বিজ্ঞানচিন্তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সম্মাননা পেলেন সেরা পাঁচ স্বেচ্ছাসেবী। ১৫ অক্টোবর, রোববার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ ছাড়াও বিজ্ঞানচিন্তার সব স্বেচ্ছাসেবীর জন্য ছিল বিশেষ পুরস্কার। এর মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ জানায় বিজ্ঞানচিন্তা।
সেরা পাঁচ স্বেচ্ছাসেবী হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী মহুয়া খান সুস্মিতা, কবি নজরুল সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী বেলায়েত হোসাইন, ঢাকা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আসহাবিল ইয়ামিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সিরাজাম মনিরা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহমিদা আফরিন।
‘অন্যান্য দিনের মতো গতকালও বিজ্ঞানচিন্তায় কাজ করতে এসেছিলাম। সেরা সেচ্ছাসেবী মনোনীত হব, ভাবিনি। পুরস্কার পেয়ে ভালো লাগছে। কাজের আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিল বিজ্ঞানচিন্তা।’
‘আমার কাছে বিজ্ঞানচিন্তা শুধু ম্যাগাজিন নয়, একটা আবেগ। এখানে এসে, বিজ্ঞান নিয়ে কাজকর্ম, আলোচনা—এসবে আমি শান্তি পাই।’
গত ১৫ অক্টোবর, রোববার ৭ পেরিয়ে আটে পা রাখল বিজ্ঞানচিন্তা। ওইদিন পাঠকদের সঙ্গে নিয়ে উদযাপিত হয় বিজ্ঞানচিন্তার ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞানচিন্তার পাঠক, লেখক, বিশেষ অতিথি, বিজ্ঞাপনদাতা, স্বেচ্ছাসেবী, কর্মীসহ আরও অনেকে।
বিজ্ঞানচিন্তা শুধুই একটি ম্যাগাজিন নয়। লেখা প্রকাশের পাশাপাশি এটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে বিজ্ঞান শেখাতে ও বিজ্ঞানে উৎসাহী করে তুলতে আয়োজন করে বিজ্ঞান উৎসব, বিজ্ঞান বক্তৃতা, বিজ্ঞান মেলাসহ আরও অনেক কিছু। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের নানা বিজ্ঞানায়োজনের সঙ্গেও থাকে বিজ্ঞানচিন্তা। এসব আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন স্বেচ্ছাসেবীরা। তাঁদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এ জন্য বিজ্ঞানচিন্তার জন্মদিনে সেরা পাঁচ স্বেচ্ছাসেবীকে পুরস্কৃত করা হয়।
জন্মদিনে অনেক পাঠক ও আগ্রহীরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই শিগগিরই বিজ্ঞানচিন্তার জন্য নতুন স্বেচ্ছাসেবী নেওয়া হবে। লেখালেখির পাশাপাশি বিজ্ঞানচিন্তার বিভিন্ন আয়োজনে কাজ করবেন তাঁরা। কীভাবে স্বেচ্ছাসেবী হওয়া যাবে, তা জানতে চোখ রাখতে হবে বিজ্ঞানচিন্তার ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে।