কোরিয়ায় জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘরের কার্যক্রম প্রথম শুরু হয় ১৯৪৯ সালে রাজধানী সিউলে। পরে পরিসর আরও বড় করার জন্য দেজন শহরে স্থানান্তর করা হয়। কোরিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘরের আরও অন্তত চারটি আঞ্চলিক শাখা রয়েছে। এ ছাড়া কোরিয়ার বিভিন্ন স্থানজুড়ে রয়েছে বহু বিশেষায়িত বিজ্ঞান জাদুঘর, যেমন ভূতাত্ত্বিক জাদুঘর। বিজ্ঞান জাদুঘর বর্তমানে এটি প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এর মধ্যে মাত্র ৪৩ হাজার বর্গমিটার হলো ইনডোর ও বাকিটা আউটডোর।
দেজন শহরের দ্যদিয়ক-দ্যরো এলাকায় জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘর এক বিশাল উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অবস্থিত। এর একটি প্রবেশপথের সামনে আছে বিশাল এক মবিয়াস স্ট্রিপ ভাস্কর্য। কিছু দূর এগোতেই চোখে পড়ে বিরাটকায় অসম্ভব ত্রিভুজ। একটি বিশেষ অবস্থান থেকে দেখলেই কেবল দৃষ্টিভ্রম হয়। রয়েছে একটি সৌরঘড়ি, কোরিয়ার উৎক্ষেপিত রকেট ও ম্যাগলেভ ট্রেনের রেপ্লিকা। একেবারে লাইফ সাইজ বা আসল আকারের। মূল চত্বরের প্রবেশদ্বারের বাঁ পাশে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন এবং ডান পাশে কোরিয়ান বিজ্ঞানী জং ইয়ুং-সিলের আবক্ষমূর্তি। এ যেন পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানভাবনার সঙ্গে কোরিয়ার নিজস্ব বিজ্ঞানচেতনার সমতুল্যতা ঘোষণা করছে।
জাদুঘর সোমবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে। সকাল সকাল এসে পড়াই ভালো, যদি সবকিছু ভালোভাবে ঘুরে দেখতে হয়। জাদুঘরের ভেতরেই খাওয়াদাওয়া, পর্যাপ্ত শৌচাগারসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আছে। দেশি-বিদেশি সব দর্শনার্থীর জন্য প্রবেশ বিনা মূল্যে, তবে গোটা দশেক প্রদর্শনীর মধ্যে মাত্র দুটির জন্য (KkumAty Hall ও Planetarium) আলাদা করে টিকিট কাটতে হয়। টিকিটের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা। বিজ্ঞানে জনসাধারণের আগ্রহ তৈরির জন্য অর্থ কিংবা অন্যান্য বিষয় যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই চেষ্টা রয়েছে সর্বত্র। বিদেশিদের জন্য বিনা মূল্যে ইংরেজিভাষী গাইডও পাওয়া যায়, অবশ্য সে জন্য আগের দিন ফোন করে বুকিং দিতে হয়।
প্ল্যানেটারিয়ামে শো শুরু হয় বেলা ১১টায়। এটি কোরিয়ার প্রথম ত্রিমাত্রিক প্ল্যানেটারিয়াম। পরে আরও হয়েছে। এর ডোমের ব্যাস ২৩ মিটার। এই শোর একটা বড় অংশজুড়ে খুব নান্দনিকভাবে মহাবিশ্ব সম্পর্কে বিভিন্ন ভুল ধারণা খণ্ডন করা হয়েছে। যেমন পৃথিবী যে চ্যাপ্টা নয়, সূর্যকে উপকেন্দ্রে রেখে পৃথিবীই যে তার চারপাশে ঘোরে, চাঁদে সত্যিই মানুষের পা পড়েছে ইত্যাদি। কার্টুন ক্যারিকেচার, চোখধাঁধানো ত্রিমাত্রিক সিমুলেশনসহ এ এক অনবদ্য উপস্থাপনা। বেশ মজার ছলে মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে বিকাশ ও পরিণতি উপস্থাপন করা হচ্ছে।
