বর্ষণ কীভাবে হয়

এক মাঘে যেমন শীত যায় না, তেমনি বলা যায় এক আষাঢ়েও বর্ষা যায় না। বছরের একটা বড় সময়ই আমাদের বর্ষার মোকাবিলা করতে হয়। বর্ষা কবি-সাহিত্যিকদের কাছে যেমন আবেদন তৈরি করে, উল্টো দিকে নিয়ে আসে বন্যা বা ঝড়ের মতো জনদুর্ভোগ। বর্ষার এমন বিপরীত বৈচিত্র্য, এর উল্টো দিকে বয়ে চলা বাতাসের জন্য, যার নাম মৌসুমি বায়ু। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবেই গরমের সময় ঝুম বৃষ্টি হয়, আবার শীত মৌসুমেও টুকটাক বৃষ্টি দেখা যায়। বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড বা শ্রীলঙ্কার মতো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকার দেশগুলো এই মৌসুমি জলবায়ুর মধ্যকার অঞ্চল। এই দেশগুলো ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাত, বিদ্যু্ৎ চমকানো বা ধূলিঝড়ের কবলেও পড়ে।

কীভাবে মৌসুমি বায়ু কাজ করে

জলে-স্থলে মৌসুমি বাতাস যেন যুদ্ধ করে বয়ে চলে

গ্রীষ্মকালে

সূর্যের প্রবল তাপ, সমুদ্রের পানি থেকেও মাটির কাছাকাছি থাকা বাতাসকে তাড়াতাড়ি উত্তপ্ত করে ফেলে। তাই বাতাস হালকা হয়ে ওপরে উঠে যায়। তৈরি হয় বাতাসের নিম্নচাপ।

শীতকালে

শীতের সময় স্থলভাগ ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে থাকে এবং বাতাসের চাপ আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।

আর্দ্র মৌসুমে

বাতাস দিক পরিবর্তন করে। জলাশয়ের বাতাস স্থলভাগে আসতে শুরু করে, সঙ্গে নিয়ে আসে আর্দ্রতা আর প্রবল বৃষ্টি।

শুষ্ক মৌসুমে

এবার বাতাস স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে রওনা দেয়। তাই আর বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায় না।