলবে। সিগন্যাল দেবে চেঁচিয়ে।

অনেক গভীরে আসার পর সামনের মাঝি আচমকা বৈঠা ঠেকাল। ভাটা শুরু হয়েছে। খালের পানি দৌড়ে চলেছে নদীর দিকে। সাগরও এখান থেকে খুব বেশি দূরে নয়। আচমকা নৌকা থামানোয় সবাই প্রথমে ভাবল, বাঘ! না, সামনের মাঝি আঙুল উঁচিয়ে আনুমানিক ৫০ হাত দূরের পাখিগুলোকে দেখাল। বাবা তার ছেলের কানে ফিসফিস করে বললেন, ‘সুন্দরী হাঁস’। দাঁড়ানো বন্দুকধারী ছেলেটি বাবার দিকে ফিরে ইশারায় বোঝাল, গুলি করবে কি না। ছেলেটির বাবা ইশারায় জানাল, না। নৌকা আবার চলতে শুরু করল। কৌতূহলী বালক অবাক বিস্ময়ে দেখছে হাঁসগুলোকে। পুরো শরীর দেখা যাচ্ছে না। ডুবাচ্ছে পোষাহাঁসের মতো। পাঁচটি হাঁস বড়। চারটি তুলতুলে ছানাও আছে দলে। ওরা ডুবাচ্ছে না। তবে সুযোগ পেলেই বাবা-মার পিঠে চড়ে বসছে। কিন্তু পিঠে নিয়ে আদর করার সময় ওদের নেই। বাচ্চাদের মওকা না দিয়েই ডুব দিচ্ছে বা পিঠ থেকে ঝেড়ে ফেলছে।

ফেরার পথে সেই মরানি খালের ঠিক সেই পয়েন্টে এসে দেখা গেল সকালবেলার সেই গোইলো হাঁসগুলো চরছে। বাচ্চা চারটিও আছে। মাঝি সাবধানে গোলপাতার বাড়ানো পাতাগুলোর তলা দিয়ে হাত তিরিশেক দূরত্বের ভেতর নিয়ে নৌকা থামাল।

শেষ বিকেলে ফিরতিপথ ধরল নৌকা। হরিণ জোটেনি। নৌকায় শুধু দুটি বনমোরগ ও একটি মুরগি। পাঁচটি ডিম বাসা থেকে পাওয়া। হরিণ না পাওয়া হতাশা সবার ভেতরে। দাঁড়ানো শিকারি বহুবার তার বন্ধু টিসিও সাহেবকে সুন্দরবনে এনেছে। হরিণ না নিয়ে ফেরেনি কোনোবার। আজ আবার তার ছেলে এসেছিল, প্রথম যাত্রা, সেই ভাতিজা হরিণ না নিয়ে ফিরলে বাপ-চাচার মান সম্মান থাকে! বাদল চাচা তাই বালককে বারবার আশা দিচ্ছে। শরনখোলায় ফেরার আগে সন্ধ্যা নামবে। হরিণ মারবই, অন্ধকারে টর্চের আলোয় তোমাকে আমি শত শত হরিণের হীরকের মতো জ্বলন্ত চোখ দেখাব খোকন।

ফেরার পথে সেই মরানি খালের ঠিক সেই পয়েন্টে এসে দেখা গেল সকালবেলার সেই গোইলো হাঁসগুলো চরছে। বাচ্চা চারটিও আছে। মাঝি সাবধানে গোলপাতার বাড়ানো পাতাগুলোর তলা দিয়ে হাত তিরিশেক দূরত্বের ভেতর নিয়ে নৌকা থামাল। ছেলেটির বাবা দাঁড়িয়ে গুলি করলেন। একটি হাঁস ভুস করে ডুব দিল। বাকি চারটি বড় হাঁস কর্কশ স্বরে অনেকটা দাঁড়কাকের গলা-সাধার মতো ‘ক্রোওক ক্ক ক্রুক করক করক’ ভয়ার্ত ডাক ছাড়ল। একটি ছানা জলের ওপরে চিৎ হয়ে পড়া তেলাপোকার মতো বোঁ বোঁ করে ঘুরতে লাগল। একটি বড় পাখি পানি ছুঁয়ে সরলরেখায় দ্রুত বেগে উড়ে এল নৌকার দিকে, নৌকা ও মানুষ দেখে এতটা ঘাবড়ে গেল যে, অ্যাবাউট টার্ন করতে গিয়ে গোলপাতায় আঘাত খেয়ে ধপাস করে জলে পড়ল। তারপর উড়ে গিয়ে আছড়ে পড়ল ডানপাশের গোলবনে। হাওয়া হয়ে গেল।

