সুইচোরা পাখির শিকার কাহিনি

পিঙ্গল-মাথা সুইচোরাছবি: উইকিপিডিয়া

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে ‘সাত গাঁও টি-এস্টেট’। ওখানকার একটা চা-বাগানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক ন্যাড়া টিলা। টিলাটার পাদদেশে ল্যাণ্টানা ঝোপের জঙ্গল। ওগুলোর পাশে, টিলাটার খাড়া মাটির দেয়ালে ছোট একটা গর্ত। আর তা থেকে মুখ বের করে কাছাকাছি বসে আছে তিনটি পাখির ছানা, গলায় খিদের মিষ্টি কান্না। সকালের রোদ উঠেছে কেবল। বসন্তের চমৎকার হাওয়া বইছে শেড-ট্রির ডালপালায়।

ল্যাণ্টানা ঝোপ থেকে বের হলো একজোড়া বেজি। পাখির ছানার ডাক শুনেই তিন লাফে সামনে চলে এল। তাকাল ওপর দিকে। সঙ্গে সঙ্গে ওরা হাঁচড়ে-পাঁচড়ে ওপরের দিকে উঠতে লাগল। ওঠা কি অতই সহজ! খাড়া দেয়াল। ছানা তিনটি বসেও আছে প্রায় ৬ হাত ওপরে। তবুও অনেক কসরৎ করে বেজি দুটি যেই না উঠে পড়েছে গর্তের কাছাকাছি, অমনি ছানারা ভেতরে ফুড়ুৎ। বেজিরা কিন্তু হতাশ হলো না তাতে। দুজনেই পেছনের দুই পা ও সামনের বাঁ পা দিয়ে মাটি আঁকড়ে ধরে ডান থাবা দিয়ে গর্তের মুখটা বড় করতে শুরু করল। ওরা মাটি খুঁড়ছে, ঝুরঝুর করে লাল মাটি ঝরছে। এ সময়ে খাবার মুখে ফিরে এল ছানাদের বাবা-মা। বেজিদের কাণ্ড দেখে ওরা গেল ক্ষেপে। মুখে ধরা পোকামাকড় ওরা নিজেরাই গিলে নিল, তারপর উড়ে উড়ে, ঘুরে ঘুরে বেজিদের বকাঝকা দিতে লাগল। বেজি দুটির কোনো ভাবান্তর হলো না। পুঁচকে ওই পাখি দুটি কিছুই করতে পারবে না তাদের। ওরা সমানে থাবা চালিয়ে যাচ্ছে। খুঁড়তে খুঁড়তে যদি পাওয়া যায় গর্তের শেষ সীমানা, তাহলে সকালবেলার নাস্তাটা হবে খাসা। পাখির ছানার তুলতুলে মাংস খেতে যা মজা!

এদিকে পাখি দুটির চেঁচামেচি শুনে এগিয়ে এল একজোড়া ভাতশালিক। চেঁচাতে চেঁচাতে উড়ল কয়েক সেকেন্ড। তারপর সাঁ করে উড়ে গেল বেজি দুটির মাথা ছুঁয়ে। তাতে বেজি দুটি একটু ভড়কে গেল বটে। কাজ থামাল না। একটি বেজি দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে এমন ভঙ্গি করল যে শালিক দুটিকে যেন বলল, সাহস থাকে তো আয় আরেকবার! ভয় পেল না শালিক দুটি। আবারো ধেয়ে এল। দুটি বেজি এবার দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে মাথা ঘুরাল। বাসার মালিকরা কিন্তু উড়ে উড়ে শুধু ঘুরছেই, গলার স্বরে কান্নার আভাস, ভাতশালিক দুটিকে দেখে কিছুটা সাহস খুঁজে পেয়েছে।

সাঁওতাল এক বালক যাচ্ছিল তীর-ধনুক হাতে। পাখিদের চেঁচামেচি শুনে দাঁড়াল। দেখতে পেল বেজি দুটিকে। অমনি সে ধনুকে তীর জুড়ে এগোতে লাগল পা টিপে টিপে। বেজি শিকার করতে পারলে দুপুরের খাওয়াটা হবে খাসা। বেজি সাঁওতালদের প্রিয় খাবার। নিখুঁত নিশানায় তীর ছুড়ে ওরা শিকারকে কাবু করতে পারদর্শী।

