বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে মেয়েদের অর্জন বিষয়ক কর্মশালা

৯ম ‘ইন্টারন্যশনাল ডে অব ওমেন অ্যান্ড গার্লস ইন সায়েন্স’ উদযাপনের লক্ষ্যে কর্মশালা আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি)। ১১ ফেব্রুয়ারি, রোববার রাত ৯টায় অনলাইনে (জুম) ‘বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে মেয়েদের অর্জন’ শিরোনামের এ কর্মশালা আয়োজিত হবে। স্কুল ও কলেজশিক্ষার্থী মেয়েরা অংশগ্রহণ করতে পারবে এ কর্মশালায়। এবারের প্রতিপাদ্য—বিজ্ঞানে নারীদের সমান ও পূর্ণ প্রবেশাধিকার এবং নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া।

এ অনলাইন আয়োজনে আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে (আইজেএসও) বাংলাদেশ দলের পদক জয়ী মেয়েরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এর মধ্যে রয়েছেন—২০১৭ সালে আইজেএসওতে ব্রোঞ্জপদক জয়ী যুক্তরাষ্ট্রের রিড কলেজের শিক্ষার্থী রুবায়াত জালাল, ২০১৯ সালে রৌপ্যপদক জয়ী যুক্তরাষ্ট্রের অ্যামহারস্ট কলেজের শিক্ষার্থী জাকিয়া তাজনূর চৌধুরী, ২০২৩ সালে ব্রোঞ্জপদক জয়ী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী তাসলিমা তাসনিম ও ২০২৩ সালে রৌপ্যপদক জয়ী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মনামি জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করবেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী লামিসা মানহা।

এ কর্মশালার মাধ্যমে স্কুল ও কলেজশিক্ষার্থী মেয়েরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পদকজয়ী মেয়েদের অভিজ্ঞতা জানতে পারবে। এতে বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ, প্রস্তুতি ও ভালো ফলাফলের অনুপ্রেরণা পেতে পারে অংশগ্রহণকারীরা।

২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ১১ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘ইন্টারন্যশনাল ডে অব ওমেন অ্যান্ড গার্লস ইন সায়েন্স’।

বর্তমানে চলছে গণিত ও ফিজিকস অলিম্পিয়াড। সামনে আছে জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড। কীভাবে শিক্ষার্থীরা এসব অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি নেবে, সে বিষয়ে এ কর্মশালায় দিকনির্দেশনা পাবে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্য দেশ ও দেশের বাইরে মেয়েদের কেমন সুযোগ রয়েছে, জানতে পারবে সেসব বিষয়ে। সঙ্গে প্রশ্ন করার সুযোগ তো রয়েছেই।

অনলাইন এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে রাত ৯টায়। চলবে ৯.৪৫টা পর্যন্ত। বিনামূল্যে নিবন্ধন করতে ক্লিক করতে হবে এই লিংকে: https://forms.gle/i7qMiQAyobxXZ1m89

২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ১১ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে জাতিসংঘ ঘোষিত ‘ইন্টারন্যশনাল ডে অব ওমেন অ্যান্ড গার্লস ইন সায়েন্স’। হাইপেশিয়া থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের মেরি কুরি, মে-ব্রিট মোজের মতো নারী বিজ্ঞানীরা সমৃদ্ধ করে চলেছেন বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা। তাঁদের অবদান স্মরণ এবং মেয়েদেরকে বিজ্ঞানে আরও আগ্রহী করতে বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা হয় দিবসটি।