বিড়াল রাতের অন্ধকারে দেখে কীভাবে

বিড়াল সম্পর্কে পৃথিবীর প্রায় সবখানেই অনেক গুজব চালু আছে। অনেকের বিশ্বাস বিড়ালের নয়টা প্রাণ। কারো ধারণা, কালো বিড়াল অশুভ। তবে প্রাচীন মিশরে বিড়ালকে দেবতা হিসেবে পূজা করা হতো। বিড়াল দেবতার নাম ছিল বাস্ট। সে কারণে বিড়ালের মৃত্যুর পর ফারাও রাজাদের মত বিড়ালদের মমি করে পিরামিডে রাখা হতো। মধ্যযুগে ইউরোপে বিড়ালকে দেখা হতো ভয় আর ঘৃণার চোখে। কারণ বিড়াল শয়তানের সঙ্গী বলে বিশ্বাস ছিল সে যুগের মানুষদের।

তবে বিড়াল যে অলস ও আরাম প্রিয় তা আমরা সবাই জানি। বিড়াল দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটায়। কিছু বিড়াল শিকার করে রাতে। রাতের অন্ধকারে বিড়ালকে অনায়াসে চলাফেরা করতে দেখে অনেকের ধারণা, বিড়াল অন্ধকারে দেখতে পায়। অবশ্য তথ্যটি আংশিক সত্য।

আরও পড়ুন
প্রাচীন মিশরে বিড়ালকে দেবতা হিসেবে পূজা করা হতো। বিড়াল দেবতার নাম ছিল বাস্ট। বিড়াল যে অলস ও আরাম প্রিয় তা আমরা সবাই জানি। লোয় সাধারণত মানুষ কিছুই দেখতে পায় না, কিন্তু বিড়াল এসব ক্ষেত্রে অনেক ভালো দেখে।

আসলে পুরোপুরি অন্ধকার রাতে বিড়াল কিছুই দেখতে পায় না। কিন্তু খুব সামান্য আলো থাকলেই বিড়ালের জন্য যথেষ্ট। এরকম আলোয় সাধারণত মানুষ কিছুই দেখতে পায় না, কিন্তু বিড়াল এসব ক্ষেত্রে অনেক ভালো দেখে। কারণ বিড়ালের চোখের রেটিনার পেছনে টাপেটাম নামে একটি অংশ আছে। বাইরের সামান্য আলো টাপেটামে প্রতিফলিত হয়ে চোখের কোন কোষে আঘাত করে। টাপেটাম থেকে কোন কোষে প্রতিফলিত হওয়ার সময় আলো কিছুটা বর্ধিত হয়। ফলে বিড়াল স্বল্প আলোতেও স্পষ্টভাবে দেখতে পায়। অন্ধকারে বিড়ালের চোখ জ্বলজ্বল করে এই টাপেটামের কারণে।

টাপেটাম বিড়ালকে স্বল্প আলোয় ভালোভাবে দেখতে সাহায্য করলেও আরও কিছু বৈশিষ্ট্য বিড়ালকে অন্ধকারে চলতে সাহায্য করে। বিড়ালের ঘ্রাণশক্তি ও শ্রবণশক্তি বেশ প্রখর। আর এগুলোই বিড়ালকে অন্ধকারে শিকার খুঁজে নিতে বা নিরাপদে চলাচল করতে অনেকটা সাহায্য করে।

আরও পড়ুন