খুদে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ওপেন ডে প্রোগ্রাম। ৩১ ডিসেম্বর, রোববার ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের কার্যালয়ে এ প্রোগ্রাম আয়োজিত হয়। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলশিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়।
প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা নিজের হাতে রোবট চালানোর পাশাপাশি ল্যাবের যন্ত্রপাতি মাপজোখ করা শেখে। সুযোগ পায় মাইক্রোস্কোপ নিয়ে কাজ করার। প্রথমবার নিজের হাতে রোবট চালিয়ে শিক্ষার্থীরা ছিল উচ্ছ্বসিত।
অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী তারান্নুম সুলতানা জানায়, ‘একটা রোবটকেও যে নিজের মতো করে পরিচালনা করা যায়, এটা আমার জানা ছিল না। আমি বড় হয়ে রোবট নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই।’
এ প্রোগ্রামে ম্যাসল্যাব পরিচালিত ‘খেলতে খেলতে বিজ্ঞান’ কর্মশালা সম্পর্কে জানানোর পাশাপাশি বিজ্ঞানের কিছু মজার এক্সপেরিমেন্ট দেখানো হয়। মূলত শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক বিজ্ঞান শেখাতেই এই আয়োজন। তাদের ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে হাতে-কলমে বেশ কিছু এক্সপেরিমেন্টও করানো হয়।
প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড, জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড, চিলড্রেন সায়েন্স কংগ্রেস ও ম্যাথ অলিম্পিয়াড সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়েও ধারণা দেওয়া হয়।
এ ধরনের ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠ্যক্রমের বাইরের একটা জগতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান উপস্থিত একজন অভিভাবক।
আয়োজনের শেষ ভাগে ছিল চিলড্রেন রিসার্চ ফান্ড প্রোগ্রাম নিয়ে বিশেষ সেশন। দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে এ বছর থেকে শুরু হয়েছে এই প্রোগ্রাম। এই ফান্ডের মাধ্যমে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নিজস্ব গবেষণা প্রকল্পে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাবে। কীভাবে এ ফান্ডের জন্য আবেদন ও গবেষণা প্রস্তাব জমা দেওয়া যাবে, সেসব নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয় অনুষ্ঠানে। ফান্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ ও ভাতা পাবে।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উপহার দেওয়ার পাশাপাশি রোবটের সঙ্গে সমন্বিত নাচের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ২০২৩ সালে বিডিওএসএন-এর সর্বশেষ এ আয়োজন, ওপেন ডে প্রোগ্রাম।
এ প্রোগ্রাম যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি এবং মাকসুদুল আলম বিজ্ঞানাগার। ভবিষ্যতে আরও বড় করে এ প্রোগ্রাম আয়োজনের কথাও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।