আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের ৬ ব্রোঞ্জপদক
আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের ২২তম আসরে ৬টি ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে বাংলাদেশ। রাশিয়ার সোচিতে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড ফলাফল ঘোষণা করা হয় ১ ডিসেম্বর, সোমবার।
খুদে বিজ্ঞানীদের এই বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ছয় সদস্যের বাংলাদেশ দল। প্রত্যেকে পেয়েছে ব্রোঞ্জপদক। তারা হলো, বাংলাদেশ সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবরার জাহিন পাঠান, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিহান পাল, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের আহনাফ আহমেদ সিনান, গলগথা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী এইচ এম আজিজুর রহমান আলিফ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাশওয়ান হক মাহির এবং যশোর পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুফফা নূর জারিয়াহ।
এই দলের সঙ্গে প্রধান দলনেতা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, সহকারী দলনেতা হিসেবে বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের কো-অর্ডিনেটর মো. রেজাউল ইসলাম ও একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর মোর্শেদা আক্তার মীম। পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলেন মুহম্মাদ জাকারিয়া পাঠান।
এর আগে বিভিন্ন ধাপে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই ছয় শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়েছে। চলতি বছর জুলাই মাস থেকে শুরু হয় বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের ১১তম আসর। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয় অনলাইন বাছাই পর্ব। ৬টি আঞ্চলিক পর্ব, একটি ই-অলিম্পিয়াড, ১০টি উপজেলা পর্যায়ে স্কুল অলিম্পিয়াড শেষে ঢাকায় আয়োজিত হয় জাতীয় পর্ব ও ক্যাম্প। সেখান থেকে এই ছয় সদস্যের দল বাছাই করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে প্রথমবার অংশগ্রহণ করে ব্রোঞ্জ পদক পায় বাংলাদেশ। প্রতি বছরের মত এবছরেও আইজেএসওর পৃষ্ঠপোষকতা করছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। অলিম্পিয়াডের জন্য বাংলাদেশ দল নির্বাচন করে যৌথভাবে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন। প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে ছিল আইইউবিএটি। সহযোগী হিসাবে রয়েছে ম্যাসলাব ও রকমারি। ম্যাগাজিন পার্টনার মাসিক কিশোর আলো ও বিজ্ঞানচিন্তা।