কাছাকাছি এসে যখন সে তীর উঁচু করল, তখনই বেজি দুটি দেখতে পেল তাকে। সঙ্গে সঙ্গে পড়িমরি লাফে ৬ হাত নিচে পড়েই ঢুকে পড়ল ল্যাণ্টানা ঝোপে। তারপর ঝোপের তলা দিয়ে পালিয়ে গেল দূরে। হতাশ সাঁওতাল বালক পাখির বাসাটা দেখল। ওই বাসায় বাচ্চা আছে, তাও সে বুঝল। তবুও সে এগিয়ে চলল অন্যদিকে, শিকারের সন্ধানে। সব ধরনের পাখিই সাঁওতালদের প্রিয় খাদ্য। তাহলে কেন সে বাসার দিকে গেল না? এই প্রশ্নের পাশাপাশি আরও একটা প্রশ্ন করা যায়, তা হলো, বেজি দুটি যদি নিশ্চিন্তে গর্ত খোঁড়ার কাজটা চালিয়ে যেতে পারত, তাহলে কি নাগাল পেত ছানাগুলোর?

প্রথম প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, ওই খাড়া পাড় বেয়ে ওঠা দুঃসাধ্য, তার চেয়েও গর্তের মুখটা এতটুকু যে তার ভেতরে সাঁওতাল বালকের হাত ঢুকত না। ঢুকলেও গভীরতার কারণে সে ছানাগুলোর নাগাল হয়তো পেত না। কেননা, ওই পাখিরা গর্ত খুঁড়ে ভেতরে এগিয়ে যায় কমপক্ষে ১২ ইঞ্চি, কখনো ২১ ইঞ্চি। সুড়ঙ্গটাও সরল রেখায় থাকে না। সাপ ছাড়া ওই সুড়ঙ্গে ঢুকে ডিম-বাচ্চা অন্য কেউ খেতে পারে না।

নীললেজ সুইচোরার ডিম

দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, সারাদিন চেষ্টা করলেও বেজি দুটি সফল হতো না। কারণ, ওই গভীরতা। এই যে পুঁচকে দুটি পাখি, ওরা হলো সুইচোরা পাখি। তাই বলে এই দুটি পাখির লেজের আগায় সুই (আসলে সরু পালক) ছিল না। আমাদের দেশে সচরাচর যে ৪ রকমের সুইচোরা দেখা যায়, তার মধ্যে দুরকমের লেজের আগায় সুইয়ের মতো পালক আছে, অন্য দুটির নেই। সুইয়ের মতো দেখতে ওই পালকের সৌন্দর্য তুলনাহীন। ওই জন্যই বোধহয় নাম হয়েছে সুইচোরা পাখি। জানি না, কারো সুই চুরি করে ওরা লেজে লাগিয়ে নিয়েছিল কি না! গ্রামগঞ্জের অনেকেরই বিশ্বাস, ওই সুই (পালক) দিয়ে ওরা মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বাসা করে। কথাটা ঠিক না। ওই সুই ওদের ওড়ার ভারসাম্য রক্ষা করে। গর্তের গভীরতা মাপতে পারে ওরা ওই সরু পালক দিয়ে। আবার গর্ত হয়তো খুঁড়ছে, মাথা ভেতরে। বেজি বা সাপে ধরল ওই সুই। তখন ওই সুই খসিয়ে দিয়ে পালানোর একটা চান্স অন্তত নেয় ওরা। পাশাপাশি উড়ে গিয়ে পোকা ধরার সময় হয়তো কোনো পোকা ফসকে যাচ্ছে লেজের তলা দিয়ে, তখন ওই সুই দিয়ে আটকায় পোকাকে। সুই কিন্তু দুটি, যদিও মিশে থাকার কারণে মনে হয় একটা।

সুইচোরারা বেশ চালাক পাখি। দেখতেও খুব সুন্দর। সবার চোখেই যেন কাজল টানা। বেশ লম্বা-বাঁকা ঠোঁট। উজ্জ্বল চোখ। পোকা ধরতে যখন ওড়ে খুব সুন্দর লাগে। ডানা ঝাঁপটিয়ে, বিমানের মতো বাতাসে ভাসতে পারে ওরা। যে কোনো অ্যাঙ্গেলে ঝট করে উড়ে যেতে পারে। পোকামাকড়, কীটপতঙ্গের জন্য ওরা ওঁৎ পেতে থাকে ছোট ছোট গাছে, ঝোপ-ঝাড়ের মাথায়। কণ্ঠস্বর মিষ্টি। ‘টিউ টিউ টিউ, ছিট ছিট ছিট’ ধরনের ডাক। দলে থাকতে পছন্দ করে, মাটিতেও বসে।

সুইচোরাদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, লম্বাটে ডানা, খাটো পা, লম্বা লেজ, লম্বা ঠোঁট ও চোখে কাজল। পুরুষ ও মেয়ে পাখি দেখতে একই রকম। যদিও ওরা পতঙ্গভুখ, তবে মৌমাছিও খায়-যা মোট খাদ্যের ১৫ ভাগ। ওদের ইংরেজি নাম Bee eater অর্থাৎ মৌমাছিভুখ। অবশ্য মৌমাছি খেতে ওরা খুব পছন্দ করে। শুধু মৌমাছি নয়, যে কোনো পোকাই ওরা উড়ে গিয়ে ধরুক না কেন, শব্দ হবে ‘চট’ করে। সুইচোরা পৃথিবীতে আছে ২৪ রকমের। সবচেয়ে ছোটটির মাপ ৬ ইঞ্চি, বড়টি ১৪ ইঞ্চি। সবারই আচার-আচরণ, ওড়ার ধরন, বাসার গড়ন ও খাদ্য তালিকা একই রকম। সবারই শরীরে সবুজ রঙের আধিক্য। বাসা করে পাহাড়-টিলা, নদী-নালার পাড়ের মাটিতে গর্ত খুঁড়ে।

অলংকরণ: হাশেম খান

১. পিঙ্গল-মাথা সুইচোরা (Chestnutheaded Bee-eater, Merops leschenaulli) ২. নীললেজা সুইচোরা (Bluetarited Bee-eater, Merops Philippinus): এরাও লম্বায় প্রায় ২২ সেন্টিমিটার। ৩. সবুজ সুইচোরা (Green Bee-eater, Merops orientalis): এরা লম্বায় প্রায় ২১ সেন্টিমিটার। ৪. পাহাড়ি বড় সুইচোরা (Blue Bearheaded Bee-eater, Nyctyornis athertoni): সুঁই নেই। এদের মাপ ৩৫ সেন্টিমিটার।

আমাদের দেশে বাসা বাঁধার মৌসুম হচ্ছে বর্ষা ও হেমন্ত বাদে অন্য সব ঋতু। বছরে দুবার বাসা করে। বাসার জায়গা নির্বাচন করে ওরা খুব হিসাব-নিকাশ কষে। জায়গা নির্বাচনে লাগায় ২-৬ দিন। দুজনে মিলে গর্ত খোঁড়ে ঠোঁট ও পা দিয়ে। গর্তের মুখ ছোট রাখে, ভেতরে ক্রমশ তা বাড়ে। যেখানে ডিম পাড়ে, সেখানটা বেশ গোলাকার করে নেয়। গর্ত খোঁড়া শেষ হয় ৪-৭ দিনে। ডিম পাড়ে ৬টা। কমবেশিও হয়। তবে ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে ডিম ওই ৬টাই। ডিমে তা দেয় দুজনে পালা করে। প্রজাতিভেদে ডিম ফোটে ২১-২৭ দিনে। এ সময়ে বৃষ্টি বা বন্যা হলেও ওদের গর্ত ডোবে না, জল জমে না। মাটি যাচাই ও সবদিক বিবেচনা করে যেভাবে গর্ত খোঁড়ে, তাতে অবাক না হয়ে পারা যায় না। সারাদিন হয়তো নীললেজ সুইচোরার ডিম, ছবি ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক এলাকা থেকে তোলা প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হল, খাবার খেতে পারল না, অথচ রাতে হয়তো ফুটফুটে জোছনা, সে রকম রাতে আমি ওদের খাবার খুঁজতে, উড়তে দেখেছি। ওদের ভুতুম ও বনবিড়ালের কবলে পড়তেও দেখেছি।

পাহাড়ের গায়ে গর্ত খুঁড়ে কলোনি বাসা করেছে সুইচোরা পাখিরা ছবি চট্টগ্রামের মীরসরাই থেকে তোলা

সুইচোরারা নিরীহ পাখি। প্রকৃতির সৌন্দর্য ওরা। নানা রকম ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশের উপকার করে। ফসলের বন্ধু ওরা, মানুষের বন্ধু। বাংলাদেশে খুব ভালো অবস্থায় আছে, সব জায়গাই আছে। ওদের মূল খাদ্য পোকামাকড়। জল খায় ছোঁ মেরে। খেজুরের রস পছন্দ করে। ঝাঁক বেঁধে উড়ে উড়ে ডেকে ডেকে খেলতে ভালোবাসে।

উৎসাহী শিশু-কিশোরেরা ঢাকা শহর থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সব জায়গাতেই ওদের দেখতে পাবে, দেখতে পাবে ডিম-বাচ্চা-বাসাসহ ওদের আচার-আচরণ ও উড়ে বা ডাইভ দিয়ে পোকা ধরার চোখজুড়ানো কৌশল। শুনতে পাবে ওদের মিষ্টি গান। অবশ্য ওরা গায়কপাখির দলভুক্ত নয়।

এবার আমাদের দেশের ৪ রকমের সুইচোরার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।

