বব ডিলান থেকে শুরু করে আমাদের দেশের গিটারের জাদুকর আইয়ুব বাচ্চু। কালের অসংখ্য সংগীতশিল্পীর কালজয়ী গানের সঙ্গী ছিল তাঁদের গিটার। তার (String) বা তারের কারসাজিতে অনেক সুর আমাদের দিয়েছে নতুন জগৎ। এই অসাধারণ বাদ্যযন্ত্রের সুরের পেছনের বিজ্ঞানটা জেনে নেওয়া যাক।
অ্যাকোয়েস্টিক গিটারের সুর
যখন একজন গিটারিস্ট তাঁর গিটারের তারে টান দেন, তখন প্রতিটি তার আলাদা কম্পাঙ্কে কেঁপে ওঠে। ফলে গিটারের বিভিন্ন তারে বিভিন্ন মাত্রার, বিভিন্ন রকম সুর আমরা শুনতে পাই। কোন মাত্রায় কোন ধরনের সুর শোনা যাবে, তা নির্ভর করে ওই তারের দৈর্ঘ্য, পুরুত্ব, প্রসারণ ও ঘনত্বের ওপর। তারের এই কম্পন গিটারের ভেতরের অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এর বাইরের ও ভেতরের বাতাসের কম্পনের মাধ্যমে গিটারের সুর আরও জোরে শোনা যায়।
তারের পুরুত্ব ও ঘনত্ব
তার কতটা পুরু হবে, তার ওপর নির্ভর করে এর থেকে কোন কম্পাঙ্কের সুর বের হবে। সবচেয়ে সরু তার কম কম্পাঙ্কের ও কম মাত্রার সুর তৈরি করে। যেসব তার বেশি ঘন ধাতু দিয়ে বানানো হয়, সেগুলো কম মাত্রার সুর তৈরি করে।
সুর
আওয়াজ, শব্দ বা সুর—যা–ই বলি না কেন, এটা আমাদের সারা দিনের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গান, কথা কিংবা যেকোনো কোলাহলই ভেসে আসে শব্দমাধ্যমে, তরঙ্গের মতো করে। এই তরঙ্গ কঠিন, তরল বা বায়বীয় পদার্থের অণুগুলোর কম্পন থেকে তৈরি হয়।
যখন একজন গিটারিস্ট গিটারের তারে কম্পন সৃষ্টি করেন, তখন এগুলোতে কম্পন তৈরি হয়। এই কম্পন আশপাশের বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে; যা ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় তরঙ্গের মতো বহুদূর চলে যায়। তরঙ্গগুলো যখন আমাদের কানের পর্দায় আঘাত করে, তখন আমাদের কানের ভেতরের অংশে শ্রবণ অনুভূতি তৈরি করে। সেই অনুভূতিই আমাদের মস্তিষ্কে শব্দতরঙ্গ উপস্থিতির বার্তা পাঠায়। মজার ব্যাপার, প্রত্যেক মানুষের কণ্ঠস্বর আমাদের মস্তিষ্ক আলাদা তরঙ্গমাত্রার ওপর নির্ভর করে চিনতে পারে। কেননা এগুলো সামান্য পরিবর্তনেই স্বকীয় সুর সৃষ্টি করতে পারে।