খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তায় প্রযুক্তি

গত ১৫ অক্টোবর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত হয় মাসব্যাপী চলা ‘ইয়ুথ ফর সায়েন্স ২০২২’-এর চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী। রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমনা ইসলাম। তাঁর লেখাটি সামান্য সম্পাদিত ও পরিমার্জিত রূপে প্রকাশ করা হলো।

গত ১৫ অক্টোবর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত হয় মাসব্যাপী চলা ‘ইয়ুথ ফর সায়েন্স ২০২২’-এর চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী। সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় তিনটি বিভাগে (রচনা, ফটোগ্রাফি ও কুইজ) অংশগ্রহণ করেন। এতে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমনা ইসলাম রূপা
রচনা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন

গত তিন দশকে বাংলাদেশ খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতির স্থিতিশীল উন্নতি সাধন করেছে। জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হলেও খাদ্য উৎপাদন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের তুলনায় বেশি ছিল। পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নতির ক্ষেত্রেও অর্জিত হয়েছে অগ্রগতি। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে কৃশকায় ও খর্বতার হারের মতো অপুষ্টিকর সূচকে উন্নতি হয়েছে, হ্রাস পেয়েছে পুষ্টিহীনতার সূচক। পুষ্টিহীনতার প্রবণতা বা ক্ষুধা পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত সূচকের হার ১৯৯৯–২০০১ সালে ছিল গড়ে ২০ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৬–১৮ সালের মধ্যে তা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে গড়ে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে খর্বতার হার ২০০৪ সালে ছিল ৫১ শতাংশ। এটা কমে ২০১৮ সালে ৩১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা

পুষ্টিনিরাপত্তা বিষয়টি খাদ্যনিরাপত্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একসময় খাদ্যনিরাপত্তা বলতে প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবারের প্রাপ্যতাকেই বোঝানো হতো। পুষ্টি কথাটি তেমন গুরুত্ব পায়নি। খাদ্যনিরাপত্তার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় অত্যাবশ্যক। খাদ্যের প্রাপ্যতা, লভ্যতা ও পুষ্টিমান। এর মধ্যে খাদ্যের পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে হলে খাদ্যতালিকায় সবজির অন্তর্ভুক্তি অবশ্যই থাকতে হবে। একটি স্লোগান আছে, ‘সুস্থ সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’।

বাংলাদেশে খাদ্যনিরাপত্তার অবস্থান

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭ কোটি। তারপরও খাদ্যঘাটতি ছিল প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন। সময়ের সঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণের বেশি। আশঙ্কাজনক হারে জমির পরিমাণও কমেছে। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। চাল উৎপাদনে আজ আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষক, খেতমজুর, কৃষিবিদ ও কৃষিবিজ্ঞানীদের ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে। ধান উৎপাদনে বিশ্বে আমরা চতুর্থ, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে সপ্তম, আম উৎপাদনে অষ্টম, ছাগল ও মাছ উৎপাদনে চতুর্থ। তবে এতে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। কেননা আমরা এখনো পুষ্টি ও গুণগত মানের খাবার উৎপাদন ও গ্রহণে অনেক পিছিয়ে। তা ছাড়া আমরা এখনো খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে পারিনি। খাদ্যনিরাপত্তায় শস্যখাদ্যে শক্তিশালী পর্যায়ে থাকলেও ভুগছি পুষ্টিনিরাপত্তাহীনতায়। সুস্বাস্থ্যের জন্য জনপ্রতি আমাদের নিয়মিত প্রায় ২৫০ গ্রাম শাকসবজি, ১২৫ গ্রাম ফল, প্রায় ৫০ গ্রাম প্রোটিন, ৩৫ থেকে ৪০ গ্রাম শর্করা, ১ চা–চামচ আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া দরকার। অথচ আমরা প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম শাকসবজি, ৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম ফল, ১৫ গ্রাম শর্করা খাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি।

সুস্বাস্থ্যের জন্য জনপ্রতি আমাদের নিয়মিত প্রায় ২৫০ গ্রাম শাকসবজি, ১২৫ গ্রাম ফল, প্রায় ৫০ গ্রাম প্রোটিন, ৩৫ থেকে ৪০ গ্রাম শর্করা, ১ চা–চামচ আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া দরকার।
জাপানি কৃষকেরা ধানের জমি থেকে আগাছা নিধন করছে