১. পিঙ্গল-মাথা সুইচোরা (Chestnutheaded Bee-eater, Merops leschenaulli)

ছবি: উইকিপিডিয়া

এদের কপাল হয়ে মাথা-ঘাড় গাঢ়-পিঙ্গল। পিঠও পিঙ্গল। টকটকে হলুদ গলা। গলায় একটা চওড়া বলয় আছে, রঙ কালচে-পিঙ্গল। চোখের মণি লাল। পেট হলুদাভ-সবুজ। ঠোঁটের গোড়া থেকে চোখের পাশ ঘেষে কালো একটা টান। লেজের উপরিভাগ সাগর-নীল। সুইয়ের রঙও তাই। ডানার প্রান্ত সবুজ। সমস্ত শরীরে যেন মিশে আছে সবুজের একটা আভা। বেশি দেখা যায় পাহাড়-টিলাময় এলাকায় ও বড় বড় বনের আশেপাশে। ডিম পাড়ে ৪-৬ টা। রং সাদা।

২. নীললেজা সুইচোরা (Bluetarited Bee-eater, Merops Philippinus)

ছবি: উইকিপিডিয়া

এরাও লম্বায় প্রায় ২২ সেন্টিমিটার। পিঠের শেষ প্রান্ত থেকে শুরু করে লেজের উপরিভাগ নীলচে। সুইয়ের রঙ কালচে-নীল। চোখের পাশে চওড়া কালো দাগ। মাথা-বুক-গলা-ঘাড় পিঙ্গল। এদের লেজ বেশ চওড়া, মেলে দিলে অনেকটা মাছের লেজের মতো দেখায়। ওই লেজে সাঁটা সুই দুটো দেখতে আরো চমৎকার। বুক ও পেটের রং হালকা পিঙ্গল, তাতে লালচে-হলুদের আভা। এরা ডিম পাড়ে ৬টা, ৭টাও দেখা যায়। ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে জায়গা বদল করে খাবার সুবিধার জন্য।

৩. সবুজ সুইচোরা (Green Bee-eater, Merops orientalis): এরা লম্বায় প্রায় ২১

ছবি: উইকিপিডিয়া

সেন্টিমিটার। সব মিলিয়ে সুন্দর সবুজ একটা পাখি। সবুজ গলায় কালো একটা অর্ধবলয় আছে। ঠোঁটের গোড়া থেকে চোখের পাশ ঘেঁষে চওড়া কালো টান। মনে হয় কাজলের পোঁচ। সুঁইয়ের রঙ কালচে। মাথা- ঘাড়ের রঙ লালচে-বাদামি। এদের কণ্ঠস্বর সবচেয়ে (বাংলাদেশে) মিষ্টি। গলা বাজাতে পারে ভালো। ‘ট্রি টিট্রিটিটি’ শব্দে যখন দলবেঁধে ওড়ে আর ডাকে, তখন মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। ডিম দেয় প্রায়ই ৭টা।

৪. পাহাড়ি বড় সুইচোরা (Blue Bearheaded Bee-eater, Nyctyornis athertoni)

ছবি: আইন্যাচারালিস্ট

সুঁই নেই। এদের মাপ ৩৫ সেন্টিমিটার। পার্বত্য জেলাগুলোর গভীর পাহাড়ি জঙ্গলের মাঝের ফাঁকা জায়গায় ক্বচিৎ দেখা যায়। পৃথিবীর বৃহত্তম এই সুইচোরাদের দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এরাও সব মিলে সবুজ পাখি। গলা থেকে বুকের ওপরিভাগের কিছুটা সাগর-নীল। লেজের আগা সমান, উপরিভাগ হালকা সবুজ, নিচটা হলদেটে, তাতে কালচে ভাব। পেটে আছে হলুদাভ রং, তার ওপরে খাড়া খাড়া সবুজ টান। লাজুক স্বভাবের পাখি। কণ্ঠস্বর চড়া। ব্যাঙ ও ছোট সাপ পর্যন্ত খায়। খুব সাহসী, শুধু মানুষকে এড়িয়ে চলতে চায়। বাসা করে পাহাড়ের গায়ে। পাহাড়ি ঝিরি থেকে জল পান করে। এদের বাসায় প্রায়ই সাপ ঢুকে ডিম-বাচ্চা খেয়ে ফেলে। ওরা তখন সাপের লেজ ও কোমরে আচ্ছামতন ঠোকরায় ও আঁচড়ায়।

পাহাড়ের গায়ে গর্ত খুঁড়ে কলোনি বাসা করেছে সুইচোরা পাখিরা ছবি চট্টগ্রামের মীরসরাই থেকে তোলা