নবীনের কেতন উড়িয়ে যাত্রা শুরু বিজ্ঞান উৎসবের

ঘড়িতে তখন ঠিক সকাল নটা। সেই মুহূর্তে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাঙ্গণে ঢুকলে আপনি নিশ্চিত চমকে যেতেন। সার বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে একদল শিক্ষার্থী। যত দূর চোখ যায়, খুদে বিজ্ঞানীদের স্তব্ধ সমুদ্র, থমকে আছে, যেন নবীনের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে নিতে চায় সব। সামনের মঞ্চে উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা। আরেকটি খুদে রোবট—ওয়াল.ই—মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলছে, ‘আমি বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করছি!’

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব। বাংলাদেশও কি নয়? এ দেশের সবক্ষেত্রেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ছোঁয়া। রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও আমাদের আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও শিল্পক্ষেত্রে ওতপ্রোত জড়িয়ে যাচ্ছে। অনেকেই আবার আশাঙ্কা করছেন উন্নত প্রযুক্তির আবির্ভাবে মানুষ না আবার কর্মহীন হয়ে পড়ে। ঠিক এমনই এক যুগসন্ধিক্ষণে বিজ্ঞানের মূল মর্ম শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বিজ্ঞানচিন্তা ও দেশের সবচেয়ে বড় মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ আয়োজন করেছে বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব ২০২৫।

বেলুন উড়িয়ে শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিক যাত্রা
ছবি: আব্দুল ইলা

৩০ আগস্ট, শনিবার। শরতের সকালটা হাজির বেশ স্নিগ্ধতা নিয়েই। সকালের কোমল আলো মাঝে মাঝে বৃষ্টির আভাসও দিয়ে যাচ্ছে। তাতে শঙ্কিত আয়োজকেরা; কিন্তু বিজ্ঞানের তুর্কি তরুণদের রুখবে, বৃষ্টির সেই ধৃষ্টতা কি আছে! তাই তো সকাল আটটার আগেই রাজধানীর মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে খুদে বিজ্ঞানপ্রেমীদের জনস্রোত বইতে শুরু করে। রাজধানী তো বটেই, ঢাকা বিভাগের অন্যান্য শহরের শিক্ষার্থীদেরও পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে উৎসব প্রাঙ্গণ। প্রাঙ্গণের ঠিক মাঝখানটায় সারবাঁধা স্টল। এগুলো সব প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ। এতগুলো স্টল, সব কানায় কানায় পূর্ণ। শিক্ষার্থীরা মহাউৎসাহে, শরতের পাখির মতো কলধ্বনি করে স্টলে নিজেদের প্রজেক্ট সাজাচ্ছে, কেউ-বা নিচ্ছে কুইজের প্রস্ততি।

‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পৃথিবীতে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই গতির সঙ্গে তাল মেলাতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।’ বলেন মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম।

কাঁটায় কাঁটায় ঠিক সকাল নটায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হলো। সেখানেই দেখা গেল ওই চমক। বিজ্ঞান উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করল রোবট ‘ওয়াল.ই’। এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সেই সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বিজ্ঞান উৎসবের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বেলুন উড়িয়ে শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিক যাত্রা। বিজ্ঞান উৎসবের ঢাকা আঞ্চলিক পর্বের ভেন্যু প্রধান ছিলেন মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারজানা শাকিল। তিনিই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। আর উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম এবং বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটারবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ফিজিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক আরশাদ মোমেন, কার্টুনিস্ট ও রম্য পত্রিকা উন্মাদ-এর সম্পাদক আহসান হাবীব, বিজ্ঞানবক্তা আসিফ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার, প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, অ্যাসোসিয়েশন ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ফারজানা আলম, বিকাশের ইভিপি ও হেড অফ রেগুলেটরি এন্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স হুমায়ুন কবির, ভাইস প্রেসিডেন্ট সায়মা আহসান, ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান শাকিল,  এবং বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার, সহসম্পাদক উচ্ছ্বাস তৌসিফ ও কাজী আকাশসহ আরও অনেকে।

