ভাইরাসকে বলা হয় মাইক্রোঅর্গানিজম বা অণুজীব। খুদে এই বস্তুগুলো আমাদের খবর করে ছাড়ে প্রায়ই। ভাইরাসের সংক্রমণে আমাদের সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বর যেমন হয়, তেমনি করোনার মতো অতিমারির জন্যও দায়ী এই ভাইরাসই। কাজেই প্রশ্নটা স্বাভাবিক, ভাইরাস কি মারা যায়? গেলে, একটা ভাইরাস ঠিক কতদিন বাঁচে?
উত্তরটাও মজার। ভাইরাস আসলে মারা যেতে পারে না, কারণ এগুলো ঠিক জীবিত নয়। কথাটা আরেকটু খোলাসা করে বলা যায়, ভাইরাসের ভেতরে ডিএনএ, আরএনএ বা সংশ্লিষ্ট জৈব অণু থাকে বটে; তবে এরা নিজেরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে না। সে জন্যই ভাইরাসকে বলা হয় পরজীবী। এগুলো অন্য কোনো প্রাণীর কোষে হামলা করে, তারপর তার জিনবিষয়ক তথ্যগুলো ছিনতাই করে ফেলে!
ইতিহাসবিদরা বলেন ১৭৮৭ সালে ব্রিটিশ ডাক্তাররা অস্ট্রেলিয়ায় গুটিবসন্তের ভাইরাস নিয়ে আসেন। এর প্রায় দুবছর পর, ১৯৮৯ সালে গুটিবসন্ত অতিমারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসিন্দাদের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ এ সময় মারা যান
তাহলে প্রশ্নটা একটু বদলে ফেলতে হবে। ভাইরাস কতদিন কার্যকর থাকে ও সংক্রমণ ঘটাতে পারে? কিছু ভাইরাস—যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, এইচআইভি (এইডস রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস)—হোস্ট বা পোষক দেহের বাইরে মাত্র কয়েক ঘণ্টা কার্যক্ষম থাকতে পারে। করোনাভাইরাস যেমন কাগজে লেগে থাকলে দুদিন; কাঠ বা কাপড়ের পৃষ্ঠে একদিনের মতো কার্যক্ষম (সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম) থাকতে পারে। তবে গবেষণাগারে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সংরক্ষণ করা হলে ভিন্ন কথা। বিভিন্ন গবেষণার জন্য এ কাজ প্রায়ই করেন বিজ্ঞানীরা।
অন্য কিছু ভাইরাস—যেমন প্রাণঘাতী স্মলপক্স বা গুটিবসন্ত ভাইরাস কার্যক্ষম থাকে বহু বছর। এসব ভাইরাস তাই বেশি ভয়ংকর। যেমন ইতিহাসবিদরা বলেন ১৭৮৭ সালে ব্রিটিশ ডাক্তাররা অস্ট্রেলিয়ায় গুটিবসন্তের ভাইরাস নিয়ে আসেন। এর প্রায় দুবছর পর, ১৯৮৯ সালে গুটিবসন্ত অতিমারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসিন্দাদের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ এ সময় মারা যান।
বর্তমানে তাই বিজ্ঞানীরা কড়া নজর রাখেন ভাইরাসের দিকে। সম্প্রতি যেমন এমপক্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে। এ সময় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিস্তারিত জানতে পড়ুন: মাঙ্কিপক্স নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা: যা জানা প্রয়োজন।