মানবদেহে বায়ুদূষণের প্রভাব

দূষিত বায়ু মূলত বিভিন্ন গ্যাস ও কণার মিশ্রণ। বিশেষ করে পিএম ২.৫ কণা অনেক ক্ষতিকর। অতিক্ষুদ্র এসব কণা মিশে যেতে পারে রক্তের সঙ্গে। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, পৃথিবীজুড়ে বায়ুদূষণের জন্য মারা গেছে প্রায় ৭ মিলিয়ন মানুষ।

মস্তিষ্ক

দীর্ঘ সময় কিছু নির্দিষ্ট পদার্থের কণা, যেমন সালফার ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের সংস্পর্শে থাকলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বদলে যেতে পারে মস্তিষ্কের গঠন, বেড়ে যেতে পারে আলঝেইমার হওয়ার আশঙ্কা।

স্নায়ুতন্ত্র

বায়ুদূষণে স্নায়বিক বিভিন্ন রোগ হতে পারে। পার্কিনসন রোগে মৃত্যুও হতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষতিকর কণা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছে যেতে পারে। ফলে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে স্নায়ুতন্ত্র।

বিভিন্ন সংবহনতন্ত্র ও হৃৎপিণ্ড

বায়ুদূষণ বিভিন্ন সংবহনতন্ত্রের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। ফলে হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক বা ব্লাড ক্লট, মানে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে।

শ্বসনতন্ত্র

দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিলে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া কাশি, অ্যাজমা ও ফুসফুসে ক্যানসার হতে পারে।

এন্ডোক্রাইন ব্যবস্থা

বিভিন্ন কণা এন্ডোক্রাইন ব্যবস্থার ক্ষতি করতে পারে। ফলে প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপন্ন হতে পারে না। শরীরে ডায়াবেটিস বা স্থূলতার মতো রোগ দেখা দেয়। এগুলো আবার বিভিন্ন সংবহনতন্ত্র ও হৃৎপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।

মূত্রতন্ত্র

দীর্ঘদিন এ রকম দূষিত কণার সংস্পর্শে থাকলে মূত্রতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিডনি দেহ থেকে দূষিত সবকিছু বের করে দিতে পারে না। দূষিত বিভিন্ন পদার্থ তখন শরীরে জমে যায়। কিডনি বা মূত্রতন্ত্রের রোগ ছাড়া অন্যান্য রোগও হতে পারে এর ফলে।

প্রজননতন্ত্র

বায়ুদূষণের জন্য প্রজননক্ষমতা কমে যায়। বিশেষ করে ‘মা’ দীর্ঘদিন বায়ুদূষণের সংস্পর্শে থাকলে সন্তান নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জন্ম নিতে পারে, ওজন কম হতে পারে, দেখা যেতে পারে শ্বাসকষ্ট।