লোহিত রক্তকণিকা নামটি যেভাবে পেলাম

রক্ত থেকে লোহিত কণিকাকে প্রথম আলাদাভাবে শনাক্ত করেছিলেন ডাচ্ জীববিজ্ঞানী জ্যান সোয়ামমারডাম। ১৬৫৮ সালে প্রথম যুগের অণুবীক্ষণ যন্ত্রে তিনি ব্যাঙের রক্ত নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। তবে তাঁর কাজ সম্পর্কে কোনো কিছু না জেনেই ১৬৭৪ সালের দিকে রক্ত নিয়ে গবেষণা করেছিলেন ডাচ্ বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ভন লিউয়েনহুক। লোহিত কণিকা সম্পর্কে হুকের বর্ণনা আগের তুলনায় অনেক নিখুঁত ছিল। এমনকি তিনি লোহিত কণিকার আকারও বর্ণনা করেছিলেন। তাঁর হিসাবে, এই কণিকার আকার মিহি বালুকণার চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার ভাগ ছোট। পরে অণুবীক্ষণযন্ত্রের উন্নতির পর রক্ত তথা লোহিত কণিকা সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া গিয়েছিল।

যা-ই হোক, লাল রঙের কারণে রক্তের এই ছোট বস্তুগুলোকে বলে লোহিত কণিকা। এই কণিকায় লোহাবাহী হিমোগ্লোবিন নামের একটি প্রোটিন থাকে বলেই এটি দেখতে লাল হয়। এই কণিকার মাধ্যমেই মানুষসহ মেরুদণ্ডী প্রাণীরা দেহের কোষগুলোতে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড আদান-প্রদান করে।

লোহিত কণিকার আরেকটি নাম ইরাইথ্রোসাইটস (Erythrocytes)। গ্রিক শব্দ Erythros অর্থ লোহিত বা লাল এবং kytos অর্থ কোষ বা কণিকা।

মানুষসহ অন্য অনেক প্রাণীর লাল রক্তকণিকায় কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না। তাই একে প্রকৃত কোষ হিসেবে ধরা হয় না। লোহিত রক্তকণিকাকে অনেক সময় লাল কণিকাও (Red corpuscle) বলা হয়।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বিজ্ঞানচিন্তা