ফটোফিচার
২০২৪ সালের প্রকৃতির সেরা ছবি
শেষ হলো ব্রিটিশ ইকোলজি সোসাইটির বার্ষিক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা। সেরা ছবি ও ফটোগ্রাফারদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারো প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন বিভিন্ন দেশের চিত্রগ্রাহকরা। বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকদের জন্য সেখান থেকে বাছাই করা ১০ ছবি প্রকাশিত হলো।
১. শুরু থেকে শেষ
ফটোগ্রাফার ড্যানি থম্পসন ফুলসহ গাছের এই ছবিটি তুলেছেন। একটাই গাছ, ফুল অনেকগুলো। কিন্তু প্রত্যেকটি ফুলের বয়স আলাদা। ছোট থেকে ধীরে ধীরে বড় হয়েছে ফুলগুলো। ইকুয়েডরের উঁচু পাহাড়ি জঙ্গলে হাঁটার সময় অ্যাবুটিলন মেগাপোটামিকাম নামে এই সুন্দর ফুলটি দেখতে পান। ছবিটি সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছে।
২. দ্য গ্লাস সিলিং
পরিত্যাক্ত চিংড়ির খামারে একটা গলদা চিংড়ি। অনেকটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে রয়েছে। ক্যামেরার আলো পরে চিংড়িটি সোনালি রং ধারন করেছে। ছবিটি তুলেছেন পোল্যান্ডের এক পরিত্যক্ত খামার থেকে তুলেছেন ফিলিপ জার্জিনস্কি। এখানে আরও শত শত গলদা চিংড়ি রয়েছে। সম্পূর্ণ খামারটি এখন ওদের দখলে। ফিলিপ এর নাম দিয়েছেন ‘দ্য গ্লাস সিলিং’। এই ছবিটি অ্যানিমেল বিভাগে সেরা ছবির পুরস্কার পেয়েছেন।
৩. খাবার ভাগাভাগি
ফিলিপ জার্জিনস্কির তোলা এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, দুটি পাখি একটা মাছ ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের স্কেরিস দ্বীপপুঞ্জ থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে। পাখি দুটির পালক সাদা, মাথা কালো ও ঠোঁট লাল। অনন্য এক ছবি। ‘নেটওয়ার্কস ইন নেচার’ বিভাগে ফিলিপের এই ছবিটি বিজয়ী হয়েছে।
৪. ব্যাঙের ছাতা
গাছের সঙ্গে বেড়ে উঠেছে ফ্ল্যামুলিনা স্পিসিস নামে একটি ছত্রাক। ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহরে একটি পার্কের থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে। ‘প্ল্যান্টস অ্যান্ড ফুঙ্গি’ বিভাগে ছবিটি বিজয়ী হয়েছে। এটি তুলেছেন জেন রোজের।
৫. মুক্তি
গিনি প্রজাতন্ত্রের অন্ধকার থেকে উদ্ধার হয়ে আসা সাইমন। শিম্পাঞ্জিটি দীর্ঘদিন একটা খাঁচায় বন্দী ছিল। ছবিটি তুলেছেন রবার্তো গার্সিয়া-রোয়া। ‘অ সোল’ শিরোনামে ছবিটি ‘পিপল অ্যান্ড নেচার’ ক্যাটাগরিতে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে।
৬. শিকারিই যখন শিকার
পেরুর গভীর জঙ্গলে জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চলছে। লড়াইটা পম্পিলিড ওয়াস্প ও একটি মাকড়সার মধ্যে। রবার্তো গার্সিয়া-রোয়ারের এ ছবিতে প্রকৃতির খাদ্য শৃঙ্খলের চিত্র ফুটে উঠেছে।
৭. ড্রাগন ও সূর্য
এই ছবিটি অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা থেকে তোলা হয়েছে। এদের মুখের নিচের দাড়ির মতো কাঁটা থাকায় নাম রাখা হয়েছে বেয়ার্ডেড ড্রাগনস বা পোগোনা বারবাটা। বেঁচে থাকার জন্য এদের উচ্চ তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। তাই গাছের কোটর থেকে রোদ পোহাতে বেড়িয়েছে এটি। আর তখন ছবিটি তুলেছেন ড্যামিয়েন এসকেরে। এটিও অ্যানিমেল ক্যাটাগরিতে সেরা পুরস্কার পেয়েছে।