বাংলাদেশ জুনিয়ার অলিম্পিয়াড শুরু

শুরু হলো আল আরফাহ ইসলামী ব্যাংক ৭ম বাংলাদেশ জুনিয়র অলিম্পিয়াড।

বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় অনলাইনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অলিম্পিয়াডের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। উদবোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আন্তর্তাজিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী। উদ্বোধনী ঘোষণা করেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয় করণ সমিতির সভাপতি মুনির হাসান। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফ্রিডম ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী, মাসিক বিজ্ঞানভচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, আল আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা জালাল আহমেদ ।

বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, 'আজকের আয়োজনটি দুটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে এই প্যান্ডামিকের সময় আমরা বিজ্ঞানভিত্তিক এরকম একটি বিশাল আয়োজন করতে পারছি। এটা মানুষকে বিজ্ঞানমনষ্ক হতে সহযোগিতা করবে। আরেকটি হচ্ছে, আমরা এতগুলো অলিম্পিয়াডের পরীক্ষা অনলাইনে নিতে পারছি। আমরা সব অলিম্পিয়াড কমিটি মিলে একটি প্লান করে প্রস্তাব করতে পারি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার জন্য। সামনে শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের যে চ্যালেঞ্জ আছে, এইসব অলিম্পিয়াডের অভিজ্ঞতা নিয়ে টেকনোলজি ব্যবহার করে আমরা সামনের চ্যালেঞ্জগুলো উৎরাতে পারব।'

আল আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা জালাল আহমেদ বলেন, '২০১৭ সাল থেকে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এই অলিম্পিয়াডের সাথে যুক্ত। ভবিষ্যতেও আমরা এই মহৎ আয়োজনের সাথে যুক্ত থাকব।'

আন্তর্তাজিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী বলেন, 'এ বছর আইজেএসও একটি হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বাংলাদেশ যে ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগোচ্ছিল সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।'

বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'আগে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ শিক্ষার্থী শহরাঞ্চলের হলেও অনলাইনে প্রোগ্রাম আয়োজনের ফলে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে পারছি। এছাড়া নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সংখ্যা অনলাইনের কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা আরেকটি ইতিবাচক দিক ।'

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অলিম্পিয়াডের উদবোধন ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহ-সভাপতি মুনির হাসান। তিনি বলেন, 'প্যান্ডামিকের সময় আন্তর্জাতিক সব অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ থেকে পরীক্ষা আয়োজন করতে পারছি। আইজেএসও ভালভাবে আয়োজন করতে পারব। পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা দেশে আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের মূল আয়োজন করতে পারি সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছি।'

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

উদ্বোধনের পর ৬ আগস্ট অনলাইন আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছে।

অনলাইন আঞ্চলিক পর্বে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি ও বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন এই অলিম্পিয়াড আয়োজন করছে। অলিম্পিয়াডের টাইটেল স্পন্সর আল আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। এছাড়া সহযোগী হিসেবে আছে প্রথম আলো, নলেজ পার্টনার ম্যাসল্যাব, রেডিও পার্টনার ঢাকা এফএম 90.4, ম্যাগাজিন পার্টনার মাসিক বিজ্ঞানচিন্তা।

অলিম্পিয়াডের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে: www.bdjso.org এই ওয়েবসাইটে। যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে [email protected] এই ইমেইলে।