প্ল্যানেটারিয়ামের সংলগ্ন গ্যালারিতে রয়েছে মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে শুরু করে সৌরজগতের উদ্ভবসহ বিভিন্ন মহাজাগতিক ঘটনার মডেল। কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের মহাকাশ অভিযাত্রার তথ্যও মহাকাশযানের মডেলসহ উপস্থাপন করা হয়েছে।
রয়েছে ন্যাচারাল হিস্ট্রি হল। এর দুটি তলা। নিচতলায় মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পৃথিবী গ্রহের উদ্ভবের পর এর বুকে কীভাবে প্রথম প্রাণের সঞ্চার হলো, তার সম্ভাব্য মডেল থেকে শুরু করে মানুষের আবির্ভাবের আগপর্যন্ত ধারাবাহিক বিবরণ। সেই বিবরণকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে প্রাগৈতিহাসিক জীবের দুষ্প্রাপ্য সব ফসিল। যেমন এককোষী জীবের সবচেয়ে প্রাচীন ফসিল, ডাইনোসরের ফসিলীভূত ডিম, সরোপড ডাইনোসরের পদচিহ্ন ইত্যাদি। ওপরতলায় রয়েছে সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশ ও বর্তমান সময় পর্যন্ত নানা মানবিক কর্মকাণ্ডের খতিয়ান। ফসিল ও প্রত্নতাত্ত্বিক নমুনার কমতি নেই এখানেও।
একটা ব্যাপার খুব স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে জৈব অভিব্যক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন জীবের আবির্ভাবের ব্যাপারটি মোটেও সরলরেখায় ঘটে চলা কোনো ঘটনা নয়; বরং এটি নানা শাখা–প্রশাখায় বিস্তৃত হতে থাকা এক জটিল জাল। একটি প্রজাতি থেকে আরেকটি প্রজাতির উদ্ভব ঘটার অর্থ সব সময় এটা নয় যে আগের প্রজাতির অস্তিত্ব থাকবে না।
কোরিয়ান ভূখণ্ড বা পেনিনসুলা যে অতি প্রাচীন এক ভূমি, এটা রীতিমতো জাতীয় পরিচয়ের অংশ হিসেবে মনে করা হয়। এ জন্য এখানে শিশুদের একদম শুরুতেই প্রাণের উদ্ভব থেকে আধুনিক সময় পর্যন্ত জীবন ও সংস্কৃতির ক্রমবিকাশের ইতিহাস শেখানো হয়। কোরিয়ান উত্তরাধিকার যে সেই বিশাল ইতিহাসের বেশ অনেকখানি জুড়ে আছে এ ব্যাপারে।
বাবা-মায়েরা ছুটির দিনে সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন এই জাদুঘরে। কোভিড–পূর্ববর্তী সময়ে বছরে গড়ে প্রায় ১৫ লাখ দর্শনার্থীর পদধূলি পড়ত, যার বেশির ভাগই শিশু। শিশুদের হাতে–কলমে বিজ্ঞানের অভিজ্ঞতা দিতে এখানে রয়েছে নানা ব্যবস্থা। যেমন শুধু একগাদা ফসিল দেখে তারা চলে যাচ্ছে, এমন নয়—ন্যাচারাল হিস্ট্রি হলের ডিসকভারি জোনে ফসিল ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহের নানা সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হচ্ছে। সেগুলো ব্যবহার করে নিজ হাতে কীভাবে নমুনা প্রস্তুত করা যায়, প্রয়োজনে অণুবীক্ষণের নিচে দেখা যায়, বিজ্ঞানকর্মীদের তত্ত্বাবধানে এসব হাতে–কলমে করে দেখার ব্যবস্থাও আছে। এতে বৈজ্ঞানিক নিদর্শনগুলোকে আর স্রেফ শোকেসে সাজিয়ে রাখা রহস্যময় জিনিস বলে মনে হয় না। এগুলো যে বাস্তব, তার প্রত্যক্ষ অনুভূতি নিয়ে বাড়িতে ফেরে শিশুরা।
এ জাদঘুরের অন্যতম আকর্ষণ হলো সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হল। এখানে রয়েছে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত, আবহাওয়াবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, বায়োটেকনোলজি, যন্ত্রকৌশল ও তথ্যপ্রযুক্তির মূলনীতিগুলো হাতে–কলমে যাচাই–বাছাই করে নেওয়ার মতো অসংখ্য এক্সপেরিমেন্ট। সবই তৈরি করা হয়েছে দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে। যেমন লেজার আলোর মাধ্যমে প্রথমে হাতে–কলমে দেখে নেওয়া যায় যে আয়নার মতো একটা মসৃণ তলে আলোর প্রতিফলন কীভাবে হয় এবং খাঁজকাটা অমসৃণ একটা তলে সেই একই আলো কীভাবে প্রতিফলিত হয়। তারপরের এক্সপেরিমেন্টে যাচাই করে দেখা যায় যে ট্রাফিক সংকেতবাহী বোর্ডগুলোয় এই মূলনীতি কীভাবে কাজে লাগে। একটা সিমুলেশনের কথা না বললেই নয়। একটা এক্সপেরিমেন্টে ঘূর্ণিঝড় তৈরি করে কোনো একটা ভূখণ্ডে আঘাত হানার চেষ্টা করতে হয়। একটা টাচস্ক্রিনের মাধ্যমে এটা খেলতে হয়। এমনিতে মনে হতে পারে, এ আর এমন কি! কিন্তু বছরের কোন সময় কোন স্থানে বায়ু বা সমুদ্রপ্রবাহের দিক কোথায় কীভাবে কাজ করে ও বদলায়, সেটা না জানলে স্রেফ আন্দাজে পৃথিবীর মানচিত্রের কোনো একটা জায়গায় ট্যাপ করে ঘূর্ণিঝড় বানিয়ে সেটাকে ইচ্ছেমতো কোনো ভূখণ্ডের দিকে নিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব! অথবা নিয়ে যেতে পারলেও দেখা যায়, তার শক্তি ততক্ষণে কমে গেছে। বিজ্ঞানীরা কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি ও গতিপথ সম্পর্কে পূর্বাভাস দেন, এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে এখান থেকে। তা ছাড়া এই হলে কোরিয়ায় বহু শতাব্দী প্রাচীন বিভিন্ন প্রযুক্তি কীভাবে কাজে লাগানো হতো, তার লাইফ সাইজ রেপ্লিকা বা ডায়োরামা রয়েছে অন্তত ১০টি। দুর্গ নির্মাণের পুরকৌশল থেকে সিরামিক-কাচের বাসন ও হ্যান্ডমেড পেপার (Hanji) তৈরির কেমিকৌশল—কোনো কিছুই বাদ যায়নি। এসব উপকরণ এখনো শৌখিন সামগ্রী হিসেবে কোরিয়ায় উৎপাদন ও বিক্রয় করা হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি—যেকোনো জাতির গৌরবময় ঐতিহ্যের অংশ, তা প্রতিনিয়ত মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে এই জাদুঘরে।
এরপর ফিউচার টেক হল। এখানে চারটি শিল্পবিপ্লব নিয়ে বেশ মনোগ্রাহী উপস্থাপনা রয়েছে। স্টিম ইঞ্জিননির্ভর প্রথম শিল্পবিপ্লব, বৈদ্যুতিক শক্তিতে বলীয়ান দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লব এবং তথ্যপ্রযুক্তির সম্ভাবনাময় তৃতীয় শিল্পবিপ্লব পেরিয়ে বিশ্ব প্রবেশ করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে। আগের তিনটি শিল্পবিপ্লব থেকে শিক্ষা নিয়ে কীভাবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পর্কে আমরা আশাবাদী হতে পারি, তার নান্দনিক উপস্থাপনা রয়েছে এখানে। কোরিয়া যে এই নতুন বিপ্লবের অংশীদার, সেটি বুঝিয়ে দিতে কোনো কার্পণ্য করা হয়নি। কোরিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট কীভাবে রান্না করা থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত হচ্ছে কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে শহরের ট্রাফিকব্যবস্থাসহ নানা পরিষেবায় কাজে লাগানো হচ্ছে, তার প্রায় সবই তুলে ধরা হয়েছে।
এরপর বায়োস্ফিয়ার। এটা জাদুঘরের মূল ক্যাম্পাসের এক প্রান্তে। বাকি ভবনগুলো থেকে বেরিয়ে বেশ খানিকটা হাঁটতে হয়। বায়োস্ফিয়ারে রয়েছে কোরিয়ার দক্ষিণ উপকূলে পাওয়া দুই শতাধিক উদ্ভিদ প্রজাতি ও কিছু প্রাণী। তবে এটা কোনো চিড়িয়াখানা বা বোটানিক্যাল গার্ডেন নয়। এখানে সৃষ্টি করা হয়েছে বিভিন্ন রকম বাস্তুতন্ত্র, যেগুলো সত্যিই কোথাও না কোথাও প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান। তবে বায়োস্ফিয়ারে সেই বাস্তুতন্ত্রগুলোর সত্যিকার জীবিত ও নির্জীব উপাদানগুলো সঠিকভাবে সাজিয়ে ছোট ছোট পকেট বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলা হয়েছে। এ যেন প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে কৃত্রিমভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ পুনর্নির্মাণ। শুধু নির্মাণই নয়, খুব সতর্কতার সঙ্গে পাশাপাশি রাখা ভিন্ন ভিন্ন বাস্তুতন্ত্র প্রতিনিয়ত সংরক্ষণ করা বেশ দুরূহ একটা কাজ। যাঁরা ইকোলজি সম্পর্কে সামান্য হলেও জ্ঞান রাখেন, তাঁরা তো বটেই, যাঁরা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না, তাঁরাও এখানে এসে অবাক হবেন।
সাত বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের জন্য জাদুঘরে একটি পৃথক অংশ আছে। এর আউটডোর অংশে রয়েছে শিশুদের খেলার জায়গা এবং ইনডোর অংশে রয়েছে বিভিন্ন সায়েন্স অ্যাকটিভিটি। খেলতে খেলতে বিজ্ঞান শেখা বলতে যা বোঝায়, ঠিক তা–ই।
বৈজ্ঞানিক সেমিনার, বিজ্ঞানবিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য রয়েছে সায়েন্স হল। সায়েন্স অ্যালাইভ ডিসকভারি সেন্টার এবং সায়েন্স এডুকেশন হলে সারা বছর বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীর জন্য বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে কোর্স চলে। ক্যাম্পাসের ভেতর আরও আছে বিজ্ঞান ও গণিত–সম্পর্কিত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডের আবাসিক ক্যাম্প পরিচালনার জন্য নির্ধারিত সায়েন্স ক্যাম্প ভবন। জাতিকে বিজ্ঞানমনস্ক করার মাধ্যমে প্রগতির পথে নিয়ে যাওয়ার সব আয়োজন যেন এক ক্যাম্পাসে। সপরিবার ক্যাম্পিং করার ব্যবস্থাও রয়েছে জাদুঘরের বহিরাঙ্গনে। দেখে অভিভূত হতে হয়!
বাংলাদেশের জাদুঘরগুলোয় ছবি তোলা নিষেধ, বিজ্ঞান জাদুঘরসহ কোরিয়ার সব জাদুঘরে ছবি তোলাকে রীতিমতো উৎসাহ দেওয়া হয়। তা ছাড়া পর্যাপ্ত বসার জায়গা, বিশ্রামের স্থান, ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তি ও শিশুদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা, ভেতরের খাবারের দোকান ও রেস্টুরেন্টে দাম বাইরের চেয়ে মোটেই বেশি না হওয়া, শিশুদের বিজ্ঞানবিষয়ক উপহারের পসরা নিয়ে স্যুভেনির শপ—বিজ্ঞানকে পরবর্তী প্রজন্মের পাথেয় করে তোলার আয়োজনের কোনো কমতি নেই এখানে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
*লেখাটি ২০২২ সালে বিজ্ঞানচিন্তার এপ্রিল সংখ্যায় প্রকাশিত