দ্রুত বাড়ে, তেমন যত্নের প্রয়োজন নেই। কাঠ হিসেবেও ফেলনা নয়। এরকম নানা কারণে ইউক্যাপ্টিলাস গাছের জনপ্রিয়তা আছে আমাদের দেশে। এ দেশে ইউক্যালিপট্যাস খুব একটা বৈচিত্র্যময় হয় না। ফ্যাকাশে সাদা-সবুজ রঙের কাণ্ড আর হালকা সবুজ পাতা। এই গাছ পরিবেশের জন্য কেমন, সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু দেখতে যে বিশেষ কিছু নয়, তা বলা যায়। তবে নিউ গিনি, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনের ট্রপিক্যাল রেইনফরেস্টে ভিন্ন এক ধরনের ইউক্যালিপ্টাস গাছ জন্মে।
কান্ডের বাহারী রঙের জন্য এ গাছের নাম হয়ে গেছে সাতরঙা ইউক্যালিপ্টাস—রেইনবো ইউক্যালিপ্টাস
ওগুলোকে কোনোভাবে বৈচিত্র্যহীন বলতে পারবেন না। দেখলে মনে হয়, এই বুঝি কেউ আগাগোড়া রংতুলি দিয়ে ছোপ দিয়ে গেছে। কান্ডের বাহারী রঙের জন্য এ গাছের নাম হয়ে গেছে সাতরঙা ইউক্যালিপ্টাস—রেইনবো ইউক্যালিপ্টাস। বৈজ্ঞানিক নাম, ইউক্যালিপ্টাস ডেগলুপটা (Eucalyptus deglupta)। মূলত গাছের ওপরে ছালটা খসে পড়লে কাণ্ডের বিচিত্র রং বেরিয়ে আসে।
ছাল অবশ্য রঙিন নয়। অন্য দশটা ইউক্যালিপ্টাস গাছের মতো ফ্যাকাসে বাদামী রঙের। পাতলা লম্বা ফিতার আকারে এই ছাল নির্দিষ্ট সময় পর গাছ থেকে খসে পড়ে। তখন ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে নিওন সবুজ রঙের ভেতরের ছাল। পাতার মতো এদের কাণ্ডেও থাকে বিশেষ এক ক্রোমাটিন বা রঞ্জক কণা। বাতাসের সঙ্গে বিক্রিয়ায় বদলে যায় রং। প্রথমে নিওন সবুজ থেকে বেগুনি হয়। এরপর সময়ের সঙ্গে লাল, হলুদ, এমনকি বাদামি রঙের নানা রূপ ফুটে ওঠে। গাছের সবটা ছাল ওঠে একটু একটু করে। গাছের উন্মুক্ত একেক অংশ একেক সময় থাকে বাতাসে। ফলে পুরো গাছ দেখতে রঙিন লাগে। মজার বিষয় হলো, রঙিন এই গাছ বাণিজ্যিকভাবে সাধারণত সাদা কাগজ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।