খাবার লবণের বিকল্প

স্নায়ুতন্ত্র সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লবনছবি: সংগৃহীত

লবণ ছাড়া বেঁচে থাকা একরকম অসম্ভব। আমাদের স্নায়ুতন্ত্র সচল রাখতে অতিগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এটি। পেশি সংকোচন ও শিথিলের কাজে সাহায্য করে। বজায় রাখে শরীরের তরল উপাদানের ভারসাম্য।

দেহের এসব কার্যক্রম চালু রাখতে খুব বেশি লবণের প্রয়োজন নেই। দিনে এক চা-চামচের চার ভাগের এক ভাগ লবণই যথেষ্ঠ। তবে আমরা অনেকেই এর চেয়ে অনেক বেশি লবণ খাই। পরিমাণটা যদি প্রায় ১ চা-চামচ বা ৬ গ্রামের মতো হয়ে যায়, তাহলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ। এ সমস্যা এড়াতে প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

পটাসিয়াম ক্লোরাইডও একেবারে নির্দোষ নয়। এরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বিশেষ করে অনেক ওষুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারে এটা।

খাবার লবণ তৈরি হয় সোডিয়াম (Na) ও ক্লোরিনের (Cl) বিক্রিয়ায়। সহজ ভাষায় সোডিয়াম ও ক্লোরিনের মিশ্রণ বলা যেতে পারে, যদিও মৌল দুটোকে শুধু মেশালে লবণ পাওয়া যাবে না। এ দুটোর মধ্যে বিক্রিয়া হতে হবে। যাই হোক, এর বিকল্প পটাশিয়াম ক্লোরাইডের (KCl) স্বাদও একই রকম লবণাক্ত। গবেষকেরা বলেন, এ লবণ শরীরের রক্তচাপ কম রাখতে সাহায্য করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

তবে পটাসিয়াম ক্লোরাইডও একেবারে নির্দোষ নয়। এরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বিশেষ করে অনেক ওষুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারে এটা। ফলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে কিডনির। তাই বিকল্প থাকলেও, শারীরিক সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনোভাবেই পটাশিয়াম ক্লোরাইডের লবণ খাওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া, স্বাদ বাড়ালেও লবণ অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর।

সূত্র: সায়েন্স ফোকাস