পাখির চোখে পৃথিবী

ওপর থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন? এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো সবচেয়ে ভালো দিতে পারে পাখি। কিন্তু পাখির কথা তো আর আমরা বুঝতে পারব না। তাই ড্রোন ক্যামেরাই ভরসা। ‘সিয়েনা ড্রোন ফটো অ্যাওয়ার্ড’ নামে প্রতিবছর একটা প্রতিযোগিতা হয়। ২০২৪ সালে এ প্রতিযোগিতার কিছু ছবি নিয়েই এ আয়োজন। ছবিগুলো বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা ফটোগ্রাফাররা তাঁদের ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে তুলেছেন। ৯টি ক্যাটাগরি থেকে সেরা ছবিগুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বাছাইকৃত কিছু ছবি বিজ্ঞানচিন্তার পাঠকদের জন্য প্রকাশিত হলো।

১ / ১০

সবুজের ক্যানভাসে

আইসল্যান্ডের উচ্চভূমির নির্জনতা কেড়ে নিয়েছে প্রকৃতির এক অদ্ভুত ক্যানভাস। নদী, পাহাড়ের খাঁজ ও গাছপালা মিলে এক দারুণ নকশা তৈরি হয়েছে। ড্রাইল্যান্ডস বা শুষ্কভূমির মাঝে এই আশ্চর্য সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন ইতালির আলোকচিত্রী ইসাবেলা তাবাচ্চির।

২ / ১০

সাদা-কালো

আইসল্যান্ডের সৈকত ঢাকা পড়েছে কালো বালুর চাদরে। কালো বালু আর সাগরের পানির সাদা ফেনার মিশেলে এক অসাধারণ দৃশ্য তৈরি হয়েছে। ছবিটি তুলেছেন ইগনাসিও মেডেমে।

৩ / ১০

মহিষ যখন শিল্পী!

ভারতের ফটোগ্রাফার রাজ মোহন মরুভূমির এই ছবি তুলেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দুজন রাখাল বান্নি মহিষের পাল নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া তারের মতো যে দাগগুলো দেখা যাচ্ছে, তা মহিষের চলার পথ। বিশ্বের বৃহত্তম এই লবণাক্ত মরুভূমি ভারতের গুজরাটে অবস্থিত। এখানকার বৈরি আবহাওয়ায়ও বান্নি মহিষগুলো টিকে থাকতে পারে।

৪ / ১০

লাভার ড্রাগন

ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে, আগ্নেয়গিরি থেকে উঠে এসেছে লাভার ড্রাগন। আসলে এটি লাভার ছবিই। ২০২৩ সালে ফাগ্রাদালফাল আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় প্রকৃতি নিজেই এ অদ্ভুত শিল্পকর্ম তৈরি করেছে। আর তা ক্যামেরাবন্দি করে আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন জেরোয়েন ভ্যান নিউয়েনহোভ।

৫ / ১০

মেঘের ওপর বাড়ি

ছবিতে ইউরোপের সর্বোচ্চ আকাশচুম্বী ভবন লাক্তা সেন্টার দেখা যাচ্ছে। যেন মেঘের বুক ফুঁড়ে বিল্ডিংটি উঠে গেছে। ছবিটি তুলেছেন ইউরি স্টোলিপিন। টানা এক মাসের বেশি সময়ের চেষ্টায় তিনি ছবিটি তুলতে পেরেছেন। বৈরী আবহাওয়া ও তীব্র বাতাসের কারণে কয়েকবার ছবি তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু তবু চেষ্টা অব্যাহত রেখে ছবিটি তুলেছেন তিনি। ভবনটি রাশিয়ায় অবস্থিত।

৬ / ১০

চীনের ড্রাগন

আট লেনের লম্বা ব্রিজ। দেখতে রাস্তার মতো। যেন মরুভূমির ওপর দিয়ে চলে গেছে রাস্তা। কিন্তু আসলে এটা চীনের কিয়ান্তাং নদীর ওপর নির্মিত একটা ব্রিজের ছবি। রূপকথার ড্রাগনের মতো যে হাত পা দেখা যাচ্ছে, তা নদী শুকিয়ে পলি পড়ার কারণে হয়েছে। এই সেতুর নাম জিয়াশাও সেতু। চীনের ফটোগ্রাফার শেং জিয়াং এই সুন্দর ছবিটি তুলেছেন।

৭ / ১০

রিভার্স

ছবিটি মেক্সিকোর সোনোরার গুয়েমাস থেকে তুলেছেন গুইলারমো সোবেরন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে কিছু সাদা পেলিকান পাখি বসে আছে এস্টেরো এল সোলদাডো জলাভূমিতে। এটি বন্যপ্রাণীদের জন্য সুরক্ষিত অঞ্চল, মানে অভয়ারন্য। এই অঞ্চলে অসংখ্য পরিযায়ী পাখির বাস। বিশেষ করে, সাদা পেলিকান। কালো পলিমাটিযুক্ত পানির ওপরে সাদা পাখিগুলো দেখতে অনন্য লাগছে। যেন কালো ক্যানভাসে সাদা কালিতে ‘রিভার্স’ বা প্রচলিত কাগজের সাদা উল্টো করে এঁকেছে কেউ।

৮ / ১০

পাখি-পাহাড়

প্রজনন মৌসুমে কুয়েতের আকাশে উড়ন্ত ফ্ল্যামিঙ্গোদের ঝাঁক। পাখিগুলো যেন একটা পাহাড় তৈরি করেছে। প্রায় ৭ দিনের চেষ্টায় এই ঝাঁকের ছবিটি তুলেছেন মোহাম্মদ আলকাত্তান।

৯ / ১০

তিমির পিঠে হাঙর

অস্ট্রেলিয়ার পার্থের উপকূলে একটা স্পার্ম হোয়েলে আটকা পড়েছে। আর তখন তিমিটির ওপরে চড়ে বসেছে একটা টাইগার শার্ক। হাঙরটি তিমিকে বিরক্ত করছে। এই ছবিটি তুলেছেন টবি নিকোল।

১০ / ১০

মানুষ-মানুষ ছবি

২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত পোলিশ বিগ পিয়াস্টো ওয়ার্ল্ডলোপেট প্রতিযোগিতার সময় ছবিটি তোলা হয়েছে। বরফের মধ্যে সারি বেঁধে স্কেটিং করছে মানুষ। পাশে দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞাপনের বেলুন। ছবিটি তুলেছেন ড্যানিয়েল কোসজেলা।

সূত্র: সায়েন্স ফোকাস

লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