বছরজুড়ে বিজ্ঞানচিন্তায় প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানের নানা ঘটনা ও আবিষ্কারের কাহিনি। এর মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, জেমস ওয়েবের চোখে প্রাচীন মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচন কিংবা স্টেম কোষ থেকে সিন্থেটিক ভ্রূণ তৈরিসহ আরও অনেক কিছু। পদার্থবিজ্ঞান, মহাকাশ, জীববিজ্ঞান, প্রযুক্তি—এসব ক্ষেত্রের আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে সালতামামিও প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্য থেকে বিজ্ঞানচিন্তার চোখে আলোচিত ঘটনাগুলো দেখে নিন একনজরে।
বছরের শুরু, আসলে গত বছরের শেষ থেকেই মিডজার্নির জয়জয়কার। লিখে নির্দেশ দিলে এঁকে দিতে পারে ছবি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ ধরনের চিত্রকর্মের নাম এআই আর্ট। এখন শুধু মিডজার্নিই নয়, মাইক্রোসফটের ডাল-ই, এমনকি ফ্রি-পিকের মতো ওয়েবসাইটেও সহজেই তৈরি করা যাচ্ছে এআই আর্ট। ফেসবুকের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মেটা এআইও এগোচ্ছে সমান তালে। তবে এত সব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে আলাদা করে বলতে হবে দুটির কথা। এক, চ্যাটজিপিটি ও দুই, জেমিনি।
ওপেনএআই তাদের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলের নতুন ও বিবর্ধিত সংস্করণ চ্যাটজিপিটি-৪ উন্মুক্ত করেছে এ বছর। আগের সংস্করণ কেবল টেক্সট বা লেখার মাধ্যমে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারত। নতুন সংস্করণ টেক্সটের পাশাপাশি ছবিও তৈরি করে দিতে পারে। তবে, এসব সুবিধা পেতে অর্থ খরচ করতে হয়। চ্যাটজিপিটি নিয়ে আরও জানতে পড়ুন: চ্যাটজিপিটি সব জানে!
অন্যদিকে চ্যাটজিপিটি-৪ এর প্রতিদ্বন্ধী হিসেবে গুগল নিয়ে এসেছে জেমিনি। ডিসেম্বরের ৪ তারিখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই মডেলটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানায় গুগল। এটি একই সঙ্গে ছবি, টেক্সট, ভিডিও, কোড সব বুঝতে পারে, এবং নির্দেশানুযায়ী এগুলো তৈরিও করে দিতে পারে। অর্থাৎ এটি একটি বহুমুখী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা বিপ্লব তৈরি করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে।
জেমিনির কথা বিস্তারিত জানা যাবে এই লেখায়: গুগলের বহুমুখী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জেমিনি
কোয়ান্টাম কম্পিউটার আগের তুলনায় আরও বেশি ব্যবহারোপযোগী হয়েছে এ বছর। আন্তর্জাতিক বার্ষিক কোয়ান্টাম সামিটে কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএম কনডোর ও হেরোন নামে দুটি কোয়ান্টাম চিপ বা প্রসেসর উন্মুক্ত করেছে। হাজারের বেশি কিউবিট সম্পন্ন এ দুটি প্রসেসর এ পর্যন্ত সবচেয়ে কম ক্রটিযুক্ত ও উচ্চক্ষমতার কাজ করতে পারবে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
‘আইবিএম সিস্টেম টু’ নামে নতুন এক মডুলার কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করেছে তারা। আইবিএমের প্রসেসরগুলো পরীক্ষানিরীক্ষা ও উন্নয়নের কাজে সহযোগিতা করবে এটি।
এ নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পড়ুন: হাজার কিউবিটের কোয়ান্টাম চিপ তৈরি করল আইবিএম
কয়েক বছরের দীর্ঘ গবেষণা শেষে গ্রহাণু থেকে নমুনা নিয়ে ফিরেছে ওসাইরিস-রেক্স নভোযান। ২০১৬ সালে ১০০ কোটি বাজেটের এ নভোযান যাত্রা শুরু করে। দুই বছর পরে নভোযানটি গিয়ে পৌঁছায় বেনু গ্রহাণুর কাছে। আরও দুই বছর পরে, ২০২০ সালে রোবটিক আর্ম ব্যবহার করে বেনু গ্রহাণু থেকে সংগ্রহ করে নমুনা। সেই নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসতে লাগে আরও প্রায় আড়াই বছর। নমুনা নিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর পৃথিবীতে ফেরে নভোযানটি।
বেনু থেকে সংগৃহীত নমুনায় পাওয়া গেছে পানি ও কার্বন। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মতে, মোট সংগৃহীত উপাদানের ৫ শতাংশ কার্বন। পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয় কার্বন ও পানিকে। সুতরাং, এই নমুনা গবেষণা করে উন্মোচিত হতে পারে পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য। কারণ বেনু গ্রহাণুটির বয়স প্রায় ৪৫০ কোটি বছর। আনুমানিক এই সময়েই সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবী।
বেনুর নমুনা নিয়ে আরও পড়ুন: কী পাওয়া গেল বেনু গ্রহাণুর নমুনায়
সরাসরি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ হিসাবে ইতিহাস গড়েছে ভারত। ২৩ আগস্ট চন্দ্রযান-৩ নভোযানের ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদে অবতরণ করে। ল্যান্ডারের ভেতরে ছিল আরও একটা রোভার। নাম প্রজ্ঞান। রোভারটি টানা ১৪ দিন চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পাড়ি দিয়েছে প্রায় ১০০ মিটার পথ। হাজারো ছবি তুলে পাঠিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোকে।
গত ১৪ জুলাই ভারতের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে এ নভোযান উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণে ব্যবহৃত হয় এলএমভি-৩ রকেট। পরে পৃথিবীর মহাকর্ষ শক্তি কাজে লাগিয়ে টানা ৪০ দিন পর চাঁদে পৌঁছে নভোযানটি। এতে সবচেয়ে কম খরচে, মাত্র ৭৪.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে চাঁদে পৌঁছানোর রেকর্ডও করেছে ভারত।
এ মিশনে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বায়ুমণ্ডল, চাঁদের প্রকৃতি নির্ণয় ও চন্দ্রপৃষ্ঠের নিচে কী আছে, তা খুঁজে দেখেছে চন্দ্রযান-৩। এটি ছিল চাঁদের উদ্দেশে ভারতের তৃতীয় অভিযান। আগের দুটি বিফল হলেও এ যাত্রায় ঠিকই সফল হয়েছে ভারত। প্রায় একই দিনে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল রুশ নভোযান লুনা ২৫-এর। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে মনুষ্যবিহীন নভোযানটি।
ভারতের চাঁদ অভিযানের বিস্তারিত: চাঁদের ঠিকানায় ভারত
এত কম খরচে কীভাবে গেল, জানতে পড়ুন: এত কম খরচে কীভাবে চাঁদে গেল ভারত
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইসা ও কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি মিলে দুই বছর আগে মহাকাশে পাঠিয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। এই নভোদুরবিন বছরের শুরুতেই প্রায় ৪১ আলোকবর্ষ দূরের একটি এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করে—এলএইচএস ৪৭৫ বি (LHS 475 b)। নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিগুলোর সঙ্গে জেমস ওয়েবের পাঠানো ছবিগুলোর তুলনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এ গ্রহের অস্তিত্ব শনাক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়াও জেমস ওয়েব নভোদুরবিন ইতিহাসের প্রাচীনতম ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছে। প্রাচীন এই দানবীয় কৃষ্ণগহ্বরের ভর ১.৬ মিলিয়ন বা ১৬ লাখ সূর্যের সমান। বিগ ব্যাংয়ের মাত্র ৪৪০ মিলিয়ন বছর পরের শিশু গ্যালাক্সি—জিএন-জেড১১ (GN-z11)-এর কেন্দ্রে পাওয়া গেছে এই কৃষ্ণগহ্বরটি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জেমস ওয়েবের সংগৃহীত তথ্য বদলে দিতে পারে জ্যোতির্বিজ্ঞানের খোলনলচে।
এলএইচএস ৪৭৫ বি সম্পর্কে আরও জানুন: জেমস ওয়েবের প্রথম এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার
প্রাচীনতম কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে জানতে পড়ুন: জেমস ওয়েবের ক্যামেরায় ইতিহাসের প্রাচীনতম ব্ল্যাকহোল
ইউরোপের সার্ন গবেষণাগারের আলফা (অ্যান্টিহাইড্রোজেন লেজার ফিজিকস অ্যাপারেটাস) কোলাবোরেশনের বিজ্ঞানীরা এ বছর অ্যান্টিম্যাটারের পতন পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাতে দেখা গেছে, সাধারণ পদার্থের ওপর মহাকর্ষ যেভাবে কাজ করে, অ্যান্টিম্যাটারের ওপরও সেভাবেই কাজ করে। আলফা-জি (ALPHA-g) পরীক্ষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা অ্যান্টিহাইড্রোজেন (প্রতিহাইড্রোজেন) পরমাণুর মুক্ত পতন পর্যবেক্ষণ করেন। হাইড্রোজেনের এই প্রতিকণা একটি পজিট্রন (প্রতিইলেকট্রন) ও একটি অ্যান্টিপ্রোটন দিয়ে গঠিত।
গবেষকদল একটি বায়ুশূন্য লম্বা সিলিন্ডারের মধ্যে চৌম্বকীয় ফাঁদের মাধ্যমে এটি ধরে রাখেন।এরপর তা ছেড়ে দেন, যাতে সিলিন্ডারের দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে একসময় পরমাণুটি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।তাঁরা দেখতে পান, পরমাণুটি যেখানে ধ্বংস হয়েছে, সেটা তার আদি অবস্থান থেকে খানিকটা নিচে।তা ছাড়া, ধ্বংসের চিহ্ন ওপর থেকে নিচের দিকে গেছে।অ্যান্টিহাইড্রোজেনের তাপীয় গতি পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা বুঝতে পারেন, অ্যান্টিম্যাটার মহাকর্ষ সূত্র মেনে চলে।সাধারণ বস্তুর মতোই পড়ে নিচের দিকে।তবে বিজ্ঞানীদের হিসেব বলছে, সাধারণ বস্তুর চেয়ে অ্যান্টিম্যাটারের মহাকর্ষজনিত ত্বরণ প্রায় ২৫ শতাংশ কম।এ হিসেব কতটা সঠিক, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অবশ্য।কারণ, পরিসংখ্যানগতভাবেএখনও ডেটার পরিমাণ অনেক কম।তবে অ্যান্টিম্যাটার সংশ্লিষ্ট এ গবেষণার গুরুত্ব নিয়ে সন্দেহের অবকাশ সন্দেহ নেই।
পদার্থবিজ্ঞানের দুই ভিত্তি, আপেক্ষিকতা ও কোয়ান্টাম মেকানিকসের মধ্যকার দ্বন্দ বহুদিনের। কোয়ান্টাম তত্ত্ব পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার জগৎকে ব্যাখ্যা করে। অন্যদিকে আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা স্থান-কালের বক্রতা হিসেবে ব্যাখ্যা করে মহাকর্ষকে। বৃহৎ পরিসরে এ তত্ত্ব কার্যকর। সমস্যা হলো, তত্ত্ব দুটি পরস্পরকে পুরোপুরি সমর্থন করে না। ফলে প্রকৃতির অনেক কিছু আজও ব্যাখ্যা করা যায় না। দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা এ দুটি তত্ত্ব একীভূত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সফলতা আসেনি।
অনেক বিজ্ঞানীর ধারণা, তত্ত্ব দুটি একীভূত করতে হলে আইনস্টাইনের মহাকর্ষ তত্ত্বকে সংশোধন বা কোয়ান্টাইজড করতে হবে। এই চিন্তার ওপর ভিত্তি করে মহাকর্ষের কোয়ান্টাম তত্ত্ব নিয়ে দুটি অনুকল্প দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেগুলো হলো, স্ট্রিং তত্ত্ব ও লুপ কোয়ান্টাম মহাকর্ষ তত্ত্ব। কিন্তু এখনও পরীক্ষামূলক প্রমাণ না মেলায় সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি এগুলো।
নতুন এ গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন ইউসিএলের পদার্থ ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোনাথন ওপেনহাইম। তাঁদের মতে, স্থানকালের ধারণা হয়তো ভুল নয়। তাই স্থান-কাল পরিমার্জনের বদলে তাঁরা কোয়ান্টাম তত্ত্ব সংশোধনের দিকে নজর দেন। একে ‘পোস্টকোয়ান্টাম থিওরি অব ক্লাসিক্যাল গ্র্যাভিটি’ বলছেন তাঁরা।
এ গবেষণার ফলাফল এখনই প্রমাণের সুযোগ অবশ্য হয়নি। কমপক্ষে ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে সে জন্য। তবে তাঁদের এ প্রচেষ্টা সফল হলে পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর সমাধান মিলবে, সে আশা করাই যায়।
ভৌত বিজ্ঞানীরা যেমন নানা ধরনের মডেল নির্মাণ করেন, তেমনি যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (ক্যালটেক) একদল গবেষক যৌথভাবে কৃত্রিম ভ্রূণ তৈরি করেছেন। স্টেম কোষ—এমন কোষ, যা থেকে তৈরি হতে পারে একাধিক ও নানারকম কোষ; গাছের কাণ্ড থেকে যেমন শাখা প্রশাখা বেড়ে ওঠে, এটাও সেরকম—থেকে তাঁরা এই ভ্রূণ তৈরি করেছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা মিসক্যারিজ ও জন্মগত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে গবেষণা করেছেন। তাঁদের দাবি, ভবিষ্যতে এসব সমস্যা অনেকখানি কমিয়ে আনা সম্ভব এই গবেষণার ফলে। তবে এ ধরনের ভ্রূণ তৈরি অনেক দেশে নিষিদ্ধ ও অনৈতিক। এই গবেষণা ফলপ্রসু হলেও কতটা সঠিক ও নৈতিক, তা নিয়ে তাই আবারও প্রশ্ন উঠেছে।
প্রথমবারের মতো এ বছরের মার্চে একটি মাছির মস্তিষ্কের পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ১২ বছর পরিশ্রমের পর ৩ হাজার ১৬টি নিউরন ও ৫ লাখ ৪৮ হাজার স্নায়বিক সংযোগবিশিষ্ট মাছির মস্তিষ্কের এ মানচিত্র তৈরি করেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির একদল বিজ্ঞানী। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্রম বোঝার ক্ষেত্রে অগ্রগতি যেমন হয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতের অনেক গবেষণায় এ মানচিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথমবারের মতো গর্ভবতী মায়েদের জন্য নতুন একধরনের টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ (ড্রাগ) নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এফডিএ। এই টিকা গর্ভের শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, ঠান্ডা-কাশি ইত্যাদি সমস্যা রোধ করবে। গর্ভকালের ৩২ থেকে ৩৬তম সপ্তাহের মধ্যে হবু মায়েরা এই টিকা নিতে পারবেন। এখন পর্যন্ত চালানো সব গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাবরিসভো নামের এই টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে টিকাগ্রহীতা যেখানে ইঞ্জেকশন নিয়েছেন, সেখানে ব্যথা, মাথা ও পেশী ব্যথা ও বমিভাব হতে পারে। এ ছাড়া আর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে এটিকে।