বিজ্ঞান জাদুঘরে টেলিস্কোপে গোলাপি চাঁদ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

আকাশজুড়ে চাঁদছবি: খালেদ সরকার

অনুষ্ঠিত হলো গোলাপি চাঁদ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প। গত ২৪ এপ্রিল, বুধবার সন্ধ্যায় টেলিস্কোপে বিনামূল্যে এই চাঁদ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর। প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী এ আয়োজনে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা ও উপস্থিত বিজ্ঞান বক্তৃতা। এতে তাৎক্ষণিক প্রশ্নের উত্তর ও সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিয়ে পুরস্কার জিতে নেয় অনেকে।

সন্ধ্যা হতেই ভীড় জমে যায় বাংলাদেশ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের ছাদে। তবে আশপাশের উঁচু বাড়িঘরের জন্য চাঁদ দেখা শুরু হয় রাত ৮টার দিকে। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। উপস্থিত বক্তৃতায় এক শিক্ষার্থী জানায়, গোলাপি চাঁদের কথা শুনে সে অবাক হয়ে গিয়েছিল। তবে সে পড়েছে, এই চাঁদ আসলে গোলাপি নয়। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলের এক জনপদের সাংস্কৃতিক নাম। তবু টেলিস্কোপে চাঁদ দেখার সুযোগ কি ছাড়া যায়! সে জন্যই মাকে নিয়ে চাঁদ দেখতে এসেছে সে।

খুদে এক শিক্ষার্থী চাঁদ দেখছে টেলিস্কোপে
ছবি: খালেদ সরকার

আসলে, প্রতি বছরের এপ্রিল মাসের পূর্ণ চাঁদকে গোলাপি চাঁদ বলা হয়। ইংরেজি নাম ‘পিংক মুন’। নামে গোলাপি থাকলেও চাঁদের রং আসলে তেমন গোলাপি হয় না। মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এপ্রিল মাসে ফ্লক্স নামে একধরনের বুনো ফুল ফোটে। এই ফুলের রং গোলাপি। সেখান থেকেই এই চাঁদের নাম হয়েছে পিংক মুন বা গোলাপি চাঁদ। যুক্তরাষ্ট্রের মেইন ফার্মারস অ্যালমানাক ১৯৩০-এর দশকে বিভিন্ন মাসের চাঁদের এরকম বিভিন্ন নাম প্রকাশ করত। নাসা এটা লক্ষ্য করে ‘পিংক মুন’ নামটি স্বীকৃতি দেয়। একে অবশ্য আরও অনেক নামে ডাকা হয়। যেমন ফিশ মুন, গ্রাস মুন বা এগ মুন। এ সময় চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে। তাই দেখতে তুলনামূলক বড় ও উজ্জ্বল দেখায়।

চাঁদ দেখতে শিক্ষার্থীদের ভীড়
ছবি: খালেদ সরকার

তবে সামান্য গোলাপি রং হতে পারে এ চাঁদের। কেন? কারণ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকে অনেক ধূলিকণা। এই ধূলিকণার মধ্য দিয়ে আলো আসার সময় রং বদলে যায়। শুধু গোলাপি নয়, এ সময় মাঝে-মধ্যে চাঁদকে বাদামি, নীল, হালকা নীল, গোলাপি, সোনালি ও হালকা হলুদ রঙেরও দেখায়। বাংলাদেশ থেকে যেমন চলতি বছর এই চাঁদ দেখে খানিকটা স্বর্ণালি বলে মনে হয়েছে।

চাঁদ দেখে সবাই খুশি
ছবি: খালেদ সরকার

চাঁদ দেখার এ আয়োজন শেষ হয় রাত সাড়ে ৮টার দিকে।এ বিজ্ঞানায়োজন শেষে শিক্ষার্থীরা ফিরেছে হাসি মুখে।