ডুব দেওয়া পাখিটি ভেসে উঠল ভুস করে। মারা গেছে। তুলতুলে ছানাটিও স্থির। বড় তিনটি পাখি তিনটি ছানা নিয়ে যে পথে উঠে গেছে সেখানে নেমে পড়ল ছেলেটির বাবা এবং মাঝিরা। অভিজ্ঞ এক মাঝি অনেক খোঁজাখুজি করে কেয়াকাটার ঝোপের গভীরে খুঁজে পেল বাসা। লম্বা-চওড়ায় প্রায় ১ ফুট ১০ ইঞ্চি। বাসাটি পুরু নয় বেশি, উপবৃত্তাকার বা ডিমের মতো আকার। বাসায় আছে একটি মাত্র ডিম, লম্বাটে ধরনের। আশ্চর্য। ডিম আর বাসার ধরন-গড়ন প্রায় একই রকম। বাসার বাইরে খোসা পড়ে আছে। মাঝি ডিমটা তুলল, কানের কাছে নেড়ে বলল, পচে গেছে। তবুও ডিমটা রাখল আবার বাসায়। ডিমের রঙ ঘোলাটে সবুজ। সরু ও সূক্ষ্ম কালচে- বাদামি টান লম্বালম্বি। ডিমের মোটা অংশের কিছুটা ঘন সবুজ। সরু অংশের দিকে সাদাটে ভাবটা বেশি। ছিটছোপ ঘন। কৌতূহলী বালক বাসা দেখল, ডিমটি ছুঁয়ে দেখতে গিয়ে ভেঙে ফেলল। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ল। কেয়াপাতায় হাত মুছতে গিয়ে হাতে বিঁধল কাঁটা। বাসাটি ছিল নুয়ে-পড়া একটি মরা গোলপাতার ওপরে। উপকরণ হচ্ছে, শুকনো কেয়াপাতা ও সরু আঁশ, মরা গোলপাতা, ছনঘাস এবং সুন্দরী ও কেওড়ার সরু ডালপালা। বাসাটি টেনে তুলতে গিয়ে দেখা গেল আটকে আছে। টেনে-ছিঁড়ে তোলা হলো। বাসার তলায় শুকনো কাদা। মাঝি বলল, কাদা এনে এরা আগে রাখে, তারপর বাসা করে, যাতে বাসা ঝড়বৃষ্টিতে উড়ে না যায়। নৌকায় ফিরে পাখি আর বাচ্চাটিকে হাতে নিল বালক। উল্টে-পাল্টে দেখল। প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে জেনে নিল নিচের তথ্যগুলো।

১. বছরে দুবার বাসা করে।

২. জোয়ারের পানি উঠবে না, উঠলেও বাসা ডুববে না, এ রকম জায়গা নির্বাচন করে।

৩. বাসা বেশি বেশি বাঁধে কেয়াঝোপে। তারপরের পছন্দ গোলগাছের গোড়া বা গোড়ার কাণ্ড।

৪. ঘাসবন বা বড়গাছের গোড়া অথবা শুলোবনের ভেতরটায়ও বাসা করে।

৫. জোড় বাঁধে বাসা বাঁধার আগে। দুজনে মিলে বাসা করে। ডিম পাড়ে ৪/৫টি।

৬. দুজনে তা দেয়। আনুমানিক ১ মাস পর ডিম ফোটে। বাচ্চারা জন্মের ১ ঘণ্টার ভেতরই মা-বাবার সঙ্গে জলে নামে, সাঁতরায়।

৭. ডিম-বাচ্চার বড় শত্রু হচ্ছে মেছোবাঘ ও চিতাবিড়াল। ডিমখেকো সাপেরাও ডিম-বাচ্চা গেলে। সুযোগ পেলে বাজ-ঈগলেরা বাচ্চা তুলে নেয়। গুইসাপ আর ভোঁদড়ও ডিম-বাচ্চার বড় শত্রু।

৮. না পারতে গোইলো হাঁসেরা ডাকাডাকি করে না।

৯. ভীত স্বভাবের। খোলা জায়গায় সহজে যায় না।

১০. ছোট বাচ্চার রং থাকে বাদামি-কালচে। যত বড় হয়, ততই কালচে ভাবটা কমে আসে।

মণির পাশের বৃত্তটা আলতা-লাল। ঠোঁটের রং কমলা-হলুদ। ডানা বুজানো অবস্থায় পিঠের রং কালচে বাদামি খয়েরি। ঘাড় ও মাথা শ্লেটরঙা। চোখের পাশ থেকে সাদা একটি টান নেমেছে গলার ওপরিভাগ পর্যন্ত। লেজের নিচের রং গাঢ় ছাই, সবমিলে পাখিটিকে হাঁস বলেই মনে হবে দূর থেকে।
কালামুখ প্যারাপাখি বা সুন্দরী হাঁস।

বালক গল্প শুনতে শুনতে পাখি ও পাখির ছানা দেখল মন ভরে। চোখ দেখল। ঠোঁট ফাঁক করে দেখল। ডিমের রং দেখল, আগে কোনোদিন দেখেনি।

এবার সুন্দরবনের এই সুন্দর পাখিটির পরিচয় জানা যাক। নাম সুন্দরী হাঁস। সুন্দরবনে থাকে বলেই দক্ষিণ সুন্দরবনে এমন নাম। গোলবনে বেশি থাকে বলে বলা হয় গোইলো হাঁস, শুদ্ধ ভাষায় গোলবনের হাঁস। ইংরেজি নাম মাঙ্গড্ড ফিনফুট। বৈজ্ঞানিক নাম Heliopais personata। ঠোঁটের আগা থেকে লেজের ডগা পর্যন্ত মাপ ৫৪-৫৭ সেন্টিমিটার। গলার তল থেকে বুক পর্যন্ত কালো। কপাল-কপোলও কালো। বুক-পেট সাদাটে বাদামি। পা ও পায়ের আঙুল হলুদরঙা, তাতে সবুজ আভা। চোখের মণি কালো। মণির পাশের বৃত্তটা আলতা-লাল। ঠোঁটের রং কমলা-হলুদ। ডানা বুজানো অবস্থায় পিঠের রং কালচে বাদামি খয়েরি। ঘাড় ও মাথা শ্লেটরঙা। চোখের পাশ থেকে সাদা একটি টান নেমেছে গলার ওপরিভাগ পর্যন্ত। লেজের নিচের রং গাঢ় ছাই, সবমিলে পাখিটিকে হাঁস বলেই মনে হবে দূর থেকে। চালচলনও সে রকম। তবে পানিতে যখন ভাসে, হাঁসের মতো পুরো শরীর ওপরে থাকে না। শুধু ঠোঁট-মাথা-চোখ জলের ওপরে রেখেও চলতে পারে। ডুবসাঁতারে ওস্তাদ। লেজ ও ডানার পালক ছাড়া শরীরের অন্যান্য পালক মোলায়েম ও পেলব। মাথার তালুর পালক বেশি মোলায়েম, ফোলা ফোলা। ভয় পেলে ওই পালকগুলো একটু জেগে ওঠে এবং আনন্দেও।

যেসব শিশু-কিশোর সুন্দরবনে বেড়াতে গেছে, তাদের অনেকেই হয়তো এই পাখিটিকে দেখেছে। তবে ভীতু বলে ঝট করে লুকিয়ে পড়ে, সহজে দেখা যায় না। থাকে নদী ও খালের পাড়ের গোল কেয়া হেঁতাল বনে। প্রয়োজনে মূর্তির মতো নিথর হতে পারে।

পোষা পাতিহাঁসের খাদ্য তালিকায় যা যা পড়ে, সুন্দরী হাঁসও তাই তাই খায়। তবে সুন্দরবনে যা পাওয়া যায়। শুনেছি ধান-চাল পেলেও খায়।

সুন্দরবনে বেড়াতে গেলে বাঘ হরিণ খোঁজা বা দেখার জন্য চোখে যখন বাইনোকুলার তুলবে, শিশু-কিশোরেরা তখন সুন্দরী হাঁসও খুঁজবে বলে আশা করি আমি। খুব সুন্দর পাখি। আজো আমি সুন্দরবনে গেলে হন্যে হয়ে দেখতে চাই সুন্দরী হাঁস। বারবার দেখেও যে সাধ মেটে না!

লেখক: প্রকৃতিবিদ ও পাখিবিশারদ

 

* লেখকের বাংলাদেশের পাখি (৩য় খণ্ড), শিশু একাডেমি (২০০৮) থেকে নেওয়া

রং-বেরঙের পাখি নিয়ে আরও পড়ুন