জগদীশচন্দ্র বসুর নামে চালু হলো পুরস্কার

বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর নামে চালু হচ্ছে পুরস্কার। পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে আইইই জগদীশচন্দ্র বোস মেডেল। বিশ্বব্যাপী ওয়্যারলেস যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অবদান রাখার জন্য ২০২৫ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। এ পুরস্কার দেওয়ার জন্য সম্প্রতি ১০ লাখ মার্কিন ডলার দান করেছেন আরেক বাঙালি বিজ্ঞানী মণি ভৌমিক। 

একজন বিজ্ঞানী বা তিনজন বিজ্ঞানী দলকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ব্রোঞ্জ মেডেল, সার্টিফিকেট ও অর্থ। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানকে আরও উৎসাহিত করতে এবং সামনের দিকে এগিয়ে নিতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। পুরস্কার দেওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্স সংগঠনের পক্ষ থেকে। এটি তড়িৎ প্রকৌশলীদের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। ১৬০ দেশের প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার প্রকৌশলী এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। 

জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন বাঙালি পদার্থবিদ ও জীববিজ্ঞানী। পাশাপাশি লিখেছেন বিজ্ঞান কল্পগল্পও। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের সূচনা হয়েছে তাঁর হাত ধরে। রেডিও বিজ্ঞানের অন্যতম জনক তিনি। ১৮৯৫ সালে অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি করে কোনো তার ছাড়াই তা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণ করেছিলেন। এ ধরনের তরঙ্গকে বলা হয় মাইক্রোওয়েভ। আধুনিক রাডার, টেলিভিশন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই তরঙ্গের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়া গাছের যে অনুভূতি আছে এবং একটি নির্দিষ্ট জীবনচক্র আছে, তা জগদীশচন্দ্র বসুই প্রথম প্রমাণ করেন। 

এদিকে মণি ভৌমিক বাঙালি বিজ্ঞানী। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে। তিনি লেজার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এ প্রযুক্তি চোখের চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জগদীশচন্দ্র বসুর নামে উদ্ভাবিত পুরস্কারের জন্য ১০ লাখ ডলার দিয়েছেন। যা বাংলাদেশে প্রায় ১১ কোটি টাকার সমমূল্যের। 

এ ব্যাপারে মণি ভৌমিক জানিয়েছেন, ‘আমার শিক্ষক সত্যেন্দ্রনাথ বোসের কাছ থেকে আমি যে জ্ঞান পেয়েছি সেটারই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। সত্যেন্দ্রনাথ বসু ছিলেন আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর ছাত্র।’ 

লেখক: সদস্য, সম্পাদনা দল, বিজ্ঞানচিন্তা

সূত্র: কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড ডট আইইই ডট অর্গ, হিন্দুস্থান টাইমস ডট কম