প্রাণিজগৎ
কুড়াবাজের শিকার কাহিনি
এ দেশে কত রকম, কত ধরনের পাখি। রং-বেরঙের এসব পাখি নিয়ে লিখেছেন পাখিবিশারদ ও প্রকৃতিবিদ শরীফ খান…
রাতভর বৃষ্টি হলো মুষলধারায়। আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টি। মাঠ-ঘাটে জমে গেল বৃষ্টির পানি। ওরকমই একটা জলজমা মাঠে সোনাব্যাঙদের তানপুরার আসর জমতে দেখে জনাকয়েক বালক-বালিকা জলকাদা ভেঙে ছুটল সোনাব্যাঙ ধরতে। কী সুন্দর হলুদ-সোনালি রং ওদের! গলার দুপাশের বেলুনটা একবার ফুলছে, পরক্ষণেই চুপসে যাচ্ছে। আবারো ফুলছে। ওদের তানপুরা কনসার্টে মাতোয়ারা পাড়া।
ছুটোছুটি-হুড়োহুড়ি করে প্রথম যে বালক একটি ব্যাঙ ধরল, উল্লাসে চিৎকার দিয়ে সে ব্যাঙটি ছুড়ে দিল আকাশের দিকে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠের কিনারার রাজশিরীষের ডাল থেকে পাখা মেলে বিদ্যুৎ বেগে বিশাল শিকারি পাখিটি ধেয়ে এল ব্যাঙটিকে ধরতে। অল্পের জন্য ফসকে গেল। মাটি থেকে মাত্র দুফিট ওপরে নেমে এসেছিল পাখিটি, বোমারু বিমানের মতো ওপরে উঠে শূন্যে পাক খেল আচমকা, তারপর ফিরে গেল রাজশিরীষের ডালে। পাখিটির বিশাল ডানার বাতাসে উড়ল বোধ হয় বালক-বালিকাদের চুল, থেমে গেল ব্যাঙদের ডাক। ভয় পেয়ে ওরা লুকাতে চাইছে জলকাদার তলায়।
বালক-বালিকারা ওই বিশাল শিকারি পাখিটিকে চেনে। জানে খাদ্যতালিকা, ওর শিকারের কৌশলও দেখেছে সবাই। শুনেছে বিষণ্ণ কন্ঠের জোরালো ডাক। ওই ভয়াবহ ডাক শুনলে বা ওদের ডানার ছায়া দেখলেও হাঁস-মুরগিদের অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে, বুক যায় শুকিয়ে। হাঁসেরা চেঁচাতে থাকে তার স্বরে। মোরগেরা গলা ফাটাতে থাকে। আশপাশের সব নিরীহ পাখি তো বটেই, মানুষও জেনে যায় শিকারি পাখিটির আগমনবার্তা। এই বালক-বালিকারা বন্দুকের গুলিতে মরতেও দেখেছে পাখিটিকে। এই মুহূর্তে তাই ওদের মগজে একটা নতুন খেলার আইডিয়া ঢুকে পড়ল। নির্বিষ জলসাপের লেজ ধরে ঘুরিয়ে শূন্যে ছুড়ে দিয়ে যেভাবে ওরা শঙ্খচিল-ভূবনচিলদের ছোঁ মারা দেখে, ব্যাঙ ছুড়ে দিয়ে ওরা সেরকমই একটা খেলা তৈরি করতে চাইল শিকারি ওই পাখির সঙ্গে। এক বালিকাই প্রথমে ধরল একটি ব্যাঙ, পেছনের ঠ্যাঙ ধরে ফিরল পাখিটির দিকে, তারপর জোরসে ছুড়ে দিল শূন্যে। পাখিটি টান টান গলায় প্রস্তুতই ছিল, অসম্ভব ক্ষীপ্রগতিতে ধেয়ে এল আর পড়ন্ত শিকারের কাছে এসেই কী অপরূপ ভঙ্গিমায় চিৎ হয়ে গেল! দুপায়ের নখরের ভেতরে যেন ক্রিকেটের ‘ক্যাচ’ লুফে নিল, তারপর ফিরে চলল ওই রাজশিরীষটার দিকে। উল্লসিত বালক-বালিকারা তখন গলা ফাটাচ্ছে। কেননা, রাজশিরীষের ডাল থেকে তখন ব্যাঙটির ‘কো-আ-কো’ ধরনের ডাক ভেসে আসছে।
সেদিন ওরা মোট ৭টি সোনাব্যাঙ ছুড়েছিল শূন্যে, ৭টিকেই আশ্চর্য কুশলতায় নখরে গেঁথেছিল মা ও বাবা পাখি।
আরেকটি ব্যাঙ ধরার জন্য যখন লুটোপুটি লাগিয়েছে বালক-বালিকারা, দ্বিতীয় পাখিটিকে তখন দেখতে পেল ওরা। পেছনে পেছনে উড়ছে দুটি বাচ্চা। গত চৈত্রে ওরা উড়তে শিখেছিল, মা-বাবাকে ছেড়ে যাবার বয়স ওদের হয়নি। আর ওরা এসেছে পশ্চিম দিকের বিলটার দিক থেকে। বাচ্চা দুটি যেই না বাবাকে দেখল, বুঝল বাবা শিকার খাচ্ছে—অমনি আহ্লাদী ডাক ছেড়ে, ডানা মুড়ে সাঁ সাঁ বেগে উড়ে গিয়ে বসল বাবার দুপাশে। ওদের দুজনের মুখে ব্যাঙটাকে দিয়ে বাবা তাকিয়ে রইল আবার মাঠের দিকে, চোখে জ্বলছে শিকারের লোভ।
এ সময় দ্বিতীয় ব্যাঙটি শূন্যে ছোড়া হলো, একই সঙ্গে আকাশের মা- পাখিটি ও বাবা-পাখিটি তীরবেগে ধেয়ে এল শিকারের দিকে। মায়ের ডান পায়ের নখে শিকার গাঁথল বটে, কিন্তু জীবন্ত ব্যাঙটি যেই না মুক্তি পাবার চেষ্টা করল, অমনি নখ থেকে খসে পড়ল সে। বাঁ পা বাড়িয়ে শিকার কব্জা করতে গেল বটে মা, কিন্তু বিশাল ডানার বাতাসে টার্গেট গেল নড়ে। দ্রুতবেগে ব্যাঙটি তখন পড়ছে নিচের দিকে। উল্লসিত বালক-বালিকারা ‘ক্যাচ’ ধরার জন্য বাড়িয়েছে হাত। কিন্তু ওদের বিস্মিত করে বাবা পাখিটি ৭০ ডিগ্রি অনুভূমিক কোণে তীরের ফলার মতো নেমে এসেই নখরে গাঁথল শিকার, সাঁ করে পাক খেয়ে ছিটকে উঠে পড়ল শূন্যে। চলল রাজশিরীষটির দিকে। পায়ের তলায় নরম কাদা না থাকলে লাফ দিয়ে বোধ হয় পাখিটির ডানা বা পা ধরে ফেলতে পারত বালক-বালিকারা।
মেয়ে পাখিটি তখন ধীর লয়ে উড়তে শুরু করল মাঠের মাথায়। ‘কী-রে কী হলো, কী-রে, দিবি নাকি আরও’ ধরনের ডাক ছাড়ল বারকয়েক। বালক-বালিকারা ব্যাঙ ছুড়ছিল। শিকারের পাশে নেমে এসে বিশাল দুডানার বাতাসে ব্যাঙটিকে ব্যালান্স করে নিল প্রথমে, তারপর নখরে গেঁথে নিয়ে চলল ওই রাজশিরীষ গাছটার দিকেই।
সেদিন ওরা মোট ৭টি সোনাব্যাঙ ছুড়েছিল শূন্যে, ৭টিকেই আশ্চর্য কুশলতায় নখরে গেঁথেছিল মা ও বাবা পাখি। বাচ্চা দুটি শূন্য থেকে শিকার নখরে গাঁথার কসরত করেছিল বটে, কিন্তু একবারও সফল হয়নি। তবে মা-বাবার শিকার কৌশল ওরা উড়তে উড়তে লক্ষ করেছিল ভালোভাবে। এই নজরদারি ওদেরকে একদিন দক্ষ শিকারি করে তুলবে।
দেখতে তাকে সুন্দরই বলতে হবে, তবে চাহনি আর বাঁকানো ঠোঁটকে বলতে হবে ভয়ঙ্কর-সুন্দর। তার চেয়েও বেশি সুন্দর তার ডাইভের ভঙ্গি, জেট বিমানের কৌশলে শূন্যে ওঠা-নামা করার কৌশল ও পাক খাওয়ার দৃশ্য।
এই যে শিকারি পাখিটির কথা আমি বললাম এতক্ষণ, বাংলাদেশের শিকারি পাখিদের ভেতরে সে অন্যতম সেরা। আকারে-ওজনেও সেরা। শরীরের মাপেও সে সবচেয়ে বড়। এই গোত্রের পাখিদের বৈশিষ্ট্য হলো, মেয়ে পাখিরা পুরুষ পাখির চেয়ে আকারে বড় হয়ে থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। এই পাখিটির ক্ষেত্রে মেয়েটিই আকার-ওজনে বড়। সাহসও বেশি তার।
দেখতে তাকে সুন্দরই বলতে হবে, তবে চাহনি আর বাঁকানো ঠোঁটকে বলতে হবে ভয়ঙ্কর-সুন্দর। তার চেয়েও বেশি সুন্দর তার ডাইভের ভঙ্গি, জেট বিমানের কৌশলে শূন্যে ওঠা-নামা করার কৌশল ও পাক খাওয়ার দৃশ্য। বাল্য-কৈশোরে আমি ওকে শিকার করেছি হাঁস-মুরগির বাচ্চা খাওয়া আর পুকুর-দিঘি থেকে মাছ তুলে নেওয়ার অপরাধে (এখন বুঝি, ওদের কোনো অপরাধ ছিল না, অপরাধী ছিলাম আমি)।
অসুস্থ ছোট ছাগলছানা-কুকুরছানা তুলে নেওয়ার জন্য আমি বহুবার আকাশে ওদের পাক খাওয়ার কৌশল দেখেছি। সাগর ঈগল, খোপাবাজ, কালো ডানার চিল, শঙ্খচিল ও ভুবনচিলদের কাছ থেকে শিকার হাইজ্যাক করতেও দেখেছি। নাছোড়বান্দা ওরা। কাউকে টার্গেট করলে হাইজ্যাক না করা পর্যন্ত ছাড়ে না। প্রয়োজনে দু-পাঁচ কিলোমিটার পাড়ি দিতেও রাজি। বাসায় ডিম অথবা কম বয়সী বাচ্চা না থাকলে হাইজ্যাকের সময় এক জোড়া পাখি মিলেঝিলে কৌশলে হাইজ্যাকের কাজটা সারে। এই ওপরে ওঠে, এই নামে নিচে, ঘুরপাক খায়, তারপর নখর থেকে শিকার দেয় খসিয়ে।
হাইজ্যাকাররা তখন নিচের দিকে ডাইভ মেরে পড়ন্ত শিকার ধরে যে কৌশলে, তা না দেখলে বিশ্বাস করাও কঠিন। সাগর ঈগল বা অন্য কোনো বড় বাজ-ঈগল হলে রুখে দাঁড়ায়, ঠোঁট চালায়, ডানার আঘাত দিতে চায়। শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠে না। তার কারণ, নখরে শিকার গাঁথা থাকায় সে তার সেরা অস্ত্র নখর বাড়াতে পারে না। আমি ছোট ছিট্-ঈগলকে দেখেছি শিকার হাইজ্যাক হওয়ার পর আক্রমণ করেছে এই শিকারি পাখিদের, লড়েছে শূন্যে। ছোট ছিট্-ঈগলও বেশ বড়সড় শিকারি পাখি। এটি বাংলাদেশের আবাসিক পাখি নয়।
সুযোগ পেলে প্রভুর হাতেও নখর চালায়, ঠোঁট চালায়। অত্যন্ত বুদ্ধিমান আর চতুর এই পাখি।
এই ঢাকা শহরেই ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই ঈগল ছেড়ে দিয়ে পুষেছিল এক পাখিপ্রেমিক তরুণ। ওই ঈগলটির ছবি আমি বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে তুলেছি। ওকে খেতে দেওয়া হতো মরা মুরগি। যে শিকারি পাখিটির কথা আজ বলছি, বাচ্চা অবস্থায় ধরে পোষ মানানোর চেষ্টা করলে পোষ সে মানে। তবে যখন বড় হয়, সময় হয় বাসা বাঁধার, তখন সে চলে যায় সঙ্গীর খোঁজে। আর ফেরে না। পোষা অবস্থায় এরা ছেড়ে দেওয়া থাকলে বাড়ির মোরগ-মুরগি, ছাগল-কুকুরদের কাছে ভিড়তে দেয় না। মাংসের চেয়ে মাছই বেশি পছন্দ করে। কাঁকড়াও সহজে খায়। তবে সুযোগ পেলে প্রভুর হাতেও নখর চালায়, ঠোঁট চালায়। অত্যন্ত বুদ্ধিমান আর চতুর এই পাখি। শিকার করতে গিয়ে ওদের আমি হাড়ে হাড়ে চিনেছি। একবার গুলি-খাওয়া একটি হট্টিটি পাখি যখন খাড়া উঠে যাচ্ছিল শূন্যে, তখন এই শিকারি পাখিটি ধেয়ে এসে গেঁথেছিল নখরে। আর শিকার হারানোর দুঃখে গুলি করে শূন্য থেকে ওকেও পেড়ে ফেলা হয়েছিল। মূলত এরা হাওর-বাওড়ের পাখি।
তুখোড় শিকারি এই পাখির পরিচয় দেওয়ার আগে অতি সংক্ষেপে ওদের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরছি।
ক) শিকারের সন্ধানে ওরা কখনো কখনো শকুনের মতো আকাশে পাক খায়। ঘাপটি মেরে থাকতেও ওস্তাদ।
খ) এক জোড়া পাখি পরিকল্পিতভাবে শিকার করতে জানে।
গ) সাধ্যে কুলাবে না, এ রকম শিকার ওরা নখরে গাঁথে না। শিকারের শরীরে বসানো নখর খুলতে পারে না সহজে।
ঘ) সাধ্যে কুলোবে, এ রকম রুগ্ন হাঁস-মুরগি, ছাগলছানা তুলে নিয়ে যায়। অসুস্থ হলেই কীভাবে যেন টের পায় ওরা!
