গ্যাগারিনের মহাকাশ যাত্রা উপলক্ষ্যে আয়োজিত হল সায়েন্স অ্যান্ড আর্টফেস্ট

শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত হলো গ্যাগারিন সায়েন্স অ্যান্ড আর্টফেস্ট। ৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার রাজধানীর এলিফেন্ট রোডে অবস্থিত এডিডিএল জিয়ান ম্যানশনে উদ্‌যাপিত হয় এ অনুষ্ঠান। রুশ নভোচারী ইউরি গ্যাগারিনের মহাকাশ ভ্রমণের ৬৩তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় অবস্থিত রাশিয়ান হাউসের পরিচালক পাভেল ডভয়চেনকভ, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক জিকরুল আহসান, বাংলাদেশ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের জ্যেষ্ঠ কিউরেটর সুকল্যাণ বাছাড়, বাংলাদেশ শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের পরিচালক নাইমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসেসিয়েশন পরিচালিত গ্যাগারিন সায়েন্স অ্যান্ড আর্টফেস্টের পরিচালক মশহুরুল আমিন ও বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ সম্পাদক জালাল আহমেদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ১ম-১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থের জন্য আয়োজিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী সবাই এ জন্য আগেই নিবন্ধন করেছিল। প্রতিযোগিতা শেষে সবাইকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতা শেষে মুভি দেখার আয়োজন ছিল সবার জন্য।

এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এ সময় পাভেল ডভয়চেনকভ বলেন, ‘১৯৬১ সালে প্রথম মানুষ হিসেবে পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করেন ইউরি গ্যাগারিন। আজ যে বিভিন্ন দেশের শত শত নভোচারী মহাকাশে যাচ্ছেন, তার শুরু হয়েছিল গ্যাগারিনের হাত ধরে।’

জালাল আহমেদ বলেন, ‘ইউরি গ্যাগারিনের মহাকাশ ভ্রমণের ৬৩তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শিশুদের ছবি আঁকার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কীভাবে নভোচারীরা চাঁদে যান, তা মুভির মাধ্যমে দেখিয়ে তাদের উৎসাহিত করতে চাই।’

দেশে জ্যোতির্বিজ্ঞানচর্চাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করছে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিকাল অ্যাসেসিয়েশন। তারই ধারাবাহিকতায় শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত হয় এ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসেসিয়েশন। সহযোগিতা করেছে ঢাকা রাশিয়ান হাউস।