আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের হয়ে দাবা অলিম্পিয়াডের ৪৫তম বিশ্ব আসরে খেলতে যাবেন রানী হামিদ। তিনি বাংলাদেশের দাবার রানি নামে পরিচিত। এবারের অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে। এ আসরে বাংলাদেশের ৫ সদস্যের দলে থাকবেন এই ৮১ বছর বয়সী নারী। বাকি চারজন হলেন নওশীন আঞ্জুম, ওয়াদিফা আহমেদ, নুসরাত জাহান ও ওয়ালিজা আহমেদ।
তবে এ বারের টিকিট পাওয়া তাঁর জন্য সহজ ছিল না। নিয়মানুসারে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা দাবার শীর্ষ ৫ দাবাড়ু অলিম্পিয়াডের টিকিট পান। রানী হামিদও পঞ্চম হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে আরও দুইজন পঞ্চম হন। তখন পঞ্চম স্থানে থাকা তিন দাবাড়ুর মধ্যে আবার প্লে-অফ খেলা হয়। সেখানে ৬ষ্ঠ হন রানী হামিদ। তাই বুদাপেস্টে যাওয়ার রাস্তা বন্ধই হয়ে গিয়েছিল তাঁর জন্য।
কিন্তু অনাকাঙ্খিত এক ঘটনায় তিনি আবার অলিম্পিয়াডে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা দাবাড়ুদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফিদে মাস্টার শারমীন সুলতানা পারিবারিক কারণে অলিম্পিয়াডে যেতে পারছেন না। কারণ, তাঁর সন্তানের বয়স ১ বছরের চেয়ে কম। ফলে তাঁর জায়গায় সুযোগ পাচ্ছেন ষষ্ঠ স্থানে থাকা রানী।
তবে তাঁর এই বিশ্ব অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা দারুণ। ১৯৮৪ সালে তিনি প্রথম বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এরপর ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা ১৯ আসরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন দেশের। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ৮১ বছর বয়সে তিনি ২০তম অলিম্পিয়াড খেলতে যাচ্ছেন।
রানী হামিদের জন্ম ১৯৪৪ সালে সিলেটে। তাঁর পুরো নাম সৈয়দা জসিমুন্নেসা খাতুন। ডাক নাম রানী। বিয়ের পর স্বামীর নাম যুক্ত করে হয়েছেন রানী হামিদ। ক্রীড়াজগতে তিনি রানী নামেই পরিচিত। ১৯৮৫ সালে তিনি ফিদে আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার খেতাব পান। এরপর ৩ বার ব্রিটিশ মহিলা দাবা প্রতিযোগিতায় হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন। ২০১৫ সালে কমনওয়েলথ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন।
সূত্র: প্রথম আলো