ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে অ্যাস্ট্রোফিজিকস সেন্টার উদ্বোধন

আয়োজনে আগত অতিথিদের একাংশছবি: সংগৃহীত

অ্যাস্ট্রোফিজিকস সেন্টার উদ্বোধন করা হলো ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। গত ২৮ নভেম্বর সাভারের আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই সেন্টার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম লুত্ফর রহমান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও অধ্যাপকরা উপস্থিত ছিলেন। এই অ্যাস্ট্রোফিজিকস সেন্টারটি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির এমসিটি (মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি) বিভাগের তত্ত্বাবধানে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই অ্যাস্ট্রোফিজিকস সেন্টার চালু করার পেছনে অধ্যাপক আরিফ আহমেদের ভূমিকা অপরিসীম। তাঁর ভাবনা থেকেই এই সেন্টার চালু করার উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অ্যাস্ট্রোফিজিকস সেন্টারের গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন তিনি।

আয়োজনে আগত অতিথিদের একাংশ
ছবি: সংগৃহীত
আয়োজনে আগত অতিথিদের একাংশ
ছবি: সংগৃহীত

ইতিমধ্যে সেখানে একটি শক্তিশালী টেলিস্কোপ বসানো হয়েছে। টেলিস্কোপটি আনা হয়েছে ভারতের দিল্লি থেকে। এর সাহায্যে শিক্ষার্থীরা রাতের আকাশে নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ এবং গ্যালাক্সি দেখার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ ধরনের উদ্যোগ এমনিতেই খুব বেশি নয়। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি সাভারের আশুলিয়ায় অবস্থিত হওয়ায় সেখান আলোক দূষণ অনেক কম। সব মিলে এটি তাই শিক্ষার্থী ও আকাশ পর্যবেক্ষণে আগ্রহীদের জন্য সহায়ক হবে বলে জানায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়।

অ্যাস্ট্রোফিজিকস সেন্টার উদ্বোধনের পাশাপাশি দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং বা এমওইউ, অর্থাৎ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এ অনুষ্ঠানে। এর একটি হলো মহাবৃত্ত। বিজ্ঞানবক্তা আসিফ এই ত্রৈমাসিক পত্রিকাটির সম্পাদক। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ডিসকাশন প্রজেক্ট-এর সহযোগী প্রকাশনা এটি। অন্যটি মিকবি সায়েন্টিফিক (MicB Scientific)। টেলিস্কোপসহ বৈজ্ঞানিক নানা ধরনের যন্ত্র বিক্রি করে এই প্রতিষ্ঠানটি।