ফটোফিচার
আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার
মহাসাগরে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা ঘটনা। তার সবগুলো আমরা জানতে পারি না। তবে মাঝে মধ্যে বিজ্ঞানী ও ফটোগ্রাফারদের কল্যাণে সেসব ঘটনার কিছুটা জানা যায়। ‘আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার’ প্রতিযোগিতায় মহাসাগরের গভীরের প্রায় ৬ হাজার ৫০০ ছবি জমা পরে। সেখান থেকে সেরা বাছাইকৃত কিছু বিজ্ঞানবিষয়ক ওয়েবসাইট পপ সায়েন্স-এ প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকদের জন্য সেখান থেকে বাছাইকৃত ৭টি ছবি প্রকাশ করা হলো।
তিমির কঙ্কাল
সুইডেনের অ্যালেক্স ডসনের তোলা এ ছবিটি ২০২৪ সালে আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেয়েছে। তিনি ছবিটি তুলেছেন গ্রিনল্যান্ড থেকে। সেখানকার স্থানীয় শিকারিরা প্রায়ই তিমি শিকার করে। তিমির প্রয়োজনীয় জিনিস রেখে কঙ্কাল আবার সাগরে ভাসিয়ে দেয়। ডসন ছবিটি তুলেছেন বরফের নিচের পানিতে ডুব দিয়ে।
হাঙরের হাসি
বাহামার গ্র্যান্ড বাহামা দ্বীপ থেকে ছবিটি তুলেছেন রোডলফ গিগনার্ড। প্রায়ই তিনি সেখানে ঘুরতে যান। ২০১১ সালে দ্বীপটিকে হাঙরের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফলে সেখানে প্রায়শই এরকম হাঙরের দেখা মেলে।
বোতল ব্লেনি
এ প্রজাতির মাছগুলো স্বাভাবিকভাবেই পরিত্যক্ত বোতল বা এ জাতীয় জিনিসের মধ্যে বাস করতে পছন্দ করে। ফলে সাগরের তীরে মাঝেমধ্যেই এরকম ফেলনা বোতলের মধ্যে রঙিন মাছগুলো দেখা যায়। ছবিটি তুলেছেন ক্রিস্টি অ্যান্ড্রুস।
জলজ বানর
ছবিটি থাইল্যান্ডের ফি ফি দ্বীপ থেকে তুলেছেন সুলিমান আলাতিকি। তিনি কয়েক সপ্তাহ সে দ্বীপে থেকে এ বানরের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছেন। এরা সাধারণত কাকড়া খায়। সমুদ্রের চারপাশে বসবাসের জন্য নিজেদের খুব সুন্দরভাবে মানিয়ে নিয়েছে। এরা সাঁতারেও দক্ষ। ডুব দিয়ে প্রায় আধা মিনিট পানির নিচে থাকতে পারে।
অক্টোপাসের আক্রমণ
বালির মধ্যে একটা ছোট গর্তে ছিল অক্টোপাসটি। ছবিটি তুলেছেন এনরিকো সোমিগো। ছবি তোলার সময় অক্টোপাসটি ক্যামেরার লেন্স স্পর্শ করছিল। তাই অক্টোপাসের একটা পা ওমন ওপরের দিকে রয়েছে। অবশ্য এই দৃশ্যটি এনরিকো ক্যামেরাবন্দি করেছেন খালি চোখেই।
হঠাৎ আক্রমণ
ছবিটি তুলেছেন জন অ্যান্ডারসন। তিনি পানির নিচে ছবি তোলার জন্য ডাইভ দিয়েছিলেন। তখনই হঠাৎ এই পাখিটি তার ক্যামেরার লেন্সে ঠোকর দেয়। পাখিটি বার বার ডাইভ দিয়ে অ্যান্ডারসনকে ঠোকর দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তখনই ছবিটি তোলেন তিনি।
ট্যাংকনামা
ছবিটি জর্ডান থেকে তুলেছেন মার্টিন ব্রোয়েন। প্রথম আকাবা আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় মার্টিনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই আমন্ত্রণে গিয়ে মার্টিন পানির ১৫ থেকে ২৮ মিটার গভীরতায় এই ট্যাংক দুটির ছবি তোলেন।