খই ফোটে কেমন করে

ভুট্টা থেকে তৈরি হয় খই বা পপকর্নছবি: সংগৃহীত
পপকর্ন বা ভুট্টার খই অনেকেরই প্রিয়। কিন্তু জানেন কি ভুট্টা থেকে ধবধবে সাদা খই হয় কেমন করে? এর পেছনেও আছে বিজ্ঞান।

১. নির্দিষ্ট তাপমাত্রা

তাপমাত্রাই এখানে মুখ্য বিষয়। শুধু ৩০ শতাংশ অন্তবীজই ১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পরিপূর্ণভাবে ফাটে। তাই খই ফোটার জন্য আদর্শ তাপমাত্রা ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

২. জলীয় উপাদান

এসব অন্তবীজের ভেতরে প্রায় ১০-২০ শতাংশ পানি থাকে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি বাষ্প হয়ে বীজগুলোর ভেতরে উচ্চচাপ সৃষ্টি করে।

৩. বীজ ফেটে যাওয়া

ভেতরের এই বাষ্পের চাপ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে গেলে বাইরের শক্ত আবরণ ফেটে যায়।

৪. পপ!

উচ্চচাপের ওই বাষ্প হঠাত্ আবরণ ফেটে বের হওয়ার ফলে এ রকম পপ আওয়াজ হয়।

উচ্চচাপের ওই বাষ্প হঠাত্ আবরণ ফেটে বের হওয়ার ফলে এ  রকম পপ আওয়াজ হয়।

৫. শ্বেতসার

বীজটি রান্না হওয়ার কারণে ভেতরের শর্করার অণুগুলো প্রসারিত ও নরম হয়ে খইয়ের বাইরের সাদা আবরণ সৃষ্টি করে।

৬. ছোটাছুটি

এ সময়ে উচ্চ চাপে বীজের ভেতরের উপাদান বেরিয়ে আসে, যা পাত্রে ধাক্কা দেওয়ার ফলে খই ছোটাছুটি করে।

৭. ঘুর-ঘুরান্তিস

সবশেষে বীজটির ভেতরের পুরো অংশ বাইরে বেরিয়ে এটি ঘুরতে থাকে এক সুস্বাদু খই হয়ে।

*লেখাটি ২০১৭ সালে বিজ্ঞানচিন্তার মার্চ সংখ্যায় প্রকাশিত