মশা কেন আমাদের রক্ত চুষে খায়

বংশবিস্তারের জন্য মশা নিজ দেহে ডিম পরিপুষ্ট করে। এ জন্য মূলত স্ত্রী–জাতীয় মশা রক্ত চুষে খায়। মানুষ দেখলেই হুল ফোটায়। মানুষের দেহের রক্ত তাদের দরকার। কিন্তু কীভাবে ওরা মানুষ চেনে? এটা তো সহজ কথা নয়। আসলে মশা মানুষ চেনে না, চেনে শুধু কিছু গন্ধ, যা মানুষের দেহ থেকে বের হয়।

মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে আসা কার্বন ডাই–অক্সাইড গ্যাস ও শরীরের উষ্ণতা থেকে মশা বুঝতে পারে কাছাকাছি কোথাও নিশ্চয়ই মানুষ আছে। ছুটে যায় সেখানে। উদ্দেশ্য, রক্ত শুষে খাওয়া। এ জন্যই মশা মারার একধরনের যন্ত্রের সাহায্যে খুব স্বল্প মাত্রার কার্বন ডাই–অক্সাইড গ্যাস হালকাভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। মশা মনে করে, ওখানে মানুষ আছে। যন্ত্রের কাছে গেলেই ভেতরে রক্ষিত একটি ছোট ফ্যানের আকর্ষণে তাকে টেনে ভেতরে কিছু তরলের মধ্যে ডুবিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়।

পুরুষ শ্রেণির মশাদের রক্ত খাওয়ার খুব প্রয়োজন হয় না। ওরা মূলত লতাপাতার রস খেয়েই বাঁচে। তাই অনেক সময় দেখা যায়, ঘরের দেয়াল ও আসবাবে কিছু মশা বসে থাকে। মাঝেমধ্যে হয়তো ওরাও দুয়েকবার আমাদের গায়ে হুল ফোটায়। কিন্তু সেটা নিয়মিত নয়। ঘরের এক কোণায় একটি ছোট পাত্রে সামান্য কার্বন ডাই–অক্সাইড মিশ্রিত তরল রাখলে হয়তো দেখা যাবে সেখানে কিছু মশা জড়ো হয়। এভাবেও কিছু মশাকে বিভ্রান্ত করা যায়।

*লেখাটি ২০২৪ সালে বিজ্ঞানচিন্তার জুন সংখ্যায় প্রকাশিত