পুষ্টিচাহিদা পূরণ ও রোগপ্রতিরোধে শাকসবজির ভূমিকা

সবজি পুষ্টিকর খাদ্য। কাঁচা বা রান্না সুস্বাদু খাবারের ভান্ডার সবজি। এটি সুস্থ, সবল, কর্মক্ষম ও বুদ্ধিদীপ্ত জাতির খাদ্যতালিকার অপরিহার্য অংশ। বছরব্যাপী নানা ধরনের নিরাপদ সবজির চাষ সম্প্রসারণ ও কার্যকর করে পুষ্টিহীনতা বা পুষ্টিস্বল্পতা দূরীকরণে অবদান রাখা যাবে। সেই সঙ্গে উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত কৃষকেরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। তা ছাড়া মানবদেহের পুষ্টিচাহিদা পূরণে শাকসবজির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশেষ করে স্বল্প খরচে বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিন ও খনিজ লবণের উৎস হিসেবে এর বিকল্প নেই। শরীর গঠনে ও বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশেঅ এটি অত্যাবশ্যকীয়। সবজির জগতে বৈচিত্র্যময় বহু ফসলের সমাহার এবং বছরব্যাপী এর চাষাবাদ ও প্রাপ্যতা নিশ্চত করা গেলে পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পুষ্টির অভাবজনিত বিভিন্ন রোগের হাত থেকেও জাতিকে মুক্ত রাখা যাবে।

পুষ্টিঘাটতিজনিত সমস্যাবলি

বিভিন্ন প্রকার খাদ্য উপাদান, যেমন শর্করা, আমিষ, তেল, খাদ্যপ্রাণ ও খনিজ লবণের অভাবে মানুষের শরীরে বিভিন্ন রকমের অপুষ্টিজনিত সমস্যা দেখা যায়। যেমন শিশুর কম ওজন নিয়ে জন্মানো, বিভিন্ন অপুষ্টিজনিত রোগ, নারী ও শিশুর রক্তশূন্যতা, প্রয়োজনীয় ক্যালরির অভাব, ভিটামিন এ–এর অভাবজনিত রোগ, রাইবোক্লেভিনের অভাব, গলা ফোলা, শিশুদের অন্ধত্ব ইত্যাদি। এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণের সবচেয়ে সহজলভ্য এবং কম ব্যয়বহুল উপায় হলো খাদ্যতালিকায় রকমারি সবজি খাওয়া। সামগ্রিকভাবে বছরব্যাপী অন্যান্য খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি খেলে অপুষ্টিজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

পাহাড়ি ঢালে ধান চাষ
দেশের প্রায় ১৫ শতাংশ এলাকায় পাহাড় আছে।

খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার

উচ্চফলনশীল জাতের ধান, যেমন ব্রি–২৮, ব্রি–২৯, ব্রি–৫৮, ব্রি–৪৮, ব্রি–৪৯সহ গুরুত্বপূর্ণ সব ধানের জাত ব্যবহারে আজ বাংলাদেশ শস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তা ছাড়া গম, ভুট্টাসহ শাকসবজি চাষে হাইব্রিড জাতের বীজ ব্যবহারে ফসল উৎপাদনে এসেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। ফসলের নতুন জাত আবিষ্কার, যেমন রোগ ও পোকা প্রতিরোধী জাত, ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। হাইব্রিড ফসল ছাড়াও নিচের প্রযুক্তি বা পদ্ধতিতে আমাদের খাদ্যঘাটতি পূরণ করা সম্ভব—

এক, আন্তফসল চাষাবাদ। অর্থাৎ একই জমিতে একসঙ্গে একাধিক ফসল চাষ করা। যেমন তুলা বা আখের সঙ্গে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল–জাতীয় শস্য, শাকসবজি কিংবা গম চাষ করা যায়। ধানের জমিতে মাচা করে চাষ করা যায় শাকসবজি।

দুই, পাহাড়ি এলাকায় চাষাবাদ। দেশের প্রায় ১৫ শতাংশ এলাকায় পাহাড় আছে। অল্প জায়গায় জুমচাষ ও মসলা চাষ ছাড়া বাকি জমি অনাবাদি থাকে। এখানে সল্ট (SALT-SLOPPING AGRICULTURAL LAND TECHNOLOGY) পদ্ধতিতে চাষ করা যায়। এ পদ্ধতিতে বনজ, ফলদ ও রবার বৃক্ষের পাশাপাশি শাকসবজি ও মাছ চাষ এবং পশু পালন করা সম্ভব।

তিন, চর এলাকায় চাষ। বাংলাদেশে নদীর পাড়ের এলাকাগুলোয় শুধু বালুচর। এসব চরে ফসল বিন্যাস করে বালুমাটির উপযোগী, যেমন তরমুজ, বাদাম, আখ, শর্ষে ও ভুট্টাজাতীয় ফসল চাষাবাদ করা যেতে পারে।

চার, শস্য বহুমুখীকরণ। দেশে ধান ছাড়া দুই শতাধিক ফসল চাষাবাদের সুযোগ আছে। সব ধরনের ফসল-ই চাষ করা উচিত। কারণ, এতে ভাতের ওপর চাপ কম পড়বে। পুষ্টিচাহিদা পূরণ হবে। বাড়বে মাটির উর্বরতা। খাদ্যশস্যের উৎপাদনও বাড়বে।

পাঁচ, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। কল সেন্টার, রোগনির্ণয়, পূর্বাভাস জানা, ঋণ ও পণ্য বিতরণ, কৃষিপণ্য ক্রয়–বিক্রয়, তথ্য প্রচার ইত্যাদি কাজে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির ব্যবহারে ফসল উৎপাদন সহজ হবে ও বৃদ্ধি পাবে।

ছয়, জৈবপ্রযুক্তির প্রয়োগ। আন্তর্জাতিক জৈবপ্রযুক্তি সম্মেলনে কৃষিবিজ্ঞানীরা বলেছেন, শুধু জৈবপ্রযুক্তি দিয়ে অতিরিক্ত তিন কোটি মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন সম্ভব। জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুত ও প্রচুর চারা উৎপাদন করা যায়। এ ছাড়া নতুন জাত উদ্ভাবন করে ফলন বৃদ্ধি করাও সম্ভব।

সাত, ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ। হাওর ও জলাবদ্ধ এলাকায় ভাসমান পদ্ধতিতে কচুরিপানার ওপর সারা বছর সবজি চাষ করা যায়। ফসলের চারাও উৎপাদন করা যায় এভাবে।

সবজি ফসলের প্রযুক্তিগত অবস্থা

১০০টির বেশি সংকর জাতের মধ্যে বেশ কয়টি জাত সবজির উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। এর মধ্যে টমেটো, বেগুন, লাউ, ঢ্যাঁড়শ, মিষ্টিকুমড়া, ঝিঙে, লালশাক, কলমিশাক, চিনাশাক, বাটিশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, শিম, বরবটিসহ আরও কিছু সবজির জাত বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কর্মপন্থার কিছু সুপারিশ

পুষ্টিনিরাপত্তার বিষয়টি বাংলাদেশে এখনো যথেষ্ট অবহেলিত। ফলে বিভিন্ন প্রকার অপুষ্টিজনিত রোগশোকে আক্রান্তের হারও এখন উদ্বেগজনক। এ অবস্থা অবসানে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করে উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল, যেমন সবজির উৎপাদন বাড়িয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আপামর জনগণের পুষ্টিনিরাপত্তা বিধানে আরও বেশি সচেষ্ট হওয়ার এখনই সময়। এ জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া গেলে লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে দ্রুত।

১. উৎপাদিত সবজির ন্যূনতম বাজারমূল্য নির্ধারণ করে কৃষক পর্যায়ে তার প্রাপ্ততা নিশ্চিত করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

২. কৃষক পর্যায়ে সবজির সংগ্রহ ও স্বল্পকালীন সংরক্ষণের সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে।

৩. এলাকায় প্রশিক্ষিত চাষি তৈরি করে রপ্তানিকারকদের সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

৪. সবজির মতো পচনশীল পণ্য পরিবহনে বিশেষ সুবিধা প্রদান করতে হবে।

৫. চলমান গবেষণা কার্যক্রম আরও কার্যকর ও গতিশীল করার পদক্ষেপ নিতে হবে।

খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের পদক্ষেপ

বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ সবার জন্য কাঙ্ক্ষিত খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা অর্জনে সফল হবে।

খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ সরকার বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। একটি দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করে খাদ্যনিরাপত্তার ওপর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি খাত সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়ায় বিশ্বব্যাপী খাদ্যনিরাপত্তা বড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে। খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো হলো—নীতি প্রণয়ন, দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষির সার্বিক উন্নয়ন, কৃষি গবেষণায় গুরুত্ব প্রদান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের সহায়তা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ, কৃষিজমির আওতা সম্প্রসারণ, দুর্যোগ মোকাবিলা, খাদ্যশস্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিম্ন আয় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্যপ্রাপ্তি কর্মসূচি।

খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তার মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যপ্রাপ্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে সবার জন্য খাদ্যনিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টিমান অর্জন। এ কারণে প্রযোজ্য সব ক্ষেত্রে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যপ্রাপ্তির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট সব প্রকল্প, কর্মসূচি, কার্যক্রম প্রণয়ন ও দিকনির্দেশনা প্রদান করা হবে। বহু খাতভিত্তিক কর্মসূচিগুলোর ফলাফল হিসেবে উন্নত পুষ্টিমান অর্জনে ভূমিকা রাখার বিষয়টিকে এ নীতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করেছে। আশা করা যায়, জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা নীতির কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ সবার জন্য কাঙ্ক্ষিত খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা অর্জনে সফল হবে।

লেখক: শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর