ফটোফিচার
সনির চোখে প্রকৃতির বিশ্বসেরা ছবি
সম্প্রতি সনি ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা ২০২৫-এর ওয়াইল্ডলাইফ ক্যাটাগরির বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এটি ছিল এ প্রতিযোগিতার ১৮তম আসর। এবারের প্রতিযোগিতায় ১০ ক্যাটাগরিতে মোট ৪ লাখ ১৯ হাজারের বেশি ছবি জমা পড়েছে। সনি ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত। এতে ২০০টি দেশের ফটোগ্রাফারা অংশ নেয়। সেখান থেকে ওয়াইল্ডলাইফ ক্যাটাগরির বাছাইকৃত সেরা ৭টি ছবি বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকদের জন্য প্রকাশিত হলো।
১. শীতনিদ্রার প্রস্তুতি
অ্যান্টার্কটিকা থেকে ছবিটি তুলেছেন ফ্রান্সের এস্তেবান রেজাকাল্লাহ (Estebane Rezkallah)। এই ছবিটাই ২০২৫ সালের ওয়াইল্ড লাইফ ক্যাটাগরিতে সেরা ছবির মর্যাদা পেয়েছে। ছবির আলোকচিত্রী পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা, শুষ্ক এবং দুর্গম মহাদেশ ঘুরতে গিয়ে এই দৃশ্যের দেখা পান। সেখানে মেরু ভালুক একটা মৃত তিমিকে খাচ্ছে। হাইবারনেশন বা শীতনিদ্রা যাওয়ার আগে বিশাল প্রস্তুতি নিতে হয় মেরু ভালুকদের। সেই প্রস্তুতির দৃশ্যই ধরা পড়েছে এ ছবিতে।
২. ম্যান্টিস
কুংফু পান্ডা মুভির ম্যান্টিসের কথা মনে আছে? সেই ছোট্ট পতঙ্গ ম্যান্টিসের মতো একই ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে সাইপ্রাসের আলোকচিত্রী হাসান বাগলার তোলা এই ছবিটির ম্যান্টিসটি। ম্যান্টিসরা শিকার ধরার অসাধারণ দক্ষতার জন্য পরিচিত। এদের সামনের দুটি পা কাঁটার মতো তীক্ষ্ণ এবং দ্রুততার সঙ্গে শিকারকে আঁকড়ে ধরার জন্য বিশেষভাবে তৈরি। এরা সাধারণত ছদ্মবেশ ধারণ করে স্থির হয়ে থাকে এবং শিকার কাছাকাছি এলেই বিদ্যুৎ গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ধরে ফেলে।
৩. বড় নীল বক
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর মনের মতো একটা শিকার ধরেছে এই বড় নীল বক। তবে এই অসাধারণ ছবিটির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আলোকচিত্রী ক্রিস্টোফার বেকারকেও কিন্তু সারা দিন ক্যামেরার পেছনে অপেক্ষা করতে হয়েছে।
৪. কাদায় মাখামাখি
আয়ারল্যান্ডের আলোকচিত্রী তারা কিন বনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন প্রকৃতির কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে। বর্ষাকাল। জঙ্গলে একটি ঢালের সামনে এসে তিনি থমকে দাঁড়ান। দেখতে পান, একটি মা হাতি পিচ্ছিল সেই ঢাল থেকে পড়ে যাওয়া তার শিশুকে বাঁচাতে প্রাণপণে চেষ্টা করছে। দুজনই কাদায় মাখামাখি হয়ে আছে।
৫. কাড়াকাড়ি
- মাছটা আমার।
- না, আমার।
- ছাড়, এটা আমার!
তিন ডালমাশিয়ান পেলিকান পাখি। একটা মাছের জন্য মারামারি করছে ওরা। পেছন থেকে বাকি পেলিকানরা ওদের ঝগড়াঝাটি দেখছে। ছবিটি তুলেছেন ইতালির আলোকচিত্রী জিয়ান্নি মেইতান। ডালমাশিয়ান পেলিকান এদের বিশাল ঠোঁট ও কোঁকড়া মাথার পালকের জন্য বেশ বিখ্যাত।
৬. কাঠঠোকরা
ছবিটি তুলেছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। মা কাঠঠোকরাকে দেখে মাথা বের করে খাবার চাচ্ছে বাচ্চা পাখি দুটি। মায়ের মমত্ব ফুটে উঠেছে ছবিটিতে।
৭. গিবন
এটা কিন্তু বানর নয়। বানরের আরেকটি প্রজাতি, নাম গিবন। তবে এদের বানরের মতো লেজ নেই। আকারে ছোট হয়। ছবিটি তুলেছেন পেরুর আলোকচিত্রী পেদ্রো জার্ক ক্রেবস। গিবন একমনে বসে ছিল একটি পাথরের ওপরে। ঠিক তখন দূর থেকে ছবিটি তোলা হয়।