প্রশ্ন: ব্ল্যাকহোল সৃষ্টি হয় কীভাবে? আর এটা যদি ব্ল্যাকহোল বা অন্ধকার গুহা হয়, তাহলে আমরা এর ছবি তুললাম কীভাবে?
সাইদুল আমীন, ঠিকানাবিহীন
উত্তর: এ প্রশ্নের উত্তরও সংক্ষিপ্তভাবে দেওয়া যাবে না। এখানে শুধু এটুকু বলতে পারি, সূর্য থেকে ভারী একটি তারা, এখন মনে হচ্ছে অন্তত প্রায় ২০ গুণ বেশি ভারী, তার জীবন শেষে বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের পর সেটির ধ্বংসাবশেষ নিজের মধ্যে আপতিত হয়, যেটির ঘনত্ব প্রায় অসীম হবে (সেই অসীম ঘনত্বের বিজ্ঞান সম্পর্কে আমরা এখনো কিছু জানি না)। এটিই ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর, যেখান থেকে আলোও বের হতে পারবে না। আমরা কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তুলিনি; বরং সেটির ছায়ার ছবি তুলেছি, অর্থাৎ তার আশপাশে যেসব বস্তু বা বস্তুকণা আছে, তাদের থেকে যে নির্গত আলো—যা কৃষ্ণগহ্বরে আপতিত হয় না—সেটাই বিজ্ঞানীরা তাদের ডিটেক্টরে ধরেছেন। কাজেই ভেতরের অংশ (মূলত যাকে বলে ঘটনাদিগন্ত) সেটা কালোই থাকছে কিন্তু সেই কালোটা আসলে কৃষ্ণগহ্বরের ছায়া।
উত্তর দিয়েছেন দীপেন ভট্টাচার্য, অধ্যাপক ও জ্যোতিঃপদার্থবিদ, মোরেনো ভ্যালি কলেজ, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র