সামনের মঞ্চে উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা। আরেকটি খুদে রোবট—ওয়াল.ই—মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলছে, ‘আমি বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করছি!’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আব্দুল কাইয়ুম। তিনি মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বিকাশকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কুসংস্কারমুক্ত, উৎপাদনশীল ও মননশীল জাতি গড়তে বিজ্ঞানকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া জরুরি।’ বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসবের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে বিজ্ঞানমনষ্কতা জাগ্রত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞান বক্তা আসিফ বলেন, ‘বিজ্ঞানচিন্তুা দেশের স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞান উৎসব সেই বিজ্ঞান প্রসারে বাড়তি সংযোজন।

ভেন্যু প্রধান ফারজানা শাকিল বলেন, ‘বিজ্ঞান উৎসবের মতো একটা বিশাল বিজ্ঞান আয়োজনের অংশ হতে পারে আমরা গর্বিত। এই উৎসবের মাধ্যমে শিশুদের মেধা ও মনে বিজ্ঞানমনস্কতা আরও বাড়বে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পৃথিবীতে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই গতির সঙ্গে তাল মেলাতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আমাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।’ বলেন মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, ‘বিকাশ একটা টেকনোলজিক্যাল ফিন্যান্স প্রতিষ্ঠান। তাই  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের আত্মিক সম্পর্ক আছে। বিজ্ঞানচিন্তা দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথ পথচলার ফসল এই বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব। ভবিষ্যতেও বিজ্ঞান উৎসবের এই পথচলায় আমাদের অংশিদারত্ব অব্যহত থাকবে।’

অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ
ছবি: আব্দুল ইলা

অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, ‘অন্ধকার কখনো অন্ধকারের বিনাশ করতে পারে না। এ জন্য প্রয়োজন আলো। মানবসভ্যতার অন্ধকার দূর করতে হলে বিজ্ঞানের জ্ঞান খুব জরুরি। এ জন্য শুধু বিজ্ঞানপাঠ যথেষ্ট নয়, বিজ্ঞানমনস্কতা জরুরি।’

অধ্যাপক আরশাদ মোমেন বলেন, ‘বিজ্ঞান সাধনা ও পরিশ্রমের বিষয়। বিজ্ঞানী হতে গেলে শুধু পাঠ্যবই আর কয়েকটি বিজ্ঞান প্রজেক্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, বিজ্ঞানকে ধারণ করে পরিশ্রম করতে হবে।’

কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব নিয়মিত বিজ্ঞানচিন্তা প্রকাশের জন্য বিজ্ঞানচিন্তার সম্পদকমণ্ডলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজ্ঞান উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিজ্ঞান শিখতে হলে, বিজ্ঞানচর্চা চালিয়ে যেতে হলে বিজ্ঞানের বই পড়া জরুরি। তোমরা বেশি বেশি বই পড়ো, বিজ্ঞানচর্চা করো, হয়তো তোমাদের ভেতর থেকেই বেরিয়ে আসবে আগামী দিনের বড় বড় অনেক বিজ্ঞানী।’

কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব
ছবি: আব্দুল ইলা

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘খেলাধূলার সঙ্গে বিজ্ঞান অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। কিন্তু এখনো এ দেশের ক্রীড়াজগত প্রাযুক্তিক সুবিধার জন্য বাইরের দেশের ওপর নির্ভরশীল। আমি বিশ্বাস করি, আজকের উৎসবে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে ক্রীড়াজগতের বিদেশনির্ভরতা দূর করবে।’

ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বিকাশকে ধন্যবাদ জানিয়ে কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, ‘জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতকে সমুন্নত রাখতে হলে আমাদের বিজ্ঞান ও আলোর পথে হাঁটতে হবে।’

বিজ্ঞান বক্তা আসিফ বলেন, ‘বিজ্ঞানচিন্তুা দেশের স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞান উৎসব সেই বিজ্ঞান প্রসারে বাড়তি সংযোজন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানবিষয়ক চিন্তার প্রসার ঘটানোর এই প্রয়াসকে আমি সাধুবাদ জানাই।’

বেলা ১টায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঢাকা আঞ্চলিক উৎসব। এই পর্ব সঞ্চালনা করেন শিবলী বিন সারওয়ার ও বিজ্ঞানচিন্তার সহসম্পাদক উচ্ছ্বাস তৌসিফ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান কুইজ ও প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। এবারের বিজ্ঞান উৎসবে ১৫০-এর বেশি প্রজেক্ট নিয়ে এসেছে খুদে শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞানচিন্তার অ্যাকাডেমিক টিম ও বিচারকেরা এসব প্রজেক্ট দেখে বিজয়ী বাছাই করেন। আর বিজ্ঞান কুইজে প্রায় সাত শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। সব মিলে ঢাকা বিভাগের ১২০টি স্কুলের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ঢাকা বিজ্ঞান উৎসব হয়ে ওঠে খুদে বিজ্ঞানীদের বড় উৎসব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান কুইজ ও প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে অংশ নেয়
ছবি: আব্দুল ইলা

কুইজ শেষে বেলা ১১টায় মূল মঞ্চে শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল চমকপ্রদ সব আয়োজন। এ সময় বিজ্ঞান ম্যাজিক দেখান জাদুশিল্পী রাজীব বসাক। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব। তারপর শিক্ষার্থীদের একের পর এক প্রশ্নে জমে ওঠে প্রশ্নোত্তর পর্ব। এসব প্রশ্নের উত্তর দেন মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান, লেখক ও চিকিৎসক তানজিনা হোসেন এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও চিকিৎসক সৌমিত্র চক্রবর্তী। এই পর্বটি সঞ্চালনা করেন বিজ্ঞানচিন্তার একাডেমিক দলের সদস্য শিবলী বিন সারওয়ার। আর পুরো অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন রুকাইয়া জহির।

এরপর বেলা ১টায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঢাকা আঞ্চলিক উৎসব। এই পর্ব সঞ্চালনা করেন শিবলী বিন সারওয়ার ও বিজ্ঞানচিন্তার সহসম্পাদক উচ্ছ্বাস তৌসিফ। এ সময় প্রশ্নোত্তর পর্বের অতিথিদের সঙ্গে যোগ দেন বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, ভেন্যু প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারজানা শাকিল এবং বিকাশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। এ পর্বে নিম্নমাধ্যমিক কুইজে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ১৭ জনকে, মাধ্যমিকে ১৫ এবং ১৭টি বিজ্ঞান প্রজেক্টে মোট ৪১ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই বিজয়ী শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান উৎসবের জাতীয় পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।

বেলা ১টায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঢাকা আঞ্চলিক উৎসব

ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট বিভাগে অনুষ্ঠিত হবে বিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব। সবশেষে জাতীয় পর্বের মাধ্যমে শেষ হবে এ আয়োজন।

কুইজ শেষে বেলা ১১টায় মূল মঞ্চে শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল চমকপ্রদ সব আয়োজন। এ সময় বিজ্ঞান ম্যাজিক দেখান জাদুশিল্পী রাজীব বসাক। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব।

উৎসবে ষষ্ঠ-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে একটি ক্যাটাগরি ও কুইজ প্রতিযোগিতায় দুটি ক্যাটাগরি রয়েছে। কুইজে নিম্নমাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে অংশ নিচ্ছে ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, আর মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে অংশ নিচ্ছে নবম-দশম শ্রেণি ও চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। শুধু নিবন্ধনকারী শিক্ষার্থীরাই এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।

এবারের ঢাকা আঞ্চলিক বিজ্ঞান উৎসবের হেলথকেয়ার পার্টনার হিসেবে সার্বক্ষণিক প্রতিযোগী ও অভিভাবকদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্ন্যাকস পার্টনার ড্যান ফুডস লিমিটেড এবং সহযোগিতায় ছিল বন্ধুসভা।

বিজ্ঞান উৎসবের যেকোনো খবর জানতে চোখ রাখুন bigganchinta.com-এ, বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব ও বিজ্ঞানচিন্তার ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে, প্রথম আলোয় এবং বিজ্ঞানচিন্তার প্রিন্ট সংস্করণে।

 লেখক: সাংবাদিক