ঙ) যে জলাশয় বা বিল-ঝিল, হাওর-বাওড়-মোহনা বা নদীতীরের গাছে বসে মাছ বা অন্য শিকারের অপেক্ষা করে, সে এলাকায় নজরদারির সীমানাটুকুকে ওরা বাপ-দাদার তালুক মনে করে। অন্য কোনো মাছ শিকারি পাখি এলেই ডাক ছেড়ে ধমক-ধামক মারে। প্রয়োজনে উড়ে গিয়ে ধাওয়া করে, শিকার এলাকা নির্বিঘ্ন রাখতে চায়।
চ) স্বজাতির (একই প্রজাতি) শিকার ওরা হাইজ্যাক করে না।
বাংলাদেশের বড় এই শিকারি পাখিটির নাম কুড়াবাজ। বাগেরহাট, খুলনা, গোপালগঞ্জে বলা হয় ‘বাজকুড়াল’। কী জানি, শিকারের ওপর নখর বসায় কুড়ালের কোপের মতো, সে জন্য এই নাম কি না। ইংরেজি নাম রিংটেইল্ড অর প্যালাস’স ফিশ ঈগল (Ringtailed or Pallas's Fish eagle)। বৈজ্ঞানিক নাম Haliacetus leucoryphus, শরীরের মাপ ৮৭ সেন্টিমিটার। ওজন ৪ কেজিরও বেশি।
আজ থেকে বছর তিরিশেক আগেও এদেরকে দেশের পুকুর-দিঘি, হাওর-বাওড়, বিল-ঝিলে যথেষ্ট দেখা যেত। শোনা যেত ডাক—ক্রেউ-ই ক্রি..ই..ই..ইক...ক্রেউ...। কিন্তু এখন খুব কম দেখা যায়। কম দেখা মানে কিন্তু কমে যাওয়া নয়। সরে গেছে ওরা অনিবার্য কারণে। দেশে বাসা বাঁধার গাছের অভাব ওদের নেই। নিরাপত্তার অভাব। অভাব খাবারের। অবাধ প্রাকৃতিক শিকার আজ আর সহজে মেলে না। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিল-ঝিলগুলোসহ দেশের নানা প্রান্তে বহু বছর যাবৎ চিংড়ির ঘের হয়ে গেছে। প্রাকৃতিক মাছ সেখানে নেই। পুকুর-দিঘিতেও চলে মাছ চাষ। তারপর ছোটখাটো মাছ মারা যায় বিষাক্ত কীটনাশকের কবলে পড়ে। খাবার না পেলে কেউ কি থাকে? এদের খাদ্যতালিকায় প্রথমেই পড়ে রুই, কাতলা, শোল, বোয়াল, টাকি ইত্যাদি মাছ। দ্বিতীয় পছন্দের তালিকায় আছে হাঁস-মুরগির বাচ্চাসহ যেকোনো পাখির ডিম ও বাচ্চা। প্রথম পছন্দের শিকার না মিললে মরিয়া হয়ে এরা এই কাজ করে; শিকার করে ছোট ছোট জলচর পাখিও। গুলিতে বা অন্য কোনো ফাঁদে পড়া পাখি তুলে নিতেও ওস্তাদ। নির্জন বাড়ি থেকে খাঁচাবন্দি ডাহুক-ঘুঘুকে খাঁচা ভেঙে নিয়ে যাওয়ার রেকর্ডও রয়েছে।
এরা বাসা করে উঁচু গাছের ডালে। দুজনে মিলেই পরিকল্পনা করে। এদের বাসার উপকরণ হলো গাছের শুকনো ডাল। বড়সড় বাসা। ঈগল-বাজের মতো এরাও বছরের পর বছর একই বাসায় ডিম-বাচ্চা তোলে। প্রতিবারই নতুন কিছু উপকরণ আনে।
এদের ডিম হয় ২/৩ টি। খড়িমাটির মতো সাদা। দুজনে পালা করে ডিমে তা দেয়। বাচ্চা ফোটে ৩০/৩৫ দিনে। বাচ্চারা উড়তে শেখে ৫৫/৬০ দিন পর। তারপরও প্রায় ৬ মাস থাকে বাবা-মার সঙ্গে। ডিম পাড়ার পর থেকে বাচ্চারা বড় না হওয়া পর্যন্ত দুটি পাখি একত্রে শিকারে যায় না। একজন পাহারায় থাকে। বাচ্চাদের খিদের কান্নাটা হয় চাপা সুরের। ভাদ্র থেকে চৈত্র মাসের ভেতর ডিম পাড়ে ও বাচ্চা তোলে।
একনজরে কুড়োবাজের রং বাদামি আর কালচের মিশেল। লেজের প্রায় ৩ ইঞ্চি জায়গা সাদা। নখর কালো। ঠোঁট কালচে- বাদামি। হলুদাভ চোখের মণি। বসা অবস্থায় লেজকে চমৎকার করে ছাঁটা হয়েছে বলে মনে হয়।
বড় বড় শিকারি পাখিদের বাংলাদেশে এখন কম দেখা যাচ্ছে।