বাংলাদেশি প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক এহসান হক ২০২৫ সালের লেটেন পুরস্কারে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন। চলতি বছর ১৫৮ জন গবেষক এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেখান থেকে সেরা পাঁচের তালিকায় মনোনীত হয়েছেন তিনি, পেয়েছেন রানার্স আপের সম্মাননা। স্বাস্থ্য সমস্যা শনাক্ত করা ও সহজে চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসামান্য ব্যবহারের জন্য তাঁকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বিশেষ করে যে সব মানুষ সহজে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন না, তাঁদের জন্য তাঁর গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার।
প্রতি দুই বছর পর পর স্বাস্থ্য, উন্নয়ন এবং পরিবেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কর্মরত তরুণ গবেষকদের লেটেন পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বছর এই প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক ড্যানিয়েল উড। খরা, বন উজাড় কিংবা খাদ্য সংকটের মতো বৈশ্বিক উন্নয়ন সমস্যা সমাধানে মহাকাশ প্রযুক্তি কীভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, তা নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি অভিনব উপায়ে মহাকাশ থেকে পাওয়া তথ্য কাজে লাগিয়েছেন।
স্বাস্থ্য সমতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিজের উদ্ভাবনী ও বাস্তবধর্মী কাজের জন্য এহসান হক ‘লেটেন প্রাইজ রানার্স-আপ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন। তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো পারকিনসন্স অ্যানালাইসিস উইথ রিমোট কাইনেটিক টাস্কস বা সংক্ষেপে পার্ক (PARK)। এটি একটি ওয়েবভিত্তিক টুল, সহজে মস্তিষ্কের মোটর স্নায়ু পরিচালিত বিভিন্ন কাজের ভিডিও বিশ্লেষণ করে পারকিনসন্স রোগের লক্ষণ শনাক্ত করতে সাহায্য করে। ফলে ক্লিনিকে না গিয়েও দূর থেকে মানুষকে স্ক্রিনিং করা সম্ভব হয়। অর্থাৎ রোগটি শনাক্ত করা যায়।
তাঁর কাজের মূল উদ্দেশ্য, এআই প্রযুক্তির সাহায্যে আরও বেশি মানুষকে প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করা এবং চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা।