৫৩তম আন্তর্জাতিক ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে দুটি ব্রোঞ্জপদক ও দুটি সম্মানজনক স্বীকৃতি (অনারেবল মেনশন) পেয়েছে বাংলাদেশ।
ব্রোঞ্জপদকজয়ী দুজন হলেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের গোলাম ইশতিয়াক এবং নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজ রাজশাহীর মোহাম্মদ ফাহিম আবরার। আর নটর ডেম কলেজের মেশকাত বিন আলম এবং আহমেদ সাদ সাবিত সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছেন।
গোলাম ইশতিয়াক পেয়েছেন মোট ২৪.০। তাত্ত্বিক পরীক্ষায় পেয়েছেন ১৭.৬ আর এক্সপেরিমেন্টাল বা ব্যবহারিক পরীক্ষায় পেয়েছেন ৬.৪। সব মিলিয়ে তিনি মাত্র ১ নম্বরের জন্য রৌপ্যপদক বঞ্চিত হয়েছেন (রৌপ্যপদকের কাট অফ নম্বর, অর্থাৎ ন্যূনতম নম্বর ছিল ২৫.২)। আরেক ব্রোঞ্জজয়ী ফাহিম আবরার পেয়েছেন ২১.২ (তাত্ত্বিক পরীক্ষায় ১৭.৬ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় ৩.৬)। সম্মানজনক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দুজন—মেশকাত বিন আলম পেয়েছেন ১৬.৩ (তাত্ত্বিক পরীক্ষায় ১৩.৬ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় ২.৭) এবং আহমেদ সাদ সাবিত পেয়েছেন ১৬.২ (তাত্ত্বিক পরীক্ষায় ১১.৩ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় ৪.৯)।
এবারের বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফিজিক্স অলিম্পিয়াড গঠিত হয়েছে এ চার সদস্যকে নিয়েই। পঞ্চম প্রতিযোগী হিসেবে জাতীয় দলের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন খুলনা জিলা স্কুলের মোহাম্মদ আব্দুল ফাত্তাহ। বাংলাদেশ দলের জাপান যাত্রার দিন তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। ফলে দলে একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়। কারণ, মোহাম্মদ আব্দুল ফাত্তাহ গত বছরের আন্তর্জাতিক ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছিলেন।
এ দলের সঙ্গে কোচ হিসাবে রয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আরশাদ মোমেন এবং টিম লিডার হিসাবে রয়েছেন ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ জাহাঙ্গীর মাসুদ। এ ছাড়া পর্যবেক্ষক হিসেবে আছেন বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের নির্বাহী সদস্য সাঈদ মোহাম্মদ নুরুল কবির।
১৩তম ডাচ্-বাংলা ব্যাংক–প্রথম আলো ফিজিক্স অলিম্পিয়াড আয়োজন করে বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড কমিটি। আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। ব্যবস্থাপনায় ছিল দৈনিক প্রথম আলো। ম্যাগাজিন পার্টনার হিসাবে ছিল কিশোর আলো ও বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তা। টেকনিক্যাল পার্টনার হিসাবে ছিল বিডিকম।
দেশের শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞানে দক্ষ করে তুলতে ২০১১ সাল থেকেই আয়োজিত হচ্ছে বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড। ফিজিক্স অলিম্পিয়াড সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে bdpho.org ওয়েবসাইটে।