বায়ুদূষণের ক্ষতিপূরণ

বায়ুদূষণ আমাদের জীবনে নিত্যদিনের ঘটনা। এটা যে কী পরিমাণ ক্ষতিকর, তা নিয়ে তাই আলাদাভাবে ভাবি না আমরা। বিশেষ করে ঢাকা শহরের রাস্তায় বের হলে মনে হয়, হলিউডের সিনেমায় দেখানো ডিস্টোপিয়ান কোনো শহর এটি। শুধু মনে হওয়ার ব্যাপার নয়, তথ্য-উপাত্তও সে ইঙ্গিতই দেয়। আইকিউএয়ার (IQAir) নামের একটি সুইস কোম্পানি প্রতিনিয়ত বৈশ্বিক বায়ুর মান পরিমাপ করে। তাদের ২০২০ সালের রিপোর্ট বলছে, বায়ুদূষণে বাংলাদেশ আছে প্রথম স্থানে। আর ঢাকা পৃথিবীর ২১তম দূষিত শহর এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত রাজধানী! বাংলাদেশের পিএম২.৫ কণার বার্ষিক গড় ঘনত্ব ৭৭.১। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) হিসাবে বায়ুদূষণের নিরাপদ মাত্রার ৭ গুণ বেশি।

বলে রাখা ভালো, মানুষের চুলের প্রায় ৩০ গুণ ছোট যেসব কণা বাতাসের সঙ্গে মিশে গিয়ে বায়ুদূষণ ঘটায়, সেগুলোই পিএম২.৫ নামে পরিচিত। কলকারখানা, মোটরগাড়ি বা পোড়া কাঠ থেকে এ ধরনের কণা উৎপন্ন হয়ে বাতাসে মিশে যেতে পারে।

মনে হতে পারে, এই যে বায়ুদূষণ, এর সঙ্গে তো আমাদের নিত্য বসবাস। কই, আমাদের তো তেমন কোনো ক্ষতি হচ্ছে না! আসলে হচ্ছে। প্রচণ্ড ক্ষতি হচ্ছে। ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এক বছরে মোট মৃত্যুর ২০ শতাংশ ঘটেছে এই বায়ুদূষণের কারণে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব (২০১৬) অনুসারে, এর মান ১ লাখ ৯৫ হাজার। এটা শুধুই সংখ্যা নয়। এই ১ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ প্রতিবছর মারা যাচ্ছে শুধু বায়ুদূষণের কারণে।

শুধু মৃত্যুই নয়, অনেকে বেঁচে থেকেও ভুগছে প্রচণ্ডভাবে। দীর্ঘ সময় বায়ুদূষণের সংস্পর্শে থাকলে মস্তিষ্কের গঠন বদলে যায়, বেড়ে যায় আলঝেইমারের ঝুঁকি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্নায়ুতন্ত্রও। ফলে পারকিনসনের মতো মারাত্মক রোগে দীর্ঘ সময় ভুগে মারা যায় অনেকে। শুধু এসবই নয়, বায়ুদূষণ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো রোগের পেছনেও ভূমিকা রাখে। আর ফুসফুস তো বলতে গেলে ধ্বংসই করে দেয় দূষিত বায়ু। শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, কাশির মতো রোগ হয় সে জন্য। কিডনিতেও সমস্যা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব অঞ্চল বেশি দূষিত, সেখানকার মানুষ কিডনির সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়।

এ ছাড়া বায়ুদূষণের জন্য অনেক শিশু নির্ধারিত সময়ের আগে জন্ম নেয়। ইংরেজিতে যাকে বলে প্রি–ম্যাচিওর বার্থ। এ জন্য দেখা যায়, শিশুটির বিভিন্ন অঙ্গ ঠিকভাবে গড়ে উঠতে পারেনি। ওজন যা থাকার কথা, তার চেয়ে অনেক কম। পাশাপাশি অনেক শিশুই শুধু মা-বাবা বায়ুদূষণের সংস্পর্শে থাকার ফলে শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জন্মায়। মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন জটিলতা থেকে শুরু করে জন্মের সময় শিশু মারাও যেতে পারে বায়ুদূষণের জন্য।

২.

সামাজিক অবক্ষয় ও অপরাধের পেছনেও আছে বায়ুদূষণের ভূমিকা। গবেষণা বলছে, বায়ুদূষণ মস্তিষ্কের ওপর যে প্রভাব ফেলে, তার ফলে মানুষের বিবেচনা বোধ এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। বেড়ে যেতে পারে মানসিক সমস্যা ও অপরাধপ্রবণতা।

২০১১ সাল। লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের সেফি রথ নামের এক শিক্ষক বায়ুদূষণের বিভিন্ন প্রভাব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিলেন। তিনি ভাবলেন, চিন্তাশক্তির ওপর এর কোনো প্রভাব পড়ে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখবেন।

এ জন্য শিক্ষার্থীদের কয়েকটি পরীক্ষার দিন বেছে নেওয়া হলো। সেসব দিনে বায়ুদূষণের মাত্রা কেমন থাকে, সেটা দেখা হলো। বিশেষ করে বায়ু ছাড়া বাকি সব উপাদান যেন একই থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা হলো। যেমন ভিন্ন ভিন্ন দিন পরীক্ষা নেওয়া হলেও অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থী একই হতে হবে। পরীক্ষা হতে হবে একই জায়গায়, প্রশ্নের মান হতে হবে একই রকম ইত্যাদি। গবেষক দল আবিষ্কার করল, বায়ুদূষণের মাত্রা যেদিন বেশি ছিল, সেদিন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাও খারাপ হয়েছে। তার মানে, বায়ুদূষণ আসলেই শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে।

বাস্তব জীবনে যা হয়, গবেষক দল তারপর সেটাই দেখাল। যারা সেদিনের পরীক্ষা খারাপ করেছে, তারা স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে গেছে। তুলনামূলক ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ না পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। যার ফল পড়বে তাদের চাকরিজীবনেও। যেটা আবার তাদের ভবিষ্যৎ পারিবারিক জীবনেও প্রভাব ফেলবে। মানে, কেবল পরীক্ষার দিনটায় যে এলাকার বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি থাকবে, সারা জীবনের জন্য সে এলাকার শিক্ষার্থীরা কোনো কারণ ছাড়াই অনেকটা পিছিয়ে যাবে। পরবর্তী প্রমাণ পাওয়া গেল ২০১৬ সালে, আরেক দল গবেষক এ নিয়ে পরীক্ষা করে একই ফলাফল পেলেন।

রথ ও তাঁর দল পরবর্তী সময়ে তাঁদের গবেষণা আরেক ধাপ এগিয়ে নিল। দুই বছরে লন্ডনের ৬০০ ইলেকটোরাল ওয়ার্ডে (ভোটের হিসাবে ভাগ করা এলাকা) যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেসব তথ্য নিয়ে কাজ করল। দেখা গেল, যে রকম এলাকাই হোক না কেন, ভয়ংকর সব অপরাধ যেসব দিনে ঘটেছে, সেসব দিনের বায়ুদূষণের মাত্রা অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি ছিল। হ্যাঁ, এর মধ্যে অন্য অনেক ব্যাপারই থাকতে পারে। শুধু এটুকু যুক্তি দিয়ে গবেষণার ফলাফল টেনে ফেলা যায় না। তাহলে ব্যাপারটা সঠিক কি না, সেটা পুরোপুরি বোঝার উপায় কী?

গবেষকেরা কিছু এলাকা বেছে নিয়ে সেখানে দূষিত বায়ু শনাক্ত করে তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন। যেসব এলাকা তুলনামূলকভাবে কম দূষিত, সেসব এলাকায় এভাবে দূষিত বায়ুমেঘ শনাক্ত করা সম্ভব। আর বাতাস যেদিকে বইবে, দূষিত বায়ু ধীরে ধীরে সেদিকে সরে যাবে। সে হিসাবে, একটা শহরে সময়ে সময়ে বায়ুদূষণের পরিমাণ কমবেশি হবে। রথের ভাষায়, ‘আমরা কেবল দূষিত বায়ুমেঘগুলোকে অনুসরণ করেছি। সেই সঙ্গে সেসব এলাকার অপরাধপ্রবণতার দিকেও লক্ষ রেখেছি। দেখা গেছে, দূষিত বায়ু যে এলাকার দিকে যাচ্ছে, অপরাধের হার সেখানে তুলনামূলকভাবে বেড়ে যাচ্ছে।’

এ গবেষণা থেকে অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলেও ভয়াবহ অপরাধগুলোর ওপর এর প্রভাব সেভাবে বোঝা যায়নি। কিন্তু ২০১৮ সালের আরেক গবেষণা থেকে খুন, ধর্ষণের মতো অপরাধের ওপরও বায়ুদূষণের প্রভাবের সম্ভাব্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। গবেষণাটি এমআইটির গবেষক জ্যাকসন লুর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রায় ৯ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ৯ হাজারের মতো এলাকা নিয়ে কাজ করেছেন তাঁরা। দেখা গেল, ছয়টি ভয়াবহ অপরাধ, যেমন খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি ইত্যাদির ওপরে বায়ুদূষণের প্রভাব পড়ছে এবং যেসব শহরে দূষণের মাত্রা বাড়ছে, সেখানে অপরাধের মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে।

বৈজ্ঞানিক গবেষণার একটা বড় বৈশিষ্ট্য হলো সে শুধু তথ্য বিশ্লেষণই করে না, বরং বিশ্লেষিত তথ্য ব্যবহার করে অনুমান করতে পারে, কী ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে। পরে এসব অনুমান পরীক্ষা করে দেখা হয়, মিলছে কি না। না মিললে গবেষণাটি বাতিল হয়ে যায়। আর অনেক অনেক পরীক্ষায় বারবার পাস করে গেলে গবেষণাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।

দেখা গেল, জ্যাকসন লুর গবেষণা শুধু তথ্য বিশ্লেষণই করছে না, বরং বায়ুদূষণের মাত্রা হিসাব করে বলে দিতে পারছে, কোন শহরে কোন দিন অপরাধের হার কেমন হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এই গবেষণায় বয়স, লিঙ্গ, চাকরিজীবীদের পেশাগত পদ এবং সেই হিসাবে তাদের আয়-ব্যয়, জনসংখ্যা ইত্যাদি ব্যাপার (ইংরেজিতে ফ্যাক্টর বা ভ্যারিয়েবল বলে) হিসাবে রাখা হয়েছে।

পরে আরেক দল গবেষক অপরাধমূলক আচরণ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, প্রতারণা কিংবা স্কুল পালানো থেকে শুরু করে ছোটখাটো চুরি, ভাঙচুর ইত্যাদির ওপরও বায়ুদূষণের প্রভাব আছে। এই গবেষণায় ৬২৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। সাউথ ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ডায়ানা ইউনান ও তাঁর সহকর্মীরা এই গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁরা বিশেষ করে বাতাসে পিএম২.৫ কণার দূষণের দিকে খেয়াল রেখেছিলেন।

যেহেতু দীর্ঘদিন কিছু নির্দিষ্ট এলাকার মানুষ এ ধরনের দূষিত বায়ু শ্বাসের সঙ্গে টেনে নিচ্ছে, মোটামুটি ১২ বছরের মতো এ ধরনের দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিলে কী অবস্থা হতে পারে, সেটা হিসাব করে দেখেছেন তাঁরা। এ গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল আগের গবেষণাগুলোকে ভালোভাবে সমর্থন করেছে। গবেষণায় ইউনান ও তাঁর দল পারিবারিক শিক্ষা, দারিদ্র্য, এলাকার প্রতিবেশীদের ব্যবহারসহ ইত্যাদি অনেক ফ্যাক্টর ধরে ধরে হিসাব করে দেখেছে। দেখা গেছে, বায়ুদূষণের প্রভাব বাদ দিয়ে শুধু অন্যান্য ফ্যাক্টরের কথা হিসাব করলে মানুষের এ রকম অপরাধপ্রবণতাকে ঠিক ব্যাখ্যা করা যায় না।

দূষিত বায়ুর সংস্পর্শে দীর্ঘদিন থাকলে মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা ও স্বার্থপর ভাবনা মাথাচাড়া দেয়। শান্ত মাথায় অপরাধ করা বা কাউকে ঘুষি মেরে বসার চেয়ে, উদ্বিগ্ন অবস্থায় মেরে বসার সম্ভাবনা বেশি। তার মানে, শুধু যৌক্তিক হিসাব কষেই বলা যায়, বায়ুদূষণ মানুষের ব্যবহারের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।

গবেষকদের মতে, শুধু উদ্বেগ বা স্বার্থপর ভাবনাই নয়, জৈবিক কারণও আছে এর পেছনে। দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিলে মস্তিষ্ক প্রয়োজনের চেয়ে কম অক্সিজেন পায়। এ রকম অবস্থায় সে যে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারবে না, সেটাই স্বাভাবিক। তা ছাড়া আগেই বলেছি, দূষিত বায়ু নাক-কান-গলা-ফুসফুসের ওপরও বাজে প্রভাব ফেলে। বদলে দেয় মস্তিষ্কের গঠন। এসবের ফলে মস্তিষ্কে স্নায়বিক সংযোগের ক্ষতি হতে পারে। এই ক্ষতি মস্তিষ্কের প্রি-ফ্রন্টাল লোবে হয়। আর মস্তিষ্কের এই অংশই মূলত আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, বিবেচনাবোধ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে।

আশার কথা হচ্ছে, এখনো সব শেষ হয়ে যায়নি। হ্যাঁ, কোনো এলাকার বায়ুদূষণ নিয়ে আমরা রাতারাতি কিছু করে ফেলতে পারব না। তবে গাছ লাগানো, রাস্তায় প্লাস্টিক, পলিথিন ইত্যাদি ময়লা না ফেলা—এ ধরনের কাজগুলো নিজে অভ্যাস করার চেষ্টা করলেই এ ব্যাপারে অনেকটা ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। বিন্দু বিন্দু জল যেমন সমুদ্র গড়ে তোলে, তেমনি একেকজন মানুষ নিয়েই গঠিত হয় সমাজ, দেশ। একটি দেশের বেশির ভাগ নাগরিক যদি সচেতন হয়, তাহলে অনেক অসম্ভবকেও সম্ভব করে তোলা যায়। আর বলা বাহুল্য, এসব ক্ষেত্রে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারে। তবে সে জন্য নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। এমন একটি উদাহরণ, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বছর দুয়েক আগে বসানো ময়লার ঝুড়ি। এগুলোর বেশির ভাগই এখন আর নেই। তা ছাড়া বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে, মানুষ ঝুড়ির পাশে ময়লা ফেলে রাখছে। এসব ক্ষেত্রে নিজেরা সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা একটি বাসযোগ্য দেশ ও চমৎকার পৃথিবী রেখে যেতে চাই, নাকি পৃথিবীর ধ্বংসাবশেষ রেখে যেতে চাই, এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের জবাব আমাদেরই খুঁজে বের করতে হবে। শুধু মানবিকতা বোধ আমাদের এতটা পথ পাড়ি দিয়ে আসতে সাহায্য করেছে। মানবিকতা নিয়ে সবাই যদি সবার পাশে দাঁড়াই, সচেতন হই; আশা করা যায়, বায়ুদূষণের এই ভয়ানক প্রভাবও আমরা একসময় কাটিয়ে উঠতে পারব। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে পারব একটি চমৎকার পৃথিবী।

লেখক: সদস্য, সম্পাদনা দল, বিজ্ঞানচিন্তা

সূত্র: আইকিউএয়ার, পিএ টাইমস, হু, পাবমেড ডট গভ, ওয়্যার্ড, দ্য লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (এলএসই)

গবেষণাপত্র ১ : https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/29412050/

গবেষণাপত্র ২ : https://wol.iza.org/articles/air-pollution-educational-achievements-and-human-capital-formation/long

গবেষণাপত্র ৩ : https://link.springer.com/article/10.1007/s10802-017-0367-5

গবেষণাপত্র ৪ : https://www.lse.ac.uk/GranthamInstitute/publication/crime-is-in-the-air-the-contemporaneous-relationship-between-air-pollution-and-crime/