ডাকটিকিটে জগদীশ বসু

জগদীশচন্দ্র বসুর জন্ম বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জে। তিনি ছিলেন একাধারে পদার্থবিদ, জীববিজ্ঞানী, উদ্ভিদবিদ, প্রত্মতাত্ত্বিক। তিনি রেডিও বিজ্ঞানের অন্যতম জনক। উদ্ভিদ নিয়ে করেছেন বিস্তর গবেষণা। বাংলা ভাষায় লিখেছেন প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনি পলাতক তুফান। আজ ৩০ নভেম্বর জগদীশচন্দ্র বসুর জন্মদিনে এই লেখাটি পুনরায় প্রকাশিত হলো।

২০১৬ সালে ভারত থেকে প্রকাশিত একটি স্পেশাল কভার ও সিলমোহর

স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ৩০ নভেম্বর ১৮৫৮ সালে ঢাকার মুন্সিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে পদার্থবিদ, জীববিজ্ঞানী, উদ্ভিদবিদ, প্রত্মতাত্ত্বিক ছিলেন। বাংলা ভাষায় প্রথম সায়েন্স ফিকশন তিনি লিখেছেন। তিনি রেডিও মাইক্রোওয়েভ অপটিকস নিয়ে গবেষণা করেছেন। আইইই তাঁকে রেডিও বিজ্ঞানে অন্যতম জনক হিসেবে বিবেচিত করেছে। চাঁদে তাঁর নামে একটি গর্তের নাম রাখা হয়েছে। তিনি ক্রিসোগ্রাফ আবিষ্কারের জন্য তিনি বিশ্বখ্যাত হয়েছিলেন, যার মাধ্যমে গাছের জীবন ও অনুভূতি বোঝা যায়। জগদীশচন্দ্র বসুকে তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯১৭ সালে নাইট উপাধি দেওয়া হয়। ১৯৩৭ সালের ২৩ নভেম্বর ৭৮ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৫৮ সালে স্যার জগদীশচন্দ্র বসু জন্মশতবার্ষিকীতে ভারত, ১৫ এনপির একটি ডাকটিকিট উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করে। নীল রঙের ডাকটিকিটে স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর একটি প্রতিকৃতি আছে। উদ্বোধনী খামের বাঁ পাশে ক্যাশেতে মাইক্রোওয়েভ যন্ত্রের একটি কালো রঙের চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। সিলমোহরে ‘জগদীশচন্দ্র বসু, জন্মশতবার্ষিকী’ ইংরেজিতে লেখা।

১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত একটি স্মারক ডাকটিকিট
১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত একটি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম, সীলমোহর ও ডেটা কার্ড
২০১৬ সালে ভারত থেকে প্রকাশিত একটি স্পেশাল কভার ও সিলমোহর
১৯৫৮ সালে ভারত থেকে প্রকাশিত একটি ডাকটিকিট
১৯৫৮ সালে স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর জন্মশতবার্ষিকীতে ভারত, ১৫ এনপির একটি ডাকটিকিট উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর প্রকাশ করে। উদ্বোধনী খামের বাঁ পাশে ক্যাশেতে মাইক্রোওয়েভ যন্ত্রের একটি কালো রঙের চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। সিলমোহরে ‘জগদীশচন্দ্র বসু, জন্মশতবার্ষিকী’ ইংরেজিতে লেখা।

১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ থেকে একটি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম, সিলমোহর ও ডেটা কার্ড প্রকাশ করে। ডাকটিকিটে জগদীশচন্দ্র বসুর বহু রঙের একটি প্রতিকৃতি ব্যবহার করা হয়েছে। উদ্বোধনী খামের বাঁ পাশের ক্যাশেতে জগদীশচন্দ্র বসু এবং তাঁর আবিষ্কৃত একটি যন্ত্রের বহু রঙের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। সিলমোহরে জগদীশচন্দ্র বসুর প্রতিকৃতি ব্যবহার করা হয়েছে।

২০১৬ সালে ভারত থেকে একটি স্পেশাল কভার ও সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। স্পেশাল কভারের বাঁ পাশের ক্যাশেতে জগদীশচন্দ্র বসুর বিভিন্ন প্রতিকৃতি, তাঁর আবিষ্কৃত যন্ত্র ও গবেষণাগারের ছবির সঙ্গে ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত ডাকটিকিট ব্যবহার করা হয়েছে। খামটির ঠিক মাঝখানে নিচের দিকে একটি যন্ত্রের রঙিন ছবি ব্যবহার করা হয়। সিলমোহরে জগদীশচন্দ্র বসুর প্রতিকৃতি ব্যবহার করা হয়েছে। পুরো খামজুড়ে যন্ত্রাংশের জলছবি ব্যবহার করা হয়েছে।

লেখক: অনুবাদক, সাধারণ সম্পাদক, ফিলাটেলিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিএসবি)

*লেখাটি বিজ্ঞানচিন্তার নভেম্বর ২০২